মাহমুদুলকে ওপেনার হিসেবে দেখছে দল

বয়সভিত্তিক ক্রিকেট, ঘরোয়া ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ইমার্জিং দলে মূলত তিন নম্বর পজিশনেই ব্যাট করেন মাহমুদুল হাসান জয়। সেই তরুণের টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে ওপেনার হিসেবে। এই ভূমিকায় রেখেই তাকে দলে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2021, 07:52 AM
Updated : 25 Nov 2021, 10:55 AM

টেস্ট দলের হয়ে মাহমুদুলের প্রথম দিনের অনুশীলনেই অবশ্য এরকম কিছুর আভাস মিলেছিল। বুধবার সাদমান ইসলামের সঙ্গে নেটে শুরতেই পাঠানো হয় মাহমুদুলকে। বৃহস্পতিবারও তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে নেটে পাঠানো হয় শুরুর দিকে। তাকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলাদা কাজ করেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।

সেখানে আর্ম থ্রোয়ার দিয়ে গ্রানাইটের স্লাবে বল ছুঁড়ে শর্ট অব লেংথ ও শর্ট বল অনুশীলন করানো হয় তাকে লম্বা সময়। ওপেনিংয়ে পাকিস্তানি পেসারদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ সামলাতে হতে পারে মাহমুদুলের।

ঘরোয়া ক্রিকেট ও ইমার্জিং দলের হয়ে সীমিত ওভারে ভালো পারফরম্যান্সের পর এবার জাতীয় লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা করে নেন মাহমুদুল। পরিস্থিতি যা বলছে, তাতে শুক্রবার টেস্ট ক্যাপ হয়তো পেতে যাচ্ছেন ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।

তামিম ইকবাল চোটে ছিটকে যাওয়ার পর দলে ওপেনার আছেন কেবল সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। দলে নেই বাড়তি ওপেনার। টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হক জানান, মাহমুদুলকে তারা ওপেনিংয়েই দেখছেন। 

“ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবে ওকেই নিয়েছি আমরা। যদি ও খেলে, তাহলে ওপেনার হিসেবেই খেলবে।”

৫টি টেস্ট খেলে সাইফের পারফরম্যান্স এখনও বলার মতো নয়। চোটের কারণে তামিম ইকবাল না থাকায় ওপেনিংয়ে একটি দুর্ভাবনার জায়গা আছেই। সাইফের যা পারফরম্যান্স ও টেকনিক  যতটা প্রশ্নবিদ্ধ, তাতে চট্টগ্রাম টেস্টে মাহমুদুলের অভিষেকের সম্ভাবনা প্রবল উজ্জ্বল বলেই মনে হচ্ছে।

নেটে মাহমুদুলের দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার কারণও হয়তো এটিই। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স প্রান্তের নেটে প্রিন্স তাকে নিয়ে কাজ করেন মূলত শর্ট বল ও শর্ট অব লেংথ বলে কাট করা, পুল করা, ডিফেন্স করা ও বল ছেড়ে দেওয়া নিয়ে। এই প্রতিটি শটের ক্ষেত্রে পায়ের কাজ, শরীরের পজিশন ও মাথার অবস্থান, কতটা জরুরি তা বুঝিয়ে বলছিলেন ব্যাটিং কোচ।

মাহমুদুলকে প্রিন্স বারবার বলছিলেন যথেষ্ট বিকল্প শট হাতে রাখার কথা, যেন পেসারদের চেয়ে এগিয়ে থাকা যায় ও দাপট দেখানো যায়। শর্ট বল ছেড়ে দেওয়া যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নিজের আওতায় পেলে আগ্রাসী শট খেলার গুরুত্বও বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন বারবার। কোন উচ্চতার বল পুল করতে হবে, কোনটা ডিফেন্স বা ছাড়তে হবে, কতটা বাইরে পেলে কাট করা যাবে, এসব বারবার দেখিয়ে দিলেন ব্যাটিং কোচ।

মাহমুদুলও ব্যাটিং কোচের প্রত্যাশা মিটিয়ে দারুণ করলেন নেট সেশনে। কোচের প্রশংসাও আদায় করে নিলেন বারবার।

সবকিছুতেই ফুটে উঠছে, মাহমুদুলের মাথায় টেস্ট ক্যাপ হয়তো উঠছে।