অল্পের জন্য হলো না ফজলে মাহমুদের ডাবল সেঞ্চুরি

আগের দিন তিন অঙ্কে পা রাখা ফজলে মাহমুদ রাব্বি জাগালেন ডাবল সেঞ্চুরির আশা। কিন্তু পারলেন না অল্পের জন্য। ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তার দল বরিশাল বিভাগ অবশ্য পেল বড় সংগ্রহ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2021, 03:42 PM
Updated : 22 Nov 2021, 03:42 PM

জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে প্রথম দিন ৯৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল বরিশাল। ফজলে মাহমুদ তখন ব্যাট করছিলেন কেবল ৪৯ রানে। প্রথম দিন শেষে ১২২ রানে অপরাজিত থাকা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় দিন আউট হলেন ১৮৮ রানে। বরিশালের রান ৩৩৩।

দলটির বড় সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে অফ স্পিনার ইসলামুল আহসানেরও। ৯ নম্বরে নেমে তিনি করেছেন ৭৮ রান। অষ্টম উইকেটে অধিনায়কের সঙ্গে তার জুটি ২১২ রানের।

দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচে দ্বিতীয় দিন শেষে রাজশাহীর রান ২ উইকেটে ১১৮। এখনও ২১৫ রানে পিছিয়ে আছে তারা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে সোমবার ৭ উইকেটে ২২৫ রান নিয়ে খেলতে নামা বরিশাল ফজলে মাহমুদ ও ইসলামুলের ব্যাটে ছাড়ায় তিনশ। ইসলামুল স্টাম্পড হয়ে ফিরলে ভাঙে বড় জুটি। ৩০৩ বলে ৯ চারে ৭৮ রানের ইনিংসটি খেলেন তিনি।

ফজলে মাহমুদ এগিয়ে যাচ্ছিলেন ডাবলের দিকেই। মাইলফলক থেকে ১২ রান দূরে থাকতে অফ স্পিনার মোহাইমিনুল খানকে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন তিনি। ৩৫৬ বলে ১৭ চার ও একটি ছক্কায় গড়া দারুণ ইনিংসটি। এবারের লিগে এটি সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।

নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হওয়ার পর আর বেশিদূর এগোয়নি বরিশালের ইনিংস। রাজশাহীর হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন সাকলাইন সজিব ও মোহাইমিনুল। শফিকুল ইসলাম ও সানজামুল ইসলামের প্রাপ্তি ২টি করে।

জবাবে আগ্রাসী শুরু করেন রাজশাহীর ওপেনার তানজিদ হাসান। ৩১ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। তানভির ইসলামের ওই ওভারেই কট বিহাইন্ড হন আরেক ওপেনার অভিষেক মিত্র (১৭)।

দিনের বাকি সময়ে আর কোনো বিপদ হতে দেননি জুনায়েদ সিদ্দিক (২৯*) ও মোহাইমিনুল (৩১)। ১৯২ বলে ৬০ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন এই দুজন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বরিশাল বিভাগ ১ম ইনিংস: ১৩৪ ওভারে ৩৩৩ (আগের দিন ২২৫/৭) (ফজলে মাহমুদ ১৮৮, ইসলামুল ৭৮, তানভির ২, রুয়েল ১*; ফরহাদ রেজা ৯-৪-১৮-০, শফিকুল ২২-৩-৭৩-২, সানজামুল ৯.৩-১-৩৯-২, আসাদুজ্জামান ১৮-৪-৩৭-০, সাকলাইন ৪৪-৮-৭৯-৩, মোহাইমিনুল ১৯.৩-৫-৪২-৩, ফরহাদ ১০-১-২৪-০, অভিষেক ২-০-২-০)

রাজশাহী বিভাগ ১ম ইনিংস: ৪৪ ওভারে ১১৮/২ (তানজিদ ৪০, অভিষেক ১৭, জুনায়েদ ২৯*, মোহাইমিনুল ৩১*; রুয়েল ৯-২-৩০-০, সালমান ৩-০-১২-০, তানভির ১৫-৫-৩০-১, ইসলামুল ৩-০-১৮-০, সোহাগ ৬-২-১১-০, মনির ৪-২-৮-০, মইন ২-০-৫-০, আশরাফুল ২-০-৩-০)

চট্টগ্রামের বিপক্ষে মেট্রোর লিড

দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৫ রানের লিড পেয়েছে ঢাকা মেট্রো।

প্রথম দিন চট্টগ্রামকে ২২৩ রানে গুটিয়ে দেওয়া মেট্রো দ্বিতীয় দিন অলআউট হয় ২৫৮ রানে। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৪ রান। এখনও ১১ রানে পিছিয়ে আছে তারা।

মেট্রোর হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন আল আমিন। ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন পেসার আবু হায়দার।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২ উইকেটে ৫২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে মেট্রো। প্রথম দিনের ২৪ রানের সঙ্গে মার্শাল আইয়ুব যোগ করতে পারেন কেবল ৪ রান। ফিফটি থেকে ৫ রান দূরে থামেন শামসুর রহমান। ১২২ বলে ৪টি চারে তিনি খেলেন ৪৫ রানের ইনিংসটি।

অনেকটা সময় উইকেটে কাটিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি শরফুদ্দৌলা (২৯) ও জাহিদুজ্জামান (১৭)। আল আমিন ফেরেন ফিফটির পরপরই। হাসান মুরাদের বলে ক্যাচ দেওয়া এই ব্যাটসম্যান ৯০ বলে ৩ চারে করেন ৫৫।

এরপর আবু হায়দারের ব্যাটে লিড পায় মেট্রো। ৮১ বলে ৫টি চারে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

চট্টগ্রামের নাবিল সামাদ, নোমান চৌধুরি ও মুরাদ নেন ৩টি করে উইকেট।

পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে শুরুতেই জসিমউদ্দিনকে হারায় চট্টগ্রাম। দিন শেষে পিনাক ঘোষ ১৬ ও মুরাদ শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চট্টগ্রাম বিভাগ ১ম ইনিংস: ২২৩

ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৯০.১ ওভারে ২৫৮ (আগের দিন ৫২/২) (শামসুর ৪৫, মার্শাল ২৮, আল আমিন ৫৫, জাহিদুজ্জামান ১৭, শরফুদ্দৌলা ২৯, আবু হায়দার ৪২*, ইফতেখার ১৯, মেহরাব ৫, শাহবাজ ০; মেহেদি ৬.৩-১-২৪-১, সামাদ ৩৫.৩-৫-৭২-৩, নোমান ১৮.১-৪২-৩, সৈকত ৫-০-১৫-০, মুরাদ ২২-৬-৫৩-৩, শাহাদাত ৩-০-৮-০)   

চট্টগ্রাম বিভাগ ২য় ইনিংস: ৬ ওভারে ২৪/১ (পিনাক ১৬*, জসিমউদ্দিন ৭, মুরাদ ০*; আবু হায়দার ১-০-৮-০, ইফতেখার ২-০-৭-০, শাহবাজ ২-১-৭-১, শরফুদ্দৌলা ১-০-১০-০)।