বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৩০ পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ৫৭ ওভার ১৪৫/০ |
পাকিস্তানের দারুণ দিন
সব চাওয়াই যেন পূরণ হলো পাকিস্তানের। সাড়ে তিনশ রানের নিচে বাংলাদেশকে থামানোর লক্ষ্য ঠিক করা দলটি বাংলাদেশকে থামিয়ে দিল ৩৩০ রানে। পরে দুই সেশন কাটিয়ে দিলো কোনো উইকেট না হারিয়ে।
পাকিস্তান দিন শেষ করেছে ৫৭ ওভারে বিনা উইকেটে ১৪৫ রানে। ১৮০ বলে ৯ চার ও দুই ছক্কায় ৯৩ রানে খেলছেন আবিদ আলি। ১৬২ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিকের রান ৫২।
ব্যাটসম্যানদের কিছুটা ভুগিয়েছেন কেবল তাইজুল ইসলাম। টার্ন ও বাউন্সে কয়েকবার ছড়িয়েছন ভীতি। তার বলেই একবার এলবডিব্লউ হয়েছিলেন শফিক। কিন্তু সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেননি মুমিনুল হক।
পাকিস্তান এখনও পিছিয়ে ১৮৫ রানে। তবে তাদের ১০ উইকেটই অটুট থাকায় বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে আরেকটি কঠিন দিন।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৩০
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৪৫/০ (আবিদ ৯৩*, শফিক ৫২*; আবু জায়েদ ১০-০-৩০-০, ইবাদত ১২-৩-৩১-০, তাইজুল ১৯-৫-৩৯-০, মিরাজ ১৩-৪-৩৩-০, মুমিনুল ৩-০-১২-০)
ছক্কায় শফিকের ফিফটি
ফিফটিতে অভিষেক রাঙিয়ে সামনের দিকে ছুটছেন আব্দুল্লাহ শফিক। আবিদ আলির সঙ্গে উপহার দিয়েছেন দারুণ এক জুটি।
শুরুতে একটু ভুগছিলেন শফিক। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কেটে গেছে স্নায়ু চাপ। আবিদের মতো অতোটা সাবলীল নন শফিক। তবে নিজের কাজটা ঠিকই করে যাচ্ছেন তিনি। মুমিনুল হককে ছক্কায় ওড়িয়ে ১৫৩ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ।
আবিদ-শফিকের জুটিতে একশ
মন্থর গতিতে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রানের গতি কিছুটা বাড়িয়েছে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। ২২২ তিন অঙ্কে গেছে দল ও জুটির রান। পঞ্চাশ এসেছিল ১২৭ বলে।
জুটিতে অগ্রণী আবিদ আলি, তিনিই করেছেন ৬৮ রান। অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ রান।
বাংলাদেশের চার বোলারের মধ্য কেবল তাইজুল ইসলামই একটু ভাবাতে পারছেন ব্যাটসম্যানদের। বাকি তিনজন রাখতে পারছেন না তেমন কোনো প্রভাব।
পাকিস্তানের ভালো সেশন
বাংলাদেশকে প্রথম সেশনে গুটিয়ে দেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় সেশনে ২৯ ওভারে দুই ওপেনার তুলেছেন ৭৯ রান।
তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিলে আগেই ভাঙ্গতে পারত এই জুটি। পরে রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেন সাদমান ইসলাম। এই দুটি ছাড়া তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
৮৯ বলে ৬ চার ও ১ চারে ৫২ রানে খেলছেন আবিদ। একটি করে ছক্কা ও ৮৫ বলে ২৭ রানে খেলছেন অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিক।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে আবিদের ফিফটি
উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। বোলিংয়েও নেই তেমন ধার। সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। শুরু থেকে সাবলীল ব্যাটিং করা আবিদ আলি করেছেন ফিফটি।
৮৪ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করার পথে তিনি মারেন ছয়টি চার ও একটি ছক্কা।
