চোট নিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিলেন ওয়েড

কোনোভাবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দলের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি ম্যাথু ওয়েড। তাই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সাইড স্ট্রেইন নিয়েই মাঠে নেমে যান অস্ট্রেলিয়ার এই কিপার-ব্যাটসম্যান। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2021, 10:20 AM
Updated : 18 Nov 2021, 10:20 AM

গত রোববার দুবাইয়ে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক শিরোপা ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। দলটির এই পথচলায় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ওয়েড।

বিশ্বকাপে দেশের হয়ে সবগুলো ম্যাচই খেলেন ওয়েড। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সুযোগ মেলে কেবল তিনবার। এর একটি তিনি কাজে লাগান দারুণভাবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে ১৭ বলে ৪১ রানের খুনে ইনিংস খেলে দলকে পৌঁছে দেন শিরোপার মঞ্চে।

ফাইনালের আগের দিন বাধে বিপত্তি। অনুশীলনের শেষ মুহূর্তে সমস্যা দেখা দেয় সাইড স্ট্রেইনের জন্য। শুরুতে স্ক্যান করাতে চাননি এই কিপার-ব্যাটসম্যান। পরে দলের সিদ্ধান্তে করানো পরীক্ষায় গ্রেড টু টিয়ার ধরা পড়ে তার।

স্ক্যানের ফল যে খুব ভালো কিছু নয়, জানতেন অস্ট্রেলিয়া দলের ফিজিও, চিকিৎসক ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও। কিন্তু জানতে চাননি ওয়েড। