সহজ জয় পাকিস্তানের
স্রেফ ১০৮ রানের পুঁজি নিয়ে যা হওয়ার কথা ছিল, হলোই তা-ই। লড়াই সেভাবে জমাতে পারল না বাংলাদেশ। ৮ উইকেটের জয়ে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করে ফেলল পাকিস্তান।
শুরুতে বাবর আজমকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে রিজওয়ান ও ফখর জামানের ৮৫ রানের জুটিতে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় পাকিস্তান। হায়দার আলিকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন ফখর।
৫১ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন ফখর।
প্রথম ম্যাচে দারুণ লড়াইয়ের পর ৪ উইকেটে জয়ী পাকিস্তান এবার জিতল অনায়াসেই। ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের সিরিজ হার।
এই নিয়ে টানা ৭ ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। দেশের মাঠে টানা তিনটি সিরিজ জয়ের পর এবার সিরিজ হারের স্বাদও পেতে হলো।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১০৮/৭ (নাঈম ২, সাইফ ০, শান্ত ৪০, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১২, সোহান ১১, মেহেদি ৩, আমিনুল ৮*, তাসকিন ২* ; আফ্রিদি ৪-০-১৫-২, ওয়াসিম ৩-০-৯-১, মালিক ২-০-১৬-০, রউফ ৩-০-১৩-১, শাদাব ৪-০-২২-২, নওয়াজ ৪-০-২৫-১)।
পাকিস্তান: ১৮.১ ওভারে ১০৯/২ (রিজওয়ান ৩৯, বাবর ১, ফখর ৫৭*, হায়দার ১*; মেহেদি ৪-০-২৩-০, তাসকিন ৪-০-২২-০, মুস্তাফিজ ২.১-০-১২-১, শরিফুল ১.৫-০-১০-০, আমিনুল ৪-০-৩০-১, শান্ত ১.১-০-৪-০, আফিফ ১-০-৬-০)।
অবশেষে আমিনুলের উইকেট
জীবন পাওয়ার পর আর বেশিক্ষণ টিকলেন না মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুটি ক্যাচ হাতছাড়া হওয়ার পর অবশেষে প্রথম উইকেটের দেখা পেলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
আমিনুলকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন রিজওয়ান। তাকে এগিয়ে আসতে দেখেই বল একটু বাইরে করেন আমিনুল। ফ্লাইটে বিভ্রান্ত রিজওয়ান টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল যায় পয়েন্টে সাইফ হাসানের হাতে।
৪৫ বলে ৩৯ রান করে আউট হলেন রিজওয়ান।
আরেকটি ক্যাচ হাতছাড়া
আরও একবার উইকেটের সুযোগ তৈরি করেও উইকেট পেলেন না আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। এবার সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
আমিনুলের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টাইমিং করতে পারেননি রিজওয়ান। সহজ ক্যাচ ওঠে শর্ট ফাইন লেগে। বিস্ময়করভাবে তা ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। রিজওয়ান রক্ষা পেলেন ৩৮ রানে।
ফখর জামানের ফিফটি
শান্ত ব্যাটিংয়ে অনেকক্ষণ এগিয়ে এবার অশান্ত ফখর জামান। শরিফুল ইসলামের বলে মারেন ছক্কা, তাসকিন আহমেদকে আছড়ে ফেলেন গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড গ্যালারিতে। ফিফটি স্পর্শ করে ফেললেন তিনি ৪০ বলে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫৫ ইনিংসে তার ৭ম ফিফটি এটি।
মাঠের ভেতরে দর্শক
উত্তেজনাহীন ম্যাচে হঠাৎ নাটক। ১৪তম ওভারের শুরুতে নর্দান গ্যালারির দ্বিতীয় তলা থেকে নেমে গ্যালারির কাঁটাতার টপকে মাঠে ঢুকে গেলেন এক দর্শক। মাঠের বাইরে থাকা মাঠকর্মীরা চেষ্টা করেও পারলেন না তাকে আটকাতে। সবাইকে ফাঁকি দিয়ে ওই দর্শক মাঠের ভেতরে ঢুকে মুস্তাফিজুর রহমানের সামনে গিয়ে ভঙ্গি করলেন সিজদার মতো। পরে নিরাপত্তকর্মীরা তাকে নিয়ে গেলেন মাঠের বাইরে।
জুটির ফিফটি
জীবন পাওয়ার বলে ফখর জামানের বাউন্ডারি জুটির রান স্পর্শ করল ফিফটি।
৫৩ বলে এলো দ্বিতীয় জুটির পঞ্চাশ। তাতে রিজওয়ানের অবদান ১৯, ফখরের ৩০।
সুযোগ হাতছাড়া
জুটি ভাঙার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ক্যাচ নিতে পারলেন না সাইফ হাসান।
লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে স্লগ করেছিলেন ফখর জামান। টাইমিং ঠিকমতো হয়নি। মিড উইকেট সীমানায় বলের নিচে খুব ভালো পজিশনে দাঁড়ান সাইফ, বল হাতেও পান। কিন্তু ফসকে যায় তার মুঠো থেকে। উল্টো বল গড়িয়ে যায় বাউন্ডারিতে।
২৬ রানে জীবন পেলেন ফখর।
মাঝপথে ঠিক পথ পাকিস্তান
ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে লক্ষ্য ছোঁয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ১০ ওভার শেষে তাদের রান ১ উইকেটে ৫০।
৩৩ বলে ২৬ রানে খেলছে রিজওয়ান, ২২ বলে ২০ রানে অপরাজিত ফখর।
পাওয়ার প্লেতে সাবধানী পাকিস্তান
লক্ষ্য মোটেও বড় নয়, পাকিস্তানের ব্যাটিংয়েও তাড়া নেই। বাবর আজমকে হারানো দল এগিয়ে যাচ্ছে ধীরপায়ে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে রান ১ উইকেটে ২৬।
রিজওয়ান ব্যাট করছেন ২২ বলে ১৩ রান নিয়ে, ৮ বলে ৯ ফখর।
রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
উইকেট নিতে মরিয়া বাংলাদেশ রিভিউ হারাল পঞ্চম ওভারে। মুস্তাফিজুর রহমানের বল ফ্লিক করার চেষ্টায় লাগে মোহাম্মদ রিজওয়ানের প্যাডে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন বাংলাদেশ। তবে রিভিউয়ে দেখা যায়, বল পিচ করে লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে।
মুস্তাফিজের শিকার বাবর
প্রথম ম্যাচের মতো এবারও ভালো কিছু করতে পারলেন না বাবর আজম। আগের দিনের মতোই পাকিস্তান অধিনায়ক আউট হলেন বাইরের বল স্টাম্পে টেনে। বোলার যদিও ভিন্ন। শুক্রবার ছিলেন তাসকিন আহমেদ, এবার মুস্তাফিজুর রহমান।
ইনিংসের সেটি তৃতীয় ওভার, মুস্তাফিজের দ্বিতীয়। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে আরও বেরিয়ে যাওয়া বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালান বাবর। বল আসে একটু থেমে, ব্যাটের কানায় লেগে ছোবল দেয় স্টাম্পে।
৫ বলে ১ রানে আউট বাবর। ১০৯ রান তাড়ায় পাকিস্তান ২.৩ ওভারে ১ উইকেটে ১২।
১০৮ রানে আটকে গেল বাংলাদেশ
আগের দিনের মতো শেষের ১০ ওভারে ঝড়ো ব্যাটিং উপহার দিতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে রান ৬৪, সেই দল পরের ১০ ওভারে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে করতে পারল মোটে আর মোটে ৪৪ রান। মিরপুরের বিবেচনায় যথেষ্ট ভালো ব্যাটিং উইকেটেও ২০ ওভারে রান ৭ উইকেটে ১০৮।
প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন চেষ্টা করেন দলকে এগিয়ে নিতে। তবে তারা দুজন পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। আর কেউ পারেননি এই দুজনের মতো খেলতেও।
প্রথম ম্যাচে বিশ্রাম পাওয়ার পর একাদশে ফিরে পাকিস্তানের সেরা বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে তার শিকার ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: *২০ ওভারে ১০৮/৭ (নাঈম ২, সাইফ ০, শান্ত ৪০, আফিফ ২০, মাহমুদউল্লাহ ১২, সোহান ১১, মেহেদি ৩, আমিনুল ৮, তাসকিন ২* ; আফ্রিদি ৪-০-১৫-২, ওয়াসিম ৩-০-৯-১, মালিক ২-০-১৬-০, রউফ ৩-০-১৩-১, শাদাব ৪-০-২২-২, নওয়াজ ৪-০-২৫-১)। |
আফ্রিদির শিকার সোহান
শেষ দিকে ঝড় তুলতে পারলেন না নুরুল হাসান সোহানও। আগের দিন দারুণ খেলা ব্যাটসম্যান এবার আউট হলেন ১৩ বলে ১১ রান করে।
বড় শট খেলার আশায়ই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সোহান। আফ্রিদি বল করেন স্টাম্পের বাইরে। গতিময় ডেলিভারি কেবল ব্যাটে হালকা ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় কিপারের গ্লাভসে।
১৮.৩ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১০২।
অল্পতে শেষ মেহেদি
আগের দিন ব্যাট হাতে দারুণ অবদান রাখলেও এবার পারলেন না শেখ মেহেদি হাসান। আউট হলেন ৮ বলে ৩ রান করে।
মোহাম্মদ নওয়াজের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে শট খেলার চেষ্টা করেন মেহেদি। বোলার তা দেখেই খাটো করে দেন লেংথ। বলের পিচ পর্যন্ত না গিয়েই চালিয়ে দেন মেহেদি। বল যায় সোজা বোলারের হাতে।
১৫.৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ৮৮।
রিভিউ হারাল পাকিস্তান