শুরুর জুটিতে পঞ্চাশ
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বেরিয়ে ছক্কা মারলেন আব্দুল্লাহ শফিক। দল ও জুটির রান গেল পঞ্চাশে, ১২৭ বলে।
এমন শট কিংবা এমন ঝুঁকি খুব কমই দেখা গেছে পাকিস্তানের ইনিংসে। ছক্কা মারার আগ পর্যন্ত নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন অভিষিক্ত শফিক।
অন্য প্রান্তে আবিদ আলি সচল রেখেছেন রানের চাকা। জুটিতে তার অবদান ৩২ রান, শফিকের ২০।
হয়েও হলো না উইকেট
চট্টগ্রামে ঠিক আগের টেস্টেই রিভিউ না নেওয়ার মাশুল দিয়েছিল বাংলাদেশ। তিনটি রিভিউ থাকার পরও পাকিস্তান ইনিংসের শুরুতে রিভিউ না নিয়ে মুমিনুল হক যেন হাঁটছেন সেই পথেই।
তাইজুল ইসলামের বল একটু ভেতরে ঢুকে ছোবল দেয় আব্দুল্লাহ শফিকের প্যাডে। ব্যাট দ্রুতই নামান তিনি। তাই ব্যাট না প্যাড কোনটায় আগে লেগেছে বোঝা কঠিন ছিল। উইকেটের জন্য একটু ঝুঁকি নিতেই হতো। সেটা নেননি মুমিনুল।
পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে বল আগে লাগে প্যাডে। রিভিউ নিলে ফিরে যেতেন শফিক। সে সময় ৯ রানে ছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের সাবধানী শুরু
লাঞ্চের পর ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুটা ভালো করেছে। একটু বেশি সাবধানী অভিষিক্ত ওপনার আব্দুল্লাহ শফিক। নিজের প্রথম ইনিংসে সময় নিচ্ছেন তিনি। অন্য প্রান্তে সাবলীল আবিদ আলি।
তাদের খুব একটা ভোগাতে পারেননি আবু জায়েদ চৌধুরি। অফ স্টাম্পের বাইরের চ্যানেল ধরে বোলিং করা ইবাদত হোসেনের দুটি বল দুই ওপেনার ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পের পাশ দিয়ে গেছে।
প্রথম সেশনে কিছুটা সহায়তা ছিল বোলারদের জন্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেটা আর নেই। অনায়াসেই খেলছেন দুই ওপেনার।
৩৩০ রানে শেষ বাংলাদেশ
আগের দিন শেষ দুটি সেশনে দারুণ ব্যাটিং করা বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল এক সেশনেই। ৭৭ রান তুলতে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে থমকে গেল ৩৩০ রানে।
২১ রানের মধ্য দুই থিতু ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ইয়াসির আলি চৌধুরিকে হারিয়ে তিনশ রানের নিচেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দল এতো দূর যায় মেহেদী হাসান মিরাজের দৃঢ়তায়। ৬ চারে ৬৮ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ২৫৩/৪) ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০ (মুশফিক ৯১, লিটন ১১৪, ইয়াসির ৪, মিরাজ ৩৮, তাইজুল ১১, আবু জায়েদ ৮, ইবাদত ০; আফ্রিদি ২৭-৮-৭০-২, হাসান ২০.৪-৫-৫১-৫, ফাহিম ১৪-২-৫৪-২, সাজিদ ২৭-৫-৭৯-১, নুমান ২৬-৬-৬২-০)।
আবু জায়েদ-ইবাদতকে ফিরিয়ে হাসানের পাঁচ
পরপর দুই বলে আবু জায়েদ চৌধুরি ও ইবাদত হোসনকে বিদায় করে বাংলাদেশকে ৩৩০ রানে থামিয়ে দিলেন হাসান আলি। এদিন দারুণ বোলিং করা পেসার নিলেন পাঁচ উইকেট।
শরীর তাক করে আসা বাউন্সার ঠিক মতো সামলাতে পারেননি আবু জায়েদ। ধরা পড়েন স্লিপে। দুই চারে ১৯ বলে তিনি করেন ৮।
পরের বলে ইবাদতের স্টাম্প উপড়ে ফেলে ষষ্ঠবারের মতো টেস্টে পাঁচ উইকেট নেন হাসান।
তাইজুলকে ফেরালেন আফ্রিদি
