২০ ওভারের এই ধুম-ধাড়াক্কা ক্রিকেটেও শের-ই-বাংলার ২২ গজে রান করতে ভুগতে হয় ব্যাটসম্যানদের। এখানে সবশেষ দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে তো উইকেট ছিল ব্যাটসম্যানদের জন্য দুঃস্বপ্ন।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানের স্পিনে চিরকালীন দুর্বলতা ও অনভিজ্ঞতার জন্য স্পিন সহায়ক উইকেটের তবু যৌক্তিকতা ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই পথে হাঁটলে বিপদের সম্ভাবনা প্রবল। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা স্পিন যেমন ভালো খেলে, তেমনি তাদের স্পিন আক্রমণও বেশ ভালো।
বিশ্বকাপে দলের বাজে পারফরম্যান্সের পর প্রবল সমালোচনা হয়ে আসছে মিরপুরের উইকেট নিয়েও। এখানে খেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টির অভ্যস্ততা গড়ে উঠছে না বলে মনে করেন অনেকেই।
অবশেষে এবার উইকেটের চরিত্র ভিন্ন ধরনের হবে বলে মনে করছেন মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগের দিন উইকেট দেখার পর সেটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কিছুটা ধারণা দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“উইকেট ভালোই মনে হলো। আশা করি, এটা ভালো উইকেট হবে। বিশ্বকাপের পর আমাদের বড় একটা চ্যালেঞ্জ এই সিরিজে ভালো ক্রিকেট খেলার এবং সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়ার জন্য ভালো একটা সুযোগ।”
মাহমুদউল্লাহ পরে আরেক দফায়ও বললেন, এবার উইকেট নিয়ে সবার চাওয়া (ভালো উইকেটের) পূরণ হবে।
“উইকট এখনও দেখতে পারিনি। তাই বলতে পারছি না। যে কোনো কিছুই হতে পারে। আগের মতো উইকেট হোক বা ভিন্ন… ঢাকায় যত ম্যাচ খেলেছি, কিছুটা ধীরগতির থাকে উইকেট। স্পিনারদের সহায়তা থাকে। তবে বিপিএলে খেলেছি সেই ৪-৫ বছর আগে (২০১৭ সালে)। আজকে গিয়ে উইকেট দেখে পরিকল্পনা করব যে কীভাবে খেলব।”
“(পরিকল্পনা) সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতোই থাকবে। অনুশীলন করে যতটা বুঝেছি, আমিরাতের মতো রান এখানে হবে না। এখানে হাতে উইকেট রাখতে হবে। তাহলে কাজ সহজ হবে পরে। বিশ্বকাপেও যেমন আমরা উইকেট হাতে রেখে পরে শেষ ৭-৮ ওভারে যতটা সম্ভব বেশি রান করতে চেয়েছি, এই পরিকল্পনাই থাকবে এখানে।”