জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের উইকেটে ম্যাচের শুরুতে হালকা ঘাসের ছোঁয়া ছিল। তবে সেটি বরং উইকেটকে আরও বেশি ব্যাটিং উপযোগীই করে তোলে। ম্যাচজুড়ে পেসারদের দিকে পক্ষপাতিত্ব খুব একটা ছিল না পিচের। তবে স্কিল দিয়েই সেখানে বারুদের ঝাঁঝ ছড়ান হাসান ও আফ্রিদি। পাকিস্তানের দুই পেসার মিলে নেন ম্যাচে ১৪ উইকেট!
দুই ইনিংসে দুজনের কার্যকারিতায় ছিল যেন দলের চাওয়ার সুষম প্রতিফলন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন হাসান, আফ্রিদি নেন দুটি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাঁহাতি আফ্রিদি ধরেন ৫ শিকার, ডানহাতি হাসান দুটি।
এমনকি পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফও নেন ২ উইকেট। বাংলাদেশের দুই স্পেশালিস্ট পেসার মিলে নেন ফাহিমের সমান উইকেট!
প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নেওয়া ইবাদত দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটশূন্য। আবু জায়েদ চৌধুরি পাননি কোনো উইকেট। তার বোলিংয়ে ছিল না কোনো ধার ও ধারাবাহিকতা।
অথচ অভিজ্ঞতায় পার্থক্য খুব একটা নেই। আফ্রিদি এই টেস্টের আগে খেলেছেন ১৯ টেস্ট, হাসান ১৫টি। আবু জায়েদের এটি ছিল ত্রয়োদশ টেস্ট, ইবাদতের নবম।
এমন নয় যে আফ্রিদি-হাসানরা ৪০-৫০ টেস্ট করে খেলে ফেলেছেন। তারা যে ঊষর ২২ গজে সোনা ফলাতে পারলেন, আবু জায়েদরা সেখানে ব্যর্থ কেন?
মুমিনুল পার্থক্য দেখছেন অভিজ্ঞতায়ই। তবে সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, জাতীয় দলে উঠে আসার পথের অভিজ্ঞতায়।
“বড় বড় বোলার যারা আছেন, পাকিস্তান-ভারতে দেখেন, ওরা অনেক ম্যাচ খেলে, অনেক বল করে। আমাদের পেসারদেরও সুযোগ পেলে চারদিনের ম্যাচ খেলা উচিত। ফ্ল্যাট উইকেটে বল করাটা শিখতে হবে।”
মুমিনুলের মতে, বাংলাদেশের পেসাররা শুধু স্কিলে নয়, পিছিয়ে আছেন মানসিকতায়ও।
“আমার কাছে মনে হয় পুরোপুরি একটা মানসিক ব্যাপার। ওদের স্কিলের সঙ্গে ওরা মানসিকভাবেও শক্ত আছে। স্কিলফুল বোলারদের বিপক্ষে যখন নতুন বলে ব্যাট করবেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিকভাবে আপনি কতটা শক্ত। জানতে হবে কোন জায়গায় কাজ করতে হবে, কোন জায়গায় শক্তিশালী, কোন জায়গায় দুর্বলতা।”