টেস্টের তৃতীয় দিনে প্রায় একার হাতে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তাইজুল। স্পিনে দক্ষ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদেরও দারুণ ভুগিয়ে তিনি ৭ উইকেট নেন ১১৬ রানে। পাকিস্তানের বিপক্ষে যা বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
তাইজুলের সৌজন্যেই প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। পরে অবশ্য তারা নিজেদের হার ডেকে আনে ব্যাটিং ব্যর্থতায়।
পঞ্চম দিনে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে সাকলায়েনের আলাপচারিতায় উঠে আসে তাইজুলের বোলিংয়ের প্রসঙ্গ।
সাকলায়েন শুধু সবসময়ের সেরা অফ স্পিনারদের একজনই নন, স্পিন বোলিং কোচ হিসেবেও বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, পাকিস্তানসহ নানা জায়গায় কাজ করেছেন এবং সমাদৃত হয়েছেন। তাইজুলকে নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ জানানোর পাশাপাশি কিছুটা পরামর্শও দিলেন তিনি।
“তাইজুলকে আমার অনেক ভালো লেগেছে। যে জায়গায় সে আক্রমণ করেছে, ব্যাটসম্যানদের কোনো সুযোগ দেয়নি। আলগা বল তো নয়ই, সিঙ্গেলের সুযোগও দেয়নি। ওর নিয়ন্ত্রণ আমার সত্যিই ভালো লেগেছে।”
“তবে আমার মনে হয়, তার আরেকটু বৈচিত্র যোগ করা উচিত। সেটা তাকে বাড়তি কিছু দেবে। আরেকটু ওভারস্পিন তাকে অনেক সহায়তা করতে পারে। তবে তার টেম্পারমেন্ট, তার ধৈর্য আমার খুবই ভালো লেগেছে। নিয়ন্ত্রণটাই তাইজুলের মূল শক্তি।”
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আরও একটি উইকেট যোগ করেন তাইজুল। ৩৪ টেস্টে ১৪২ উইকেট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সফলতম টেস্ট বোলার। ১০০ উইকেটে তিনি ছিলেন দেশের দ্রুততম।