চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন লাঞ্চ বিরতিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৬৯।
দুই ওপেনান সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান ও তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত, সবাই আউট ১৪ রানে। অধিনায়ক মুমিনুল হক ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক।
পাকিস্তানের চার বোলার নেন একটি করে উইকেট।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। উইকেটে কিছুটা ঘাসের ছোঁয়া থাকলেও ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ বলেই মনে হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান দুর্দান্ত বোলিং করে প্রথম ওভার থেকেই।
শাহিন শাহ আফ্রিদি প্রথম ডেলিভারিতেই নাড়িয়ে দেন সাদমান ইসলামকে। উইকেটও পেতে পারতেন তিনি প্রথম ওভারে। ম্যাচের পঞ্চম ডেলিভারি সাদমানের ব্যাট হালকা ছুঁয়ে কিপারের গ্লাভসে আশ্রয় নিলেও আবেদন করেননি কেউ। টিভিতে রিপ্লেতে ধরা পড়ে ব্যাটে বলের স্পর্শ।
সাদমান আরেকদফায় বেঁচে যান হাসান আলির বলে। জোরাল আবেদনে আম্পায়ার আউট দেননি, পাকিস্তানও রিভিউ নেয়নি। এবারও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, আউট ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সাদমানের বেঁচে যাওয়ার পালার মধ্যেই বিদায় নেন তার সঙ্গী সাইফ। তার শরীর তাক করে গতিময় এক বাউন্সার যেন আফ্রিদি। কোনো জবাবই পাননি সাইফ, তার ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে সহজ ক্যাচ যায় শর্ট লেগে।
শান্তর শুরুটা ছিল দারুণ। উইকেটে যাওয়ার পরপরই দারুণ ফ্লিকে বাউন্ডারি মারেন আফ্রিদিকে। ফাহিম আশরাফকে চার মারেন দৃষ্টিনন্দন স্ট্রেট ড্রাইভে। কিন্তু তিনিও আটকা পড়েন ওই ১৪ রানেই। ফাহিমের বলেই কাট করে ক্যাচ নেন পয়েন্টে।
শান্তর আগের ওভারেই দলকে বিপদে ফেলে বিদায় নেন মুমিনুল হক। অফ স্পিনার সাজিদ খানের টার্ন ও বাউন্সে বাংলাদেশ অধিনায়ক ৬ রানে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দল প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে ৪৯ রানেই!
অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস লাঞ্চের আগে বাকি সময়টা কাটিয়ে দেন নিরাপদে। তবে দলকে নিরাপদ জায়গায় নিতে দুজনকে এখনও পাড়ি দিতে হবে অনেকটা পথ!
বাংলাদেশের হয়ে এ দিন টেস্ট ক্যাপ পান ইয়াসির আলি চৌধুরি। তাকে ব্যাটিংয়ে দেখা যাবে হয়তো সাত নম্বরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (লাঞ্চ পর্যন্ত)
বাংলাদেশ: ২৮ ওভারে ৬৯/৪ (সাদমান ১৪, সাইফ ১৪, শান্ত ১৪, মুমিনুল ৬, মুশফিক ৫, লিটন ১১*; আফ্রিদি ৮-৩-১৬-১, হাসান ৬-১-২২-১, ফাহিম ৫-১-১৩-১, সাজিদ ৪-১-৯-১, নুমান ৫-২-৪-০)।