শাদাব খানের গুগলি ঠিকমতো খেলতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। বল লাগে তার প্যাডে। পাকিস্তানের জোরাল আবেদনে আঙুল তোলেননি আম্পায়ার। পাকিস্তান নেয় রিভিউ। তবে দেখা যায়, বল চলে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে।
দুর্দান্ত ক্যাচে শান্তর বিদায়
মাহমুদউল্লাহকে হারানোর ধাক্কা সামলে নেওয়ার আগেই আরেকটি জোর ধাক্কা হজম করল বাংলাদেশ। নিজের বলে শাদাব খানের অসাধারণ ক্যাচে আউট হলেন দারুণ খেলতে থাকা শান্ত।
শাদাবের ফুল লেংথ বল আলতো করে ড্রাইভ করে নিচে রাখতে পারেননি শান্ত। বল যায় মিড অনের দিকে। বোলার শাদাব ফলো থ্রুতে একটু থমকে বাঁদিকে ফুল লেংথ ডাইভ দিয়ে দুই হাতে বল তালুবন্দি করেন।
ছোট্ট টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেলে শান্ত আউট ৩৪ বলে ৪০ রান করে। বাংলাদেশ ১৩.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৮২।
নতুন ব্যাটসম্যান শেখ মেহেদি হাসান।
পারলেন না মাহমুদউল্লাহ
শুরুটায় ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত বড় কিছু করতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়ক আউট হলেন ১৫ বলে ১২ রান করে।
হারিস রউফের অফ স্টাম্পের বাইরের বল লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠে একটু। মাহমুদউল্লাহ মুহূর্তের জন্য দ্বিধায় পড়ে যান, খেলবেন নাকি ছাড়বেন। শেষ পর্যন্ত থার্ডম্যানে গ্লাইড করার চেষ্টা করেন। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় কিপারের গ্লাভসে।
বাংলাদেশ ১২.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৯।
নতুন ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান।
মাঝপথে বাংলাদেশ
আফিফ হোসেনের বিদায়ের পর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সঙ্গে আছেন মাহমুদউল্লাহ। শান্ত খেলেছেন দারুণ কিছু শট। রানিং বিটুইন দা উইকেটও দুর্দান্ত হচ্ছে। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৬৪।
শান্ত খেলছেন ২৫ বলে ৩৪ রান করে।
রিভিউয়ে টিকলেন মাহমুদউল্লাহ
উইকেটে গিয়ে দ্বিতীয় বলেই বিপদে পড়ে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। শাদাব খানের বলে প্যাডল স্কুপ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। বল লাগে প্যাডে। আউট দেন আম্পায়ার তানভির আহমেদ। মাহমুদউল্লাহ নেনন রিভিউ। তাতে দেখা যায়, বল ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে।
দারুণ সম্ভাবনাময় ইনিংস শেষ হলো বাজেভাবে। শাদাব খানকে উইকেট উপহার দিয়ে ফিরলেন আফিফ হোসেন।
শাদাব ডেলিভারি করার আগেই রিভার্স সুইপের পজিশনে চলে যান আফিফ। শাদাব বল দেন একটু টেনে। আফিফের ব্যাটের মাথায় লেগে বল ওঠে ওপরে। সহজ ক্যাচ নেন কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
২১ বলে ২০ রান করে আউট হলেন আফিফ। ভাঙল শান্তর সঙ্গে তার ৪৬ রানের জুটি।
বাংলাদেশ ৮.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৫১।
নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।
ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা
প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন চেষ্টা করছেন জুটি গড়ার। দুই বাঁহাতির জন্য পঞ্চম ওভারে শোয়েব মালিকের অফ স্পিন আক্রমণে আনেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তবে বিপদ হয় বাংলাদেশের।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৬।
১৪ বলে ১৬ রানে খেলছেন শান্ত, ১৩ বলে ১৩ আফিফ।
তৃতীয় ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির লেগ স্টাম্পে থাকা ডেলিভারিতে চোখধাঁধানো এক ফ্লিক শটে গ্যালারিতে বল পাঠান আফিফ। পরের বলটি আফিফ ডিফেন্স করেন। নিজের বলে ফিল্ডিং করে ঘুরে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং প্রান্তের স্টাম্পে সজোরে থ্রো করে বসেন আফ্রিদি। অথচ আফিফ ক্রিজ ছেড়ে বের হননি, রান নিতেও উদ্যত হননি।
