মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার ৩৪ বলে পাঁচ চারে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। তিনি ছাড়া দলের আর কেউ ২০ ছাড়াতে পারেননি। বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর থমকে যায় রানের গতি। শেষ পর্যন্ত কেবল ১০৮ রান করা বাংলাদেশ হারে ৮ উইকেটে।
ম্যাচ শেষে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় আফসোসের সুরে শান্ত বললেন, তার এই ইনিংস দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
“আমি ইনিংসটা বড় করলে দল আরেকটু ভালো অবস্থানে যেত। (টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের জন্য) ৪০ রান দলকে জেতার অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার মতো ইনিংস নয়। আমার মনে হয় না, আমরা জেতার মতো রান করেছি। আমি যদি (ইনিংস) আরেকটু বড় করতাম, ৪০ রানটা যদি ৭০ হতো তাহলে হয়ত (দলের রান) ১৬০ বা ১৫০ এর বেশি হতে পারত। তাহলে ভিন্ন চিত্র হতে পারত।”
অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড সিরিজের মতো স্পিন মঞ্চ নয় এবারের মিরপুরের উইকেট। প্রথম ম্যাচের উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুটা সহায়তা থাকলেও বাংলাদেশ করে ১২৭ রান। পরের ম্যাচে উইকেট আরও ভালো, কিন্তু শেষের বাজে ব্যাটিংয়ে থেমে যায় একশ পেরিয়েই।
অনেক দিন ধরেই টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারছে না বাংলাদেশ। শান্তও কাঠগড়ায় তুললেন সেই ব্যাটিংকেই।
“মিরপুরে স্পিনারদের জন্য সবসময়ই বাড়তি সুবিধা থাকে।… আমরা এর চেয়ে আরও ভালো ব্যাটিং করতে পারি। আগের ম্যাচের চেয়ে আজ একটু ভালো উইকেট ছিল। স্পিনে যেটা হচ্ছিল, কিছু বল গ্রিপ করছিল। পেস বলে ভালো বাউন্স ছিল। মাঝেমধ্যে বাড়তি বাউন্স ছিল। তবে আগের ম্যাচের চেয়ে তুলনামূলক ভালো উইকেট ছিল এই ম্যাচে।”
“গত দুই হোম সিরিজে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এবার দুই ম্যাচ হেরেছি। ভালো-খারাপ হতে পারে। আমাদের ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। ব্যাটসম্যানরা ভালো ব্যাটিং করতে পারলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারত।”
টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ে দুঃস্বপ্নের অধ্যায়ের সমাপ্তি টানতে আপাতত আরেকটা সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সোমবার মিরপুরেই পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে মাহমুদউল্লাহর দল।