অস্ট্রেলিয়ার ৪৬১তম টেস্ট ক্রিকেটার ও ৩৪তম কিপার হতে যাচ্ছে কেয়ারি। নতুন টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে কেয়ারির এই নতুন পথচলা।
বিতর্কিত ম্যাসেজ কাণ্ডে টিম পেইনের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া ও পরে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের বিরতি নেওয়ায় নতুন কিপার খুঁজছিল অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে দলের কিপার কেয়ারিকে অনেক দিন ধরেই গড়ে তোলা হচ্ছিল পেইনের উত্তরসূরী হিসেবে। তবে গত মৌসুম থেকে জন ইংলিসের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও চলতি মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে ব্যাট হাতে কেয়ারির বাজে ফর্ম মিলিয়ে একটু সংশয়ের জায়গা তৈরি হয়েছিল।
তবে অস্ট্রেলিয়া বরাবরই গুরুত্ব দেয় প্রক্রিয়াকে। সেটি মেনেই তারা বেছে নিল ৩০ বছর বয়সী কেয়ারিকে।
এবার শেফিল্ড শিল্ডে ৮ ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটি করতে পেরেছেন কেয়ারি, ব্যাটিং গড় ২১.৮৫। তবে গত তিন মৌসুম বিবেচনায় নিলে চারটি সেঞ্চুরিতে তার ব্যাটিং গড় ৫৯.৬৪। রান করেছেন অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়েও। সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৫ ম্যাচ খেলে এই বাঁহাতি ৫ সেঞ্চুরিতে ২ হাজার ৪৬৬ রান করেছেন ৩৪.৭৩ গড়ে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রায় চার বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪৫ ওয়ানডে ও ৩৮ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন কেয়ারি। এবার টেস্ট ক্রিকেটে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।
“এই সুযোগটির জন্য আমি অবিশ্বাস্যরকমের সম্মানিত। দুর্দান্ত এক সিরিজের পথে রোমাঞ্চকর এগিয়ে চলা এটি। আমার মনোযোগ এখন প্রস্তুতিতে এবং অস্ট্রেলিয়াকে অ্যাশেজ ধরে রাখায় সহায়তা করার দিকে।”
“এই অর্জন আমার বাবার জন্য, যিনি আমার কোচ, মেন্টর ও সঙ্গী। এছাড়াও আমার মা, স্ত্রী, সন্তানরা, আমার ভাই-বোনেরা এবং অন্য যারা আমাকে সাহায্য করেছেন, সবার জন্যই। ওদেরকে ও আমার দেশকে গর্বিত করার জন্য সর্বোচ্চটাই দেব আমি।”
কেয়ারির জায়গা নিশ্চিত হওয়ায় এখন অস্ট্রেলিয়ার একাদশে দুটি জায়গা নিয়েই অনিশ্চয়তা টিকে থাকল। ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বর জায়গা নিয়ে লড়বেন দলে ফেরা দুই বাঁহাতি উসমান খাওয়াজা ও ট্রাভিস হেড। পেস বোলিংয়ে মিচেল স্টার্কের সঙ্গে লড়াইয়ে আছেন এবার শেফিল্ড শিল্ডে আগুন ঝরা বোলিং করা জাই রিচার্ডসন। এখানে শেষ পর্যন্ত স্টার্ক সম্ভাবনায় এগিয়ে। তবে খাওয়াজা ও হেডের মধ্যে লড়াইটা তীব্র।