অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের জয় থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে ইংল্যান্ড

সবশেষ পাঁচ সফরে জয় কেবল একটি সিরিজে। অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জেতা কতটা কঠিন, তাই বেশ ভালোই জানা ইংল্যান্ডের। তবে এবার অ্যাশেজ শুরুর আগে ইংলিশদের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক ফর্ম। দলটির অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের বিশ্বাস, অ্যাশেজের ট্রফি নিয়েই ঘরে ফিরবেন তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2021, 10:25 AM
Updated : 2 Dec 2021, 10:32 AM

২০০২ থেকে ২০১৭ সাল, এই সময়ে পাঁচবার অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজের জন্য লড়েছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে কেবল ২০১০ সালে পাঁচ টেস্টের সিরিজ তারা জিতেছিল ৩-১ ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই সময় ২৫ টেস্ট খেলে ইংলিশদের জয় কেবল চারটিতে। সবশেষ ১০ ম্যাচের ৯টিতে হেরেছে তারা।

তবে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এখন আর অপ্রতিরোধ্য নয়। পরপর দুই সফরে তাদের ডেরা থেকে সিরিজ জিতে ঘরে ফেরে ভারত। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়ে দলটি। দুই বছর পর আবারও সেখান থেকে জয় নিয়ে ফেরে তারা।

দক্ষিণ আফ্রিকা তো টানা তিন সফরে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জিতেছে। ২০০৮ সালে ২-১, ২০১২ সালে ১-০ ও ২০১৬ সালে ২-১ ব্যবধানে। সবগুলো সিরিজই ছিল তিন টেস্টের।

২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে ২-২ ড্র করে অ্যাশেজ ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া। এবার প্রতিপক্ষের আঙিনা থেকেই ঐতিহাসিক এই ট্রফি জিততে চায় ইংল্যান্ড। বিবিসির পডকাস্টে অ্যান্ডারসন বললেন, অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগতিকদের হারানো এখন আর অসম্ভব কিছু নয়।

“আমরা জানি, অস্ট্রেলিয়ায় তাদেরকে (অস্ট্রেলিয়াকে) হারানো সম্ভব। আমরা অন্য দলকে এটা করতে দেখেছি। এটা কয়েক বছর আগের মতো নয়, যখন তারা অনেক প্রভাবশালী দল ছিল।”

“ভারত এখান থেকে তাদের গত দুই সফরেই জিতে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকাও এখানে জিতেছে। এটা অসম্ভব কাজ নয়।”

আগামী বুধবার ব্রিজবেন টেস্ট দিয়ে শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ। এই মাঠে ১৯৮৬ সালের পর আর কোনো টেস্ট জেতেনি ইংল্যান্ড। শুধু তাই নয়, ৩২ বছর ধরে গ্যাবায় সব দলের বিপক্ষেই অপরাজিত ছিল স্বাগতিকরা।

গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার সেই অপরাজেয় পথচলা থামায় ভারত। ভেঙে দেয় তাদের ব্রিজবেন দুর্গ। অ্যান্ডারসনের মতে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারণ করে দেয় ব্রিজবেনের ফলাফল।

“গ্যাবায় হারলে সেখানে থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই সত্যিই বেশ কঠিন। ২০১০ সালে ব্রিজবেনে আমরা ড্র করার পর সেটাই আমাদের জন্য সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল।”