হার দিয়েই শুরু নতুন চক্র
সুযোগ এসেছিল ম্যাচ নিজেদের করে নেওয়ার। সেই সুযোগ হারিয়ে হার দিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্র শুরু করেছে বাংলাদেশ।
৯১ রান করে আবিদ আলির বিদায়ের পর অবিচ্ছিন্ন ৩৩ রানের জুটিতে বাকিটা সেরেছেন বাবর আজম ও আজহার আলি।
চট্টগ্রাম টেস্ট ৮ উইকেটে জিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে পাকিস্তান। সঙ্গে এগিয়ে গেছে দুই ম্যাচের সিরিজে। আগামী শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৩০
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৮৬
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৫৭
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ৫৮.৩ ওভারে ২০৩/২ (আবিদ ৯১, শফিক ৭৩, আজহার ২৪*, বাবর ১৩*; তাইজুল ২৮-৪-৮৯-১, ইবাদত ৮-২-৩০-০, মিরাজ ১৮.৩-৪-৫৯-১, আবু জায়েদ ৪-০-২৩-০)
বাবরকে জীবন দিলেন তাইজুল
বাবর আজমকে আবারও দ্রুত ফেরানোর সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ফিরতি ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি তাইজুল ইসলাম।
বেরিয়ে এসে বাঁহাতি স্পিনারকে ড্রাইভ করেন বাবর। যত উপরে তুলেত চেয়েছিলেন পারেননি। অনেকটা মাথা উচ্চতার ক্যাচ হাতে নিতে পারেননি তাইজুল। সে সময় ৫ রানে ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। পরেরর বলেই তিনি মারেন বাউন্ডারি।
৯১ রানে আবিদকে থামালেন তাইজুল
হানিফ মোহাম্মদ, জাভেদ মিয়াঁদাদদের পাশে বসা হলো না আবিদ আলির। পাকিস্তানের দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও পারলেন না ওপেনার। তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন ৯১ রানে।
অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি আবিদ। আম্পায়ার আউট দিলে নেন রিভিউ। তাতে কাজ হয়নি। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে বল লাগতো লেগ-মিডল স্টাম্পে।
১৪৮ বলে ১২ চারে ৯১ রান করেন আবিদ।
ক্রিজে আজহার আলির সঙ্গী অধিনায়ক বাবর আজম।
শুরুর জুটি ভাঙলেন মিরাজ
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন আব্দুল্লাহ শফিক।
অফ স্টাম্পের বল সুইপ করেছিলেন অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটে খেলতে পারেননি। আম্পায়ার আউট দিলে নেন রিভিউ। ইম্প্যাক্ট ও স্টাম্পে বলের স্পর্শ দুটিই ছিল আম্পায়ার্স কল। মাঠের আম্পায়ার আউট দেওয়ায় ফিরে যেতে হয় তাকে।
প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে ভেঙেছিল শুরুর জুটি। এবার ভাঙল ১৫১ রানে।
১২৯ বলে আট চার ও এক ছক্কায় ৭৩ রান করেন শফিক।
ক্রিজে আবিদ আলির সঙ্গী আজহার আলি।
পাকিস্তানের ভালো শুরু
দিনের শুরুতে একটু সাবধানী ছিলেন আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক। এরপরই শট খেলতে শুরু করেছেন দুই ওপেনার। তাদের ব্যাটে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলামও পারছেন না তেমন একটা প্রভাব ফেলতে। এক ওভারে তাকে টানা তিন চার মেরেছেন আবিদ আলি।
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ২০২) ৩৯ ওভারে ১৩২/০।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৫৭
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৮৬
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৩০
পাকিস্তানের চাই ৯৩ রান, বাংলাদেশের ১০ উইকেট
চতুর্থ দিন অনেক সময় পেলেও পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিই ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরুর জুটিতেই অর্ধেকের বেশি রান করে ফেলেছে সফরকারীরা। আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক- দুই জনই করেছেন ফিফটি।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানান, তার ধারণা প্রথম আধ ঘণ্টায় দুয়েকটি উইকেট নিতে পারলে জমে উঠতে পারে ম্যাচ। উদ্বোধনী জুটি দ্রুত বিচ্ছিন্ন করা হবে বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য।
২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বিনা উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। জয়ের জন্য শেষ দিনে আরও ৯৩ রান চাই তাদের।
১০৫ বলে ৬ চারে ৫৬ রানে খেলছেন আবিদ। ৯৩ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় শফিকের রান ৫৩।
চতুর্থ দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৩০
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৮৬
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৫৭
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৩ ওভারে ১০৯/০ (আবিদ ৫৬*, শফিক ৫৩*; তাইজুল ১৬-৩-৩৭-০, ইবাদত ৫-১-২৩-০, মিরাজ ১০-২-৩৬-০, আবু জায়েদ ২-০-১৩-০)