শেষ বলে হেরে গেল বাংলাদেশ

একজন ওপেনার টিকে থাকলেন ১৯তম ওভার পর্যন্ত। না তিনি নিজে পেলেন বড় রান। না তাকে ঘিরে ইনিংস গড়ে তুলতে পারল দল। সামর্থ্য নিয়ে সংশয় জাগানো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ কোনোমতে ছাড়াতে পারল ১২০। এই পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই করলেন বোলাররা। কিন্তু তাতে কাজ হলো না। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল পাকিস্তান।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2021, 07:36 AM
Updated : 22 Nov 2021, 11:51 AM

শেষ বলে হার

বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর চেনা আঙিনায় ফিরেও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেটেও কোনোমতে দলটি করতে পারে কেবল ১২৪ রান। এরপরও দারুণ লড়াই করেন বোলাররা। নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ডানহাতের আঙুলে চোট পান তাসকিন আহমেদ। কিছুটা সময়ে বাইরে থাকার পর মাঠে ফিরে চোট নিয়েই করেন দুটি ওভার। অন্য বোলাররাও চেষ্টা করেন সাধ্যমতো। ম্যাচ গড়ায় শেষ বলে। তবুও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।  

মূল বোলারদের ওভার শেষ। শেষ ওভার একজন অনিয়মিত বোলারকে দিতে হতোই। বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক নিজেই। স্রেফ ৮ রানের পুঁজি নিয়েও জাগান জয়ের আশা।

প্রথম ছিল বল ডট। পরের বলে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন সরফরাজ আহমেদ। তৃতীয় বলে লং অনে মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাতে ধরা পড়েন থিতু ব্যাটসম্যান হায়দার আলি।

চতুর্থ বলে ছক্কায় ওড়ান ইফতেখার আহমেদ। ম্যাচে তখনও নাটকীয়তার বাকি। পরের বলেই থার্ড ম্যানে ধরা পড়েন ইফতেখার!

নানা ঘটনা পেরিয়ে শেষ বলে চার মেরে পাকিস্তানের ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ নওয়াজ।  

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৭ (নাঈম ৪৭, শান্ত ৫, শামীম ২২, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সোহান ৪, মেহেদি ৫*, আমিনুল ৩; নওয়াজ ১-০-২-০, দাহানি ৩-০-২৪-১, ওয়াসিম জুনিয়র ৪-০-১৫-২, রউফ ৪-০-০০-১, ইফতেখার ৪-০-১৩-০, কাদির ৪-০-৩৫-২)

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১২৫/৫ (রিজওয়ান ৪০, বাবর ১৯, হায়দার ৪৫, সরফরাজ ৬, ইফতেখার ৬, খুশদিল ০*, নওয়াজ ৪*; মেহেদি ৪-০-১৯-০, তাসকিন ৩.১-০-১৬-০, নাসুম ৪-০-২০-০, শহিদুল ৩.৫-০-৩৩-০, আমিনুল ৪-০-২৬-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১০-৩)

ডেড বল কেন?

শেষ বলে প্রয়োজন ২ রান। পার্টনার খুশদিল শাহর সঙ্গে কথা বলে স্টান্স নিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। আম্পায়ারের বেশ পেছন থেকে বোলার মাহমুদউল্লাহ দৌড়ে এসে বল ছুঁড়লেন। পিচ করার মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন ব্যাটসম্যান। বল আঘাত হানল স্টাম্পে। আম্পায়ার জানালেন ডেড বল! মাহমুদউল্লাহকে দেখাল ক্ষুব্ধ। ব্যাটসম্যানকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

পপিং ক্রিজ পর্যন্ত না এসে বল করে ফেলা নতুন কিছু নয়। স্পিনাররা তো করেনই, পেসাররাও মাঝে মাঝে এমন ডেলিভারি করেন। আম্পায়ার ডেড বল দেওয়ার দেওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ চাইলে রিভিউ নিতে পারতেন কিন্তু তা নেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।

পরে বল করতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে আর ডেলিভারি দেননি মাহমুদউল্লাহ। বসে পড়ে জুতার ফিতা ঠিক করার ভান করেন।

