মিরপুর টেস্টের প্রথম সকালে তাইজুলের শিকার দুই উইকেট। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনারকে হারিয়ে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ৭৮।
প্রথম ১৫ ওভারে রান ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪। পরের ১৬ ওভারে আসে ২ উইকেট হারিয়ে রান আসে কেবল ২৩।
প্রথম সেশনেই ৩১ ওভার বোলিং করে ফেলেছে বাংলাদেশ, তাইজুল ও সাকিব মিলেই করেছেন ২২ ওভার। পেসারদের দুরাবস্থার পাশাপাশি উইকেটের অবস্থাও ফুটে উঠছে এতে।
ম্যাচের প্রথম সকালেই উইকেট থেকে বেশ টার্ন ও বাউন্স করে নিয়েছেন তাইজুল। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়ে উইকেট নেওয়ার কাছাকাছি গিয়েছেন কয়েকবার। সাকিব অতটা সুযোগ তৈরি করতে বা টার্ন-বাউন্স পাননি। তবে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ধরে রাখেন চাপ।
প্রথম ঘণ্টায় চাপে ছিল বাংলাদেশই। আবু জায়েদ চৌধুরির জায়গায় সুযোগ পেয়ে ২১ মাস পর টেস্ট খেলতে নামা খালেদ প্রভাব রাখতে পারেননি একটুও। আগের টেস্টে ভালো করলেও ইবাদত হোসেন চৌধুরি ধরে রাখতে পারেননি ধারাবাহিকতা। দুজনের আলগা বোলিংয়ে পাকিস্তানি ওপেনাররা থিতু হয়ে যান অনায়াসেই।
ম্যাচের প্রথম ওভারে বাউন্ডারিতে শুরু করে করেন আবিদ আলি। ৮টি চার ও ১ ছক্কা আসে প্রথম ঘণ্টাতেই! চট্টগ্রামে দুই ইনিংসেই শতরানের জুটি গড়া আবিদ ও আব্দুল্লাহ শফিক এবারও পেরিয়ে যান ফিফটি।
আরেক ওপেনারকে ফেরান তাইজুল। ইনিংসজুড়ে কাট শট খুব ভালো খেললেও একটিতে টাইমিং করতে পারেননি আবিদ। লেংথ থেকে একটু স্কিড করা ডেলিভারি কাট করে স্টাম্পে টেনে আনেন তিনি।
আগের টেস্টে ১৩৩ ও ৯১ রানের দুটি ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানকে এবার ৩৯ রানে থামাতে পেরে দারুণ স্বস্তিই পাওয়ার কথা বাংলাদেশের।
উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনা আরও কয়েক দফায় জাগায় বাংলাদেশ। তবে উইকেট আর ধরা দেয়নি। এই পালায় দুটি রিভিউও হারাতে হয়। তবে হতাশায় শুরু হওয়া সকারের শেষটি দারুণ করতে পারেন মুমিনুলরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (লাঞ্চ পর্যন্ত)
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৩১ ওভারে ৭৮/২ (আবিদ ৩৯, শফিক ২৫, আজহার ৬*, বাবর ৮*; ইবাদত ৫-১-১৫-০, খালেদ ৪-১-১৯-০, সাকিব ১১-৬-১৬-০, তাইজুল ১১-৩-২৮-২)।