আফ্রিদির সেই থ্রো গিয়ে লাগে আফিফের পায়ের পেছন দিকে। একটু খুঁড়িয়ে তখনই ক্রিজে পড়ে যান আফিফ। বোলার আফ্রিদি হাত উঁচিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন। বাংলাদেশের ফিজিও মাঠে ঢুকে শুশ্রূষা করার পর আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ান আফিফ।
বাজে শটে নাঈমের বিদায় আরেকবার
প্রথম ম্যাচের মতোই বাজে পায়ের কাজের আরেকটি নমুনা মেলে ধরে আউট হলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। প্রধম দুই ওভারেই দুই উইকেটের দেখা পেল পাকিস্তান।
মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে সাধারণ এক লেংথ। নাঈম সেটিতেই ব্যাট চালিয়ে দিলেন জায়গায় দাঁড়িয়ে, পা বলের কাছে যায়নি একটুও। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় স্লিপে ফখর জামানের হাতে।
নাঈম আউট হলেন ৮ বলে ২ রান করে। বাংলাদেশ ২ ওভারে ২ উইকেটে ৫।
নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন, তার সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।
একাদশে ফিরে প্রভাব রাখতে খুব একটা সময় নিলেন না শাহিন শাহ আফ্রিদি। ম্যাচের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিলেন সাইফ হাসানকে। অভিষেক ম্যাচে ১ রানে আউট হওয়ার পর তরুণ ওপেনার এবার আউট হলেন প্রথম বলেই।
ওভারের প্রথম চার বল খেলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। চতুর্থ বলে মিস ফিল্ডিং থেকে একটি রান পান তিনি। পরের বলেই সাইফকে ফেরান আফ্রিদি। ফুল লেংথ বল পিচ করে ভেতরে ঢোকে আরেকটু। ওই গতি আর মুভমেন্টের জবাব ছিল না সাইফের। বলের কাছাকাছিও ছিল না ব্যাট। বল লাগে প্যাডে। জোরালো আবেদন সাড়া দেননি আম্পায়ার তানভির আহমেদ। তবে রিভিউ নিয়ে সফল হয় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১।
ফিরলেন আফ্রিদি
প্রথম ম্যাচে বিশ্রামে থাকা বাঁহাতি ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে ফিরিয়েছে পাকিস্তান। এবার বিশ্রাম পেয়েছেন প্রথম ম্যাচের ম্যান অব দা ম্যাচ হাসান আলি।
পাকিস্তানের একাদশে পরিবর্তন এই একটিই।
পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, হায়দার আলি, শোয়েব মালিক, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান আলি, মোহাম্মদ ওয়াসিম, শাহিন শাহ আফ্রিদি। |
একই একাদশ বাংলাদেশের
প্রথম ম্যাচের একাদশই অপরিবর্তিত রেখেছে বাংলাদেশ। হতাশাজনক অভিষেকের পর আরেকটি সুযোগ পাচ্ছেন ওপেসার সাইফ হাসান। প্রথম ম্যাচে যাকে বোলিং না করানো নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, সেই আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও আছেন আরও একবার।
বাংলাদেশ একাদশ: সাইফ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান |
আবার টস জিতলেন মাহমুদউল্লাহ
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সিদ্ধান্তও তার একই। টস জিতে আবার ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, উইকেট দেখে তিনি পরিষ্কার কোনো ছবি দেখতে পাচ্ছেন না। তবে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হবে বলেই তার ধারণা। আগে ব্যাট করে ভালো স্কোর গড়তে চান তিনি।
পাকিস্তান অধিনায়ব বাবর আজম বললেন, টস জিতলে তিনি আগে বোলিংই করতেন।
‘ব্যাটিং’ উইকেট
আগের দিনের চেয়ে ভিন্ন উইকেটে খেলা এই ম্যাচ। পিচ রিপোর্টে ধারাভাষ্যকার এড রাইন্সফোর্ড বললেন, উইকেট বেশ বাদামী। বাউন্স সমান থাকবে বলেই ধারণা তার এবং তার মতে, উইকেট বেশ ব্যাটিং সহায়ক হবে।
মাঠের সবচেয়ে লম্বা আজকে ৮০ মিটার, সবচেয়ে ছোট পাশের দৈর্ঘ্য ৫৭ মিটার।
সমতা কিংবা সিরিজ জয়
পরপর দুই দিন ম্যাচ। হতাশায় ডুবে থাকা কিংবা ভুল শোধরানোর কাজ করার সুযোগ নেই। জয়ের তৃপ্তিতে বুঁদ থাকার সময়ও নেই। নেমে পড়তে হচ্ছে আরেকটি লড়াইয়ে। পাকিস্তানের জন্য এই ম্যাচ সিরিজ জয় নিশ্চিত করার, বাংলাদেশের জন্য সিরিজে টিকে থাকার।