একটা জুটি গড়ে উঠছিল মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের মধ্যে। সেটা ভাঙতে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে আক্রমণে ফেরালেন বাবর আজম। কাজেও লাগল তার এই বদল। আফ্রিদির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে গেলেন তাইজুল।
আগের বলে বাউন্ডারি মেরেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাই হয়ত একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিলেন। তাড়া করেন বেশ বাইরের বল। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। প্রথম স্লিপে ঝাঁপিয় চমৎকার ক্যাচ নেন আব্দুল্লাহ শফিক। ভাঙে ৪৭ বল স্থায়ী ২৮ রানের জুটি।
১ চারে ২৮ বলে ১১ রান করেন তাইজুল। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী আবু জায়েদ চৌধুরি।
৯১ রানে থামলেন মুশফিক
দুই সঙ্গীর দ্রুত বিদায়ের পর আরও সাবধান হয়ে গিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। খেলছিলেন চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায়। কিন্তু তিনিও দ্বিতীয় দিন যেতে পারলেন না বেশিদূর। ৮২ রান নিয়ে শুরু করা মুশফিক থামলেন ৯১ রানে।
টেস্টে এ নিয়ে চতুর্থবার নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হলেন মুশফিক। এর তিনটিই চট্টগ্রামের এই মাঠে!
বাংলাদেশকে ভোগানো হাসান আলির জায়গায় আক্রমণে এসে মুশফিককে কট বিহাইন্ড করে থামান ফাহিম আশরাফ। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে বল ব্যাট পেরিয়ে যাওয়ার সময় ও ব্যাট তার প্যাডে লাগার সময় একই হওয়ায় নিশ্চিত বোঝার উপায় ছিল না, শব্দের উৎস কি। আম্পায়ার আউট দেওয়ায় ফিরে যেতে হয় মুশফিককে।
স্রেফ ১ রানের জন্য টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে তামিমের পাশে বসতে পারলেন না তিনি।
মুশফিকের ২২৫ বলের ইনিংস গড়া ১১ চারে।
হাসানের দারুণ স্পেল
আগের দিন এক পর্যায়ে তিনি ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। লাইন, লেংথ এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল মাঝে মধ্যেই। দ্বিতীয় দিন সাত সকালে তিনিই ভোগালেন সবচেয়ে বেশি। ইন সুইং ও আউট সুইংয়ের মিশেলে ব্যাটসম্যান ফেললেন কঠিন পরীক্ষায়। সেটাতে উতরাতে পারলেন না লিটন দাস ও ইয়াসির আলি চৌধুরি।
দারুণ স্পেলে দুটি মেডেনসহ ৬ ওভারে ৭ রানে ২ উইকেট নিলেন হাসান।
চার মেরেই শেষ ইয়াসির
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অভিষেক। এতো অপেক্ষার শুরুটা রাঙিয়ে রাখতে পারলেন না ইয়াসির আলি চৌধুরি। একটি চার মেরেই ফিরে গেলেন বোল্ড হয়ে।
স্টাম্পে বল রাখা হাসান আলি বেশি ভোগাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তার সুইংয়ের জন্য প্রায়ই বলের লাইনে যেতে পারছিলেন না ইয়াসির। সেটাই কাল হয় তার জন্য। ব্যাটের কানা এড়িয়ে উপড়ে ফেলে তার স্টাম্প।
১৯ বলে এক চারে ইয়াসির করেন ৪।
ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মেহেদি হাসান মিরাজ। টেস্টে এই দুই জনের চমৎকার কিছু জুটি আছে।
পাকিস্তানের ব্যর্থ রিভিউ
লিটন দাসের মতো একই পরিকল্পনায় ইয়াসির আলি চৌধুরিকেও ফেরাতে চেয়েছিলেন হাসান আলি। কাজ প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। একটুর জন্য বেঁচে গেছেন অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান।
