চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট ৩৩০ রানে।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এ দিন সকালের সেশনে ৭৭ রান যোগ করতেই বাংলাদেশ হারায় ৬ উইকেট।
১১৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে লিটন দাস আউট হন আর কেবল ১ রান যোগ করেই। মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির আশা থমকে যায় ৯ রানের দূরত্বে। এরপর কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ ছাড়া দাঁড়াতে পারেননি আর কেউ।
প্রথম দিনে পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বিবর্ণ মনে হয়েছে যাকে, দ্বিতীয় দিনে তিনিই সবচেয়ে উজ্জ্বল। দুই দিকে সুইং আর দুর্দান্ত স্কিলের প্রদর্শনী মেলে ধরে এই পেসার এক সেশনে নেন ৪ উইকেট। ইনিংস শেষ করেন ৫১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। ১৬ টেস্টেই ৬ বার ৫ উইকেট পাওয়া হয়ে গেল তার।
দিনের শুরুটায় পাকিস্তান খানিকটা চমকে দেয় নতুন বলে নুমান আলির স্পিন দিয়ে বোলিং শুরু করে। তবে আরেকপ্রান্তে বাবর আজম আনেন হাসান আলিকে। নিজের প্রথম ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন লিটনকে।
ওভারের প্রথম পাঁচ বল অফ স্টাম্পের বাইরে ও আউট সুইঙ্গার করেন লিটন। শেষ বলটি তিনি করেন ইনসুইঙ্গার। লিটনের ডিফেন্স ফাঁকি দিয়ে বল লাগে প্যাডে। পাকিস্তান এলবিডব্লিউ পায় রিভিউ নিয়ে।
লিটনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংস থামে ২৩৩ বলে ১১৪ রান করে।
এরপর ভরসা ছিলেন মুশফিক। আগের দিনের মতোই ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ইনিংস গোছানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু ফাহিম আশরাফের অফ স্টাম্প ঘেঁষা ডেলিভারিতে তার লড়াই শেষ হয় ২২৫ বলে ৯১ রান করে।
আউটটি নিয়ে অবশ্য খানিকটা সংশয়ের অবকাশ রয়ে যায়। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল যখন মুশফিকের ব্যাট পেরিয়ে যাচ্ছে, একইসঙ্গে তখন ব্যাট লাগে প্যাডেও। মাঠের আম্পায়ার আউট দেন, মুশফিক রিভিউ নিয়ে রক্ষা পাননি। বল আদৌ ব্যাট ছুঁয়েছে কিনা, সেটি নিশ্চিত হওয়া ছিল কঠিন।
এরপর রান যা বেড়েছে কেবল মিরাজের ব্যাটে। ফাহিম আশরাফের বলে অসাধারণ একটি স্কয়ার ড্রাইভে তিনি চার মারেন, আফ্রিদিকে মারেন পুল শটে। দারুণ আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সঙ্গী পেলেন না যোগ্য কাউকে।
কিছুটা লড়াই করতে পারতেন যিনি, সেই তাইজুল ইসলামকে ফেরান আফ্রিদি। পরে আবু জায়েদ চৌধুরি ও ইবাদত হোসেনকে টানা দুই বলে ফিরিয়ে ইনিংস শেষ করে দেন হাসান আলি। পরের ইনিংস তিনি শুরু করবেন হ্যাটট্রিকের অপেক্ষায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ পর্যন্ত)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০ (আগের দিন ২৫৩/৪) (মুশফিক ৯১, লিটন ১১৪, ইয়াসির ৪, মিরাজ ৩৮*, তাইজুল ১১, আবু জায়েদ ৮, ইবাদত ০; আফ্রিদি ২৭-৮-৭০-২, হাসান ২০.৪-৫-৫১-৫, ফাহিম ১৪-২-৫৪-২, সাজিদ ২৭-৫-৭৯-১, নুমান ২৬-৬-৬২-০)।