তৃতীয়বারে বল করেন। এগিয়ে এসে চার মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন নওয়াজ।

জুটি ভেঙে শহিদুলের প্রথম উইকেট

অভিষেকে উইকেট পেলেন শহিদুল ইসলাম। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বোল্ড করে জুটি ভাঙলেন এই পেসার।

লম্বা সময় ক্রিজে থাকা পাকিস্তানের কিপার-ব্যাটসম্যান খেলতে চেয়েছিলেন থার্ড ম্যানে। ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ৪৯ বল স্থায়ী ৫১ রানের জুটি।

৪৩ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান করেন রিজওয়ান।

উইকেট পেলেও ওভারে হায়দার আলির ব্যাটে দুটি ছক্কা হজম করেন শহিদুল।

১৬ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ২ উইকেটে ৯৮। ক্রিজে হায়দারের সঙ্গী সরফরাজ আহমেদ। জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে ২৬ রান চাই তাদের।

রিজওয়ান-হায়দারের জুটিতে পঞ্চাশ

বাবর আজমের বিদায়ের পর পাকিস্তানকে টানছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার আলি। তৃতীয় উইকেটে তাদের জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে ৪৭ বলে।

জুটিতে হায়দারের অবদান ২৩ বলে ২০। রিজওয়ান ২৮ করেছেন ২৪ বলে।

১৫ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ১ উইকেটে ৮৩। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৪২ রান চাই তাদের।

মাঠে ফিরলেন তাসকিন

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারটি করতে এসে প্রথম বল শেষেই মাঠ ছেড়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। দশম ওভার শেষে মাঠে ফিরেই বল হাতে পান এই পেসার।

একাদশ ওভারে তাসকিন দেন ৯ রান।

১১ ওভারে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ৫৫। জয়ের জন্য শেষ ৯ ওভারে ৭০ রান চাই সফরকারীদের।

বাবরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন আমিনুল

পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আমিনুল ইসলামকে বোলিংয়ে আনলেন মাহমুদউল্লাহ। তরুণ লেগ স্পিনার দিলেন আস্থার প্রতিদান। বাবর আজমকে ফিরিয়ে ভাঙলেন ৩২ রানের জুটি।

আপাতত দৃষ্টি বলটি ছিল সাদামাটা। পড়েছিল অনেকটা মাঝপিচে। তবে যতটা আশা করেছিলেন বাবর ততটা ওঠেনি। বেশ নিচু হয়ে যাওয়া বলে টাইমিং করতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক। কাউ কর্নারে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

৭ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ১ উইকেটে ৩২। ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী হায়দার আলি।

চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন তাসকিন

দুই পেসার নিয়ে খেলা বাংলাদেশ খেল বড় একটা ধাক্কা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে কেবল একটি বল করেই মাঠ ছাড়লেন তাসকিন আহমেদ।

বাবর আজমের জোরালো শট ঠিক মতো ফিরেন পারেননি এই পেসার। বাঁহাত দিয়ে তাকে ডানহাত চেপে ধরতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর ফিজিও আসার পর তার সঙ্গে মাঠ ছাড়েন তাসকিন। অসামাপ্ত ওভার শেষ করেন অভিষিক্ত পেসার শহিদুল ইসলাম।

৬ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর বিনা উইকেটে ২৮।

সামর্থ্য নিয়ে সংশয় জাগানো ব্যাটিং

দুইশ রানের উইকেট হয়ত নয়, কিন্তু দেড়শ কিংবা এর আশেপাশে যাওয়া যেত অনায়াসেই। সেখানে বাংলাদেশ করতে পেরেছে কেবল ৭ উইকেটে ১২৪ রান।

১২০ বলের ম্যাচে ৫৮টি বলই ডট। এর ২২টি খেলেছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ৫০ বলে করেছেন কেবল ৪৭ রান। ছক্কা ও চার দুটি করে, সঙ্গে ২১টি এক ও তিনটি দুই।

