দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দেখে আমিনুলকে বোলিং দেননি অধিনায়ক

দলে ফেরার ম্যাচে বোলিং পেলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তবে তার জন্য সেটি সম্ভবত হয়ে দাঁড়াল নির্মম এক রসিকতা। পাকিস্তানের তখন প্রয়োজন যে ১ ওভারে মোটে ২ রান! তিনি একাদশে ছিলেন বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে। এই মুহূর্তে জাতীয় দলে ও আশেপাশে থাকা একমাত্র লেগ স্পিনার তিনি। তবুও তাকে আরও আগে বোলিংয়ে আনা যায়নি। কারণ, দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যে ক্রিজে ছিলেন!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2021, 01:58 PM
Updated : 19 Nov 2021, 04:46 PM

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের রান তাড়ায় প্রথম ১৯ ওভারে বোলিংয়েই আনা হয়নি আমিনুলকে। যখন আনা হলো, ম্যাচে কেবল আনুষ্ঠানিকতাই বাকি।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাস্তবতায় তাকে বোলিং থেকে দূরে রাখার কারণটা অনুমিতই। পাওয়ার প্লে শেষে আমিনুলকে যখন বোলিংয়ে আনার কথা, তখন ক্রিজে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফখর জামান ও খুশদিল শাহ। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের সামনে বাঁহাতি স্পিনারকে বোলিং না করানোর ধারা তো বাংলাদেশ ক্রিকেটে চলমান এবং তুমুল আলোচিত। বাঁহাতিদের সামনে লেগ স্পিনারকে না আনার ঘটনা আগেও দেখা গেছে। এবার দেখা গেল আরেকবার।

লম্বা সময় উইকেটে কাটিয়ে এই জুটি ভাঙে ১৫তম ওভারে ফখর জামানের বিদায়ে। আরেক বাঁহাতি খুশদিল শাহ আউট হন ১৭তম ওভারে। আমিনুল তখনও বোলিং ক্রিজের ধারেকাছে নেই।

পঞ্চম বিশেষজ্ঞ বোলার আমিনুলের জায়গায় দুই বাঁহাতির জন্য মাহমুদউল্লাহ ব্যবহার করেন নিজের অফ স্পিন। প্রথম ২ ওভারে কেবল ৯ রান দিলেও তিনি শেষ ওভারে দেন ১০ রান। বোলিং ফিগার তার পরও খারাপ নয়। কিন্তু আসল কাজ যেটি, সেই উইকেট এনে দিতে পারেননি দলকে।

ফখর ও খুশদিলের জুটি তাই গড়ে ওঠে। শেষ দিকে উইকেট হাতে থাকায় মূল বোলারদের উড়িয়ে পাকিস্তান জিতে যায় ম্যাচ।

অথচ লেগ স্পিনাররা বরাবরই উইকেটশিকারি বোলার। পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান যখন প্রবল চাপে, তখন অনায়াসেই আমিনুলকে বোলিংয়ে আনা যেত।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ছোট কথায় জানালেন, আমিনুলকে কেন বোলিং করাননি।

“পরিকল্পনা ছিল বোলিং করানোর। পরে যেহেতু দুটি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছিল, তাই আমাকে বোলিং করতে হয়।”