প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি করেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে তার সঙ্গে ২০৬ রানের জুটি গড়া মুশফিকুর রহিম করেন ৯১ রান। ১১৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে প্রায় একাই দলকে ৪৪ রানের লিড এনে দেন তাইজুল।
এসব দারুণ পারফরম্যান্সের ছাপ নেই ফলে। মঙ্গলবার শেষ হওয়া ম্যাচে ৮ উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। মুমিনুল মনে করেন, এটা কেবল টেস্ট দলের সমস্যা নয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই চিরন্তন সমস্যা।
“ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমি এটাই দেখে আসছি। সবসময় আমাদের সব সংস্করণেই হয়। জিততে হলে দলীয় পারফরম্যান্সের প্রয়োজন হয়। আমাদের এমন পারফরমার নেই যে একা খেলবে আর দল জিতবে।”
“যখন আমরা দলীয়ভাবে পারফর্ম করি, তখন আমাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে। পরিসংখ্যান তাই বলে। টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি যাই বলেন। একজনের পক্ষে ম্যাচ জেতানো খুবই কঠিন। আমাদের দেশে এমন পারফরমার খুব কম। আমরা যদি দলীয়ভাবে সবাই পারফরম করি…যেমন তাইজুল ৭ উইকেট পেয়েছে। অন্য প্রান্তে যদি অন্য কোনো বোলার ২-৩ উইকেট পেত…।”
প্রথম ইনিংসে ঠিক তাই হয়েছিল, অন্য প্রান্তে দারুণ বোলিং করেছিলেন ইবাদত হোসেন। নিয়েছিলেন ২ উইকেট। বিনা উইকেটে ১৪৬ থেকে পাকিস্তান থমকে গিয়েছিল ২৮৬ রানে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে কিংবা বোলিংয়ে সম্মিলিত কোনো প্রয়াস দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। মুমিনুল মনে করেন, সে সময় দল হিসেবে খেলতে পারলে চিত্রটা অন্যরকম হতো।
“দ্বিতীয় ইনিংসে যদি তাইজুলের সঙ্গে অন্যরা আরেকটু ভালো বল করতো। সঙ্গে ব্যাটসম্যানরা যদি ভালো ব্যাট করতো। আমি বা টপ অর্ডারের দুয়েকজন যদি ভালো ব্যাট করতাম তাহলে হয়ত অন্যরকম হত। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আমাদের কখনও সেভাবে দলীয় অর্জন হয় না। যখন দল হিসেবে খেলতে পারি, সবাই অবদান রাখতে পারি তখন ফল আসে। আমাদের পরিসংখ্যান তাই বলে।”