দুই অঙ্ক ছুঁতে পারা চার ব্যাটসম্যানের কারও স্ট্রাইক রেট একশ ছুঁতে পারেনি! চারটি চারে ২৩ বলে ২২ রান করেছেন শামীম হোসেন। দুই ছক্কায় আফিফ হোসেনের রান ২১ বলে ২০।

শেষ ওভারে আউট হওয়া অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১ চারে ১৪ বলে করেছেন ১৩ রান।  

অফ স্পিনার ইফতেখার আহমেদ ৪ ওভারে দিয়েছেন কেবল ১৩ রান। পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

পাকিস্তানের মূল বোলারদের কয়েকজনই নেই এই ম্যাচে। যারা খেলছেন তারা এমন কোনো আহামরী বোলিং করেননি। কিন্তু প্রচুর ডট বল খেলে নিজেরাই বিপদ ডেকে আনেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। স্কিল, সামর্থ্য নিয়ে সংশয় জাগানো ব্যাটিংয়ে কোনোমতে ছাড়াতে পারেন ১২০।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৭ (নাঈম ৪৭, শান্ত ৫, শামীম ২২, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সোহান ৪, মেহেদি ৫*, আমিনুল ৩; নওয়াজ ১-০-২-০, দাহানি ৩-০-২৪-১, ওয়াসিম জুনিয়র ৪-০-১৫-২, রউফ ৪-০-০০-১, ইফতেখার ৪-০-১৩-০, কাদির ৪-০-৩৫-২)

চার মেরেই শেষ সোহান

ক্রিজে গিয়েই চার মারলেন নুরুল হাসান সোহান। পরের বলেই থার্ড ম্যানে ধরা পড়লেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।

২ বলে সোহানের রান ৪।

১৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১১৬।

মন্থর ইনিংস খেলে ফিরলেন নাঈম

উইকেট বেশ ভালো। বাউন্সের কোনো উঠা-নামা নেই। বল ভালোভাবেই আসছে ব্যাটে। এমন উইকেটে একজন ওপেনার খেললেন ১৯তম ওভার পর্যন্ত। তবুও ছুঁতে পারলেন না পঞ্চাশ। মন্থর এক ইনিংস খেলে ফিরলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

রান মোটামুটি নিয়মিতই পান নাঈম। কিন্তু তার সমস্যা স্ট্রাইক রেট। সেটা দেখা গেল আবারও। ৪৭ রান করতে খেললেন ৫০ বল। দুটি করে ছক্কা ও চার থাকা এই ইনিংসে ডট বল ২২টি।

মোহাম্মদ ওয়াসিমের নিচু ফুলটস বল কাজে লাগাতে পারেননি নাঈম। ব্যাটের কানায় লেগে অনেক ওপরে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় জমান বোলার নিজেই।

থিতু হয়ে ফিরলেন আফিফও

শামীম হোসেনের মতো আফিফ হোসেনও পারলেন না ইনিংস বড় করতে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের সম্ভাবনা ইনিংস থামল উসমান কাদিরের বলে ক্যাচ দিয়ে।

দ্বাদশ ওভারে লেগ স্পিনারকে দুটি ছক্কা মেরে ডানা মেলার আভাস দিয়েছিলেন আফিফ। কিন্তু রানের গতি ধরে রাখতে পারেননি পরে। পঞ্চদশ ওভারে কাদির আক্রমণে ফেরার পর আবার ছক্কার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কিন্তু টাইমিং করতে পারেননি, সহজ ক্যাচ গ্লাভসে জমান মোহাম্মদ রিজওয়ান। ভাঙে ৪২ বল স্থায়ী ৪৩ রানের জুটি।

দুই ছক্কায় ২১ বলে ২০ রান করেন আফিফ।

১৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৮৯। ক্রিজে মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

শামীমকে থামালেন কাদির

পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আক্রমণে এলেন উসমান কাদির। দ্বিতীয় বলেই উইকেট পেলেন এই লেগ স্পিনার। ফিরিয়ে দিলেন শামীম হোসেনকে।

প্রথম ম্যাচে ক্রিজে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকা পর্যন্ত লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামকে বোলিংয়ে আনেননি মাহমুদউল্লাহ। তার পথে হাঁটেননি বাবর আজম। সপ্তম ওভারে বল তুলে দেন কাদিরের হাতে। তিনিই ভাঙেন ৩০ রানের জুটি।

