শেষদিকে এরকম হতেই পারে: মাহমুদউল্লাহ

পাওয়ার প্লের বাজে ব্যাটিংয়ের মতো ভোগাচ্ছে শেষের বোলিংও। শেষে গিয়ে লাইন, লেংথ কিছুই যেন বুঝে উঠতে পারছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। এর মাশুল দিতে হচ্ছে ম্যাচ হেরে। ডেথের বোলিং নিশ্চিতভাবেই দুর্ভাবনার ব্যাপার। তবুও বোলারদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেন মাহমুদউল্লাহ। পাকিস্তানের বিপক্ষে আশা জাগিয়েও হেরে যাওয়ার পর বললেন, শেষের দিকে এমন বোলিং কখনও কখনও হতেই পারে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2021, 02:20 PM
Updated : 19 Nov 2021, 04:47 PM

ভরাডুবির বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে চারটি ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ। এর তিনটিতে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া অনায়াসে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। অন্যটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেগেছিল আশা। লঙ্কানদের শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪৬ রান। তারা জিতে যায় ৭ বল বাকি থাকতেই।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শেষ ৩ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের সম্ভাবনা বেঁচে ছিল ভালোভাবেই।

তিন ওভারে তৃতীয়টি কে করবেন এ নিয়ে হয়ত চিন্তায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অন্য দুটির জন্য ছিলেন দুই বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। খরুচে বোলিংয়ে দুই ওভারে ১৫ রান করে দিয়ে ম্যাচ কার্যত শেষ করে দেন তারাই।  

মুস্তাফিজকে একটি করে ছক্কা ও চার মারেন শাদাব খান। সেই ওভারে একটি চার মারা মোহাম্মদ নওয়াজ পরের ওভারে শরিফুলকে ওড়ান দুই ছক্কায়। শেষ ওভারে ছক্কায় আনুষ্ঠানিকতা সারেন শাদাব।

অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড সিরিজের মতো উইকেটে বোলারদের জন্য প্রবল সহায়তা ছিল না। তবে কিছুটা যে ছিল ম্যাচ শেষে স্বীকার করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক হারের জন্য তার বোলারদের তেমন একটা দায় দেখেন না। তিনি মনে করেন, শাদাব ও নওয়াজের দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ বের করে নিয়েছে পাকিস্তান।

“আজকে ওরা ভালো ব্যাটিং করেছে শেষের দিকে। এ কারণে হয়তো হয়নি।”

৫ উইকেটের হারের পর বোলিং নিয়ে কিছুটা হতাশা থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে মাহমুদউল্লাহর মতে, শেষ দিকে এমন খরুচে ওভার হতেই পারে ক্রিকেটে।

“(শেষের বোলিং) হতাশার নয়। সব বোলারই ভালো বোলিং করেছে। শুরুতে উইকেট নিয়েছে। সব বোলারই ভালো বোলিং করেছে। শেষদিকে এরকম অনেক সময় হতেই পারে, একটা ওভারে একটু বেশি রান হয়, কারণ ব্যাটসম্যানরাও ওই সময়ে চেষ্টা করছিল। কয়েকটা ভালো শটও খেলেছে ওদের ব্যাটসম্যান। তবে আমার মনে হয়, মুস্তাফিজ ভালো বোলিং করেছে।”

“পরে ওরা ভালো জুটি করেছে, তাই (জিততে পারিনি)।”

প্রথম ৩ ওভারে কেবল ১৬ রান দেওয়া শরিফুল ইসলাম শেষ পর্যন্ত দেন ৩১ রান। প্রথম ২ ওভারে কেবল ৩ রান দেওয়া মুস্তাফিজ ৪ ওভারে দেন ২৬। এমনিতে দুই জনের কারো বোলিং ফিগার খারাপ নয়। কিন্তু শেষ দিকে তাদের ১৫ রানের দুটি খরুচে ওভার বাংলাদেশের হারে রেখেছে বড় ভূমিকা।