চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ ১৫৭ রানেই। প্রথম ইনিংসের ৪৪ লিড মিলিয়ে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য ২০২।
দিনের প্রথম ওভারে উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রথম সেশনে প্রতিরোধ গড়ে ইয়াসির আলি চৌধুরি ও লিটন দাসের ব্যাটে। হেলমেটে বল লাগায় অভিষিক্ত ইয়াসির মাঠ ছাড়ার পর লড়াই চালিয়ে যান লিটন। কিন্তু শেষের ধসে আরও বড় হয়নি বাংলাদেশের লিড।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৫৯।
পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৫ উইকেট নেন ৩২ রানে। ম্যাচে তার উইকেট ৭টি। দলের সবশেষ টেস্টে এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ১০ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
৪ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে বাংলাদেশ শুরু করে দিন। প্রথম বলে হাসান আলিকে দৃষ্টিনন্দন ফ্লিক শটে চার মারেন মুশফিক। হাসান এক বল পরই করে দুর্দান্ত এক ডেলিভারি। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা তীক্ষ্ণভাবে অনেকটা ঢোকে ভেতরে। বাইরে দিয়ে যাবে ভেবে বল ছেড়ে দিয়ে মুশফিক শোনেন স্টাম্প উপড়ে যাওয়ার শব্দ।
পরের ব্যাটসম্যান লিটনকেও অল্পতে হারাতে পারত বাংলাদেশ। নুমান আলির বলে ৯ রানে তাকে স্টাম্পিং করতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান।
ইয়াসির ততক্ষণে উইকেটে জমে গেছেন। খেলে ফেলেছেন দারুণ কয়েকটি শট। বিশেষ করে নুমান আলির বলে দুটি কাভার ড্রাইভ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ফ্লিক শট ছিল দেখার মতো।
আফ্রিদির বলেই থামে তার সম্ভাবনাময় ইনিংস। বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের রাউন্ড দা উইকেটে করা শর্ট বল ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ইয়াসির। কিন্তু ১৪৪ কিলোমিটার গতির বলটি অনেকটা নিচু হয়ে আঘাত করে ইয়াসিরের হেলমেটে।
এরপর মিরাজ কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন লিটনকে। তব বড় হয়নি সেই জুটি। অফ স্পিনার সাজিদ খানের দারুণ টার্নে মিরাজ এলবিডব্লিউ হন ১১ রানে।
স্টাম্পিং হওয়া থেকে বেঁচে যাওয়ার পর দারুণ খেলে দলকে এগিয়ে নেন লিটন। লাঞ্চের পর সোহানও শুরুটা করেন ভালো। জমে উঠতে থাকে জুটি। তখনই সোহানের ব্যাখ্যাতীত খামখেয়ালিপনা।
অফ স্পিনার সাজিদ খান বল করছিলেন লং অন ফিল্ডার সীমানায় রেখে। নীরিহ এক ডেলিভারিত পা বাড়িয়ে উড়িয়ে মারেন সোহান। সীমানায় ক্যাচ নিতে ভুল করেননি ফাহিম আশরাফ।
পরের ওভারেই আফ্রিদি ফিরিয়ে দেন তাদের সামনে মূল বাধা হয়ে থাকা লিটনকে। ৮৯ বলে ৫৯ রানে থামে তার লড়াই। দলের শেষ ৩ ব্যাটসম্যান রানের মুখই দেখতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৩০
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৮৬
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫৬.২ ওভারে ১৫৭ ( আগের দিন ৩৯/৪) (মুশফিক ১৬, ইয়াসির ৩৬ (আহত অবসর), লিটন ৫৯, মিরাজ ১১, সোহান ১৫, তাইজুল ০, আবু জায়েদ ০, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ১৫-৮-৩২-৫, হাসান ১১-০-৫২-২, ফাহিম ৮-৩-১৬-০, নুমান ৯-৩-২৩-০, সাজিদ ১৩.২-১-৩৩-৩)।