পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেন, এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মুশফিককে।
তখনও পর্যন্ত এটা খুব বেশি আলোচনার জন্ম দেয়নি। তবে বুধবার সাক্ষাৎকারে মুশফিক নিজে দাবি করেন, বিশ্রাম নয়, বাদই দেওয়া হয়েছে তাকে। টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতির জন্য বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচকরা জানালেও মুশফিক বলেন, প্রস্তুতির যথেষ্ট সুযোগ রাখা হয়নি তার জন্য।
বিশ্বকাপে মুশফিকের যা পারফরম্যান্স ও তার গোটা টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের যা ছবি, তাতে সামনে তাকিয়ে তাকে বাদ দেওয়া হলে তা বিস্ময়কর হতো না। কিন্তু বিশ্রামের মোড়কে বাদ কিংবা বিশ্রাম-বাদের লুকোচুরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং মুশফিকই।
সিরিজ শুরুর আগের দিন মাহমুদউল্লাহর সংবাদ সম্মেলনে অনুমিতভাবেই উঠে এলো এই প্রসঙ্গ। বাংলাদেশ অধিনায়ক তা ঠেলে দিলেন অন্য দিকে।
“এটা আমার মনে হয়, টিম ম্যানেজমেন্টের কাউকে প্রশ্ন করলে ভালো হবে। আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। শুধু এটুকু বলতে চাইছি, মুশফিককে আমরা অবশ্যই মিস করতে যাচ্ছি।”
অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহ নিজেও টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ হওয়ার কথা। সেটি মনে করিয়ে দেওয়া হলে তিনি বললেন, “মুশফিক কি বলেছে, আমি নিজেও জানি না। আমি দেখি, জানি। তার পর আমাদের কথা হবে।”
মুশফিককে নিয়ে কৌতূহল থেমে থাকেনি সেখানেই। পরে আবার জিজ্ঞেস করা হলো। মাহমুদউল্লাহ আবার এড়িয়ে গেলেন।
“এই মুহূর্তে… আমার মনে হয়, সিরিজের আগে এই ধরনের প্রশ্নে মন্তব্য না করাই ভালো।”
তবু পরের প্রশ্নটিই আবার হলো মুশফিককে নিয়ে। অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকের বাদ বা বিশ্রামে তার ভূমিকা কতটুকু ছিল? মাহমুদউল্লাহ এবার গভীরে যেতে না চেয়েও বুঝিয়ে দিলেন, সমস্যার মূল বেশ গভীরে।
“আমার অবস্থান নিয়ে যদি কথা বলতে যাই, তাহলে অনেক কথাই বলা হবে এবং এটা অনেক ভেতরের কথা। আমার মনে হয় না, এসব আমার বলা উচিত। অ্যাপ্লিকেবল না এই মুহূর্তে। আমার কাছে মনে হয়, মুশফিক সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে টিম ম্যানেজমেন্ট।”