বেরিয়ে এসে লেগ স্পিনারকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন শামীম। যতটা ওপরে তুলতে চেয়েছিলেন পারেননি, যতটা দূরে পাঠাতে চেয়েছিলেন সেটাও পারেননি। সহজ ক্যাচ মুঠোয় ইফতেখার আহমেদ।

২৩ বলে চারটি চারে ২২ রান করেন শামীম।

৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৩৯। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন।

পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট

পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো হলো না এবারও। উইকেট না হারিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার জন্য অপেক্ষা বাড়ল আরও।

৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৩৩। ১৮ বলে ২০ রানে খেলছেন তিনে নামা শামীম হোসেন। নিজের মতো করে খেলা মোহাম্মদ নাঈম শেখের রান ১৩ বলে ৭!

অভিষিক্ত শাহনওয়াজ দাহানির বলে শান্ত বোল্ড হয়ে যাওয়ার পর রান বাড়িয়েছেন মূলত শামীম। দলে ফেরা এই বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান তিনে নেমে এখন পর্যন্ত মেরেছেন চারটি চার।

শুরুতেই শেষ শান্ত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয় ডেলিভারিতেই উইকেট পেলেন শাহনওয়াজ দাহানি। আগের ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার নাজমুল হোসেন শান্তকে এবার ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই হারাল বাংলাদেশ।

দাহানির প্রথম বলটি ছিল ৯০ মাইল গতির। অফ স্টাম্পের বাইরের সেই শর্ট ডেলিভারি বাউন্ডারিতে পাঠান শান্ত। তৃতীয় বলটিও দাহানি করেন গতিময়। এবার ফুল লেংথ। শান্ত ফ্লিক করার চেষ্টায় ওভারব্যালান্সড হয়ে মিস করেন লাইন। বল উড়িয়ে দেয় বেলস। আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন দাহানি।

৫ বলে ৫ রানে আউট শান্ত। বাংলাদেশের রান ১.৩ ওভারে ১ উইকেটে ৭।

ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন।

দাহানির অভিষেক, ফিরলেন সরফরাজ-কাদির-ইফতেখার

অনেক দিন ধরেই দলের সঙ্গে থাকা পেসার শাহনওয়াজ দাহানি পাচ্ছেন নিজের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ। অভিষেক হচ্ছে তরুণ এই পেসারের।

দলে ফিরছেন কিপার-ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ, ব্যাটসম্যান ইফতেখার আহমেদ ও লেগ স্পিনার উসমান কাদির।

ছেলের অসুস্থতায় দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ায় শোয়েব মালিকের না থাকা আগেই নিশ্চিত ছিল। এক ম্যাচে ফের বিশ্রাম পেয়েছেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। শাদাব খান ও ফখর জামানও পেয়েছেন বিশ্রাম।

পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), সরফরাজ আহমেদ, ইফতেখার আহমেদ, হায়দার আলি, হারিস রউফ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, উসমান কাদির, শাহনওয়াজ দাহানি।

সাইফ বাদ, শহিদুলের অভিষেক

তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচের বাজে পারফরম্যান্সে বাদ পড়েছেন ওপেনার সাইফ হাসান। আগের ম্যাচে কিছুটা চোট পাওয়া দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম নেই দলে।

অভিষেক হচ্ছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার শহিদুল ইসলামের। দলে ফিরেছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।

আগের দুই ম্যাচে তিন পেসার নিয়ে খেলা বাংলাদেশ খেলছে দুই পেসার নিয়ে।

বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শেখ মেহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শহিদুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

টানা তৃতীয় ম্যাচে টস জিতলেন মাহমুদউল্লাহ। তৃতীয়বারের মতো ব্যাটিং নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর আশায় বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে ভরাডুবির ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই দেশের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কায় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া মাহমুদউল্লাহর দল মরিয়া জয় দিয়ে সিরিজ করতে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শুরু হবে বেলা দুইটায়।