হাসানের ইনসুইংয়ের লাইনে যেতে পারেননি ইয়াসির। এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন বাবর আজম। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে বল যেত লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে।
দ্বিতীয় রিভিউ হারাল পাকিস্তান। দুটি সফল রিভিউ নেওয়া সফরকারীদের আর একটি রিভিউ বাকি।
শাহিন শাহ আফ্রিদিকে পরের ওভারে চার মেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানের খাতা খোলেন ইয়াসির।
শুরুতেই ফিরলেন লিটন
আগের দিন হাসান আলি বলেছিলেন দিনের শুরুতে উইকেট চান তারা। এই পেসারের হাত ধরে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পেল পাকিস্তান। এলবিডব্লিউর সফল রিভিউয়ে লিটন দাসকে ফিরিয়ে ভাঙল ২০৬ রানের জুটি।
প্রথম ওভারটি করেন নুমান আলি। পরের ওভারে বল হাত পান হাসান। বেশিরভাগ বল করছিলেন আউটসু্ইং, শেষ বলটি ইনসুইং। বলের লাইনে যেতে পারেননি লিটন। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে লাগে পেছনের পায়ে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন অধিনায়ক বাবর আজম। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পের উপরের দিকে লাগত বল।
২৩৩ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় ১১৪ রান করে ফিরেন লিটন। আগের দিনের রানের সঙ্গে কেবল একটি সিঙ্গেল যোগ করতে পারেন তিনি।
ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী অভিষিক্ত ইয়াসির আলি চৌধুরি।
উইকেটে রানের হাতছানি
প্রথম টেস্টের উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ নয়। প্রথম দিনও কিছুটা সহায়তা ছিল বোলারদের জন্য। পেসাররা সুইং ও বাড়তি বাউন্স পেয়েছেন। স্পিনাররা টার্ন ও বাউন্স পেয়েছেন। কিছু বল নিচুও হয়েছিল।
ধারাভাষ্যকার এড রাইন্সফোর্ড পিচ রিপোর্টে জানালেন, আগের দিনের মতো অতো জীবন্ত নয় উইকেটে থাকা ঘাস। কিছুটা সুবিধা থাকবে বোলারদের জন্যও। একটু চিড়ও আছে উইকেটে, তবে এখনও দুর্ভাবনায় পড়ার মতো কিছু নয়। দ্বিতীয় দিনও রান থাকবে উইকেটে।
বাজে শুরুর পর স্বপ্নের দিন
প্রথম সেশনে এক পর্যায়ে ৫৮ মিনিটের মধ্যে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের চমৎকার জুটিতে কোনো উইকেট ছাড়াই কাটিয়ে দেয় পরের দুই সেশন। ৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
২২৫ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় ১১৩ রানে খেলছেন লিটন। ১৯০ বলে ১০ চারে মুশফিকের রান ৮২। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে দুই জনে ৪১৩ বলে যোগ করেছেন ২০৪ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে সব মিলিয়ে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি, পঞ্চম উইকেটে সেরা।
বড় সংগ্রহের জন্য মুশফিক ও লিটনের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। এখনও ব্যাটিংয়ে আসতে বাকি অভিষিক্ত ইয়াসির আলি চৌধুরি। আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
প্রথম দিন আলোকস্বল্পতায় একটু আগেভাগে শেষ হওয়ায় শনিবার খেলা শুরু হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে, সকাল পৌনে দশটায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে) ৮৫ ওভারে ২৫৩/৪ (সাদমান ১৪, সাইফ ১৪, শান্ত ১৪, মুমিনুল ৬, মুশফিক ৮২*, লিটন ১১৩*; আফ্রিদি ১৮-৪-৫০-১, হাসান ১৩-৩-৩৮-১, ফাহিম ১০-২-৩৮-১, সাজিদ ২২-৩-৬৮-১, নুমান ২২-৫-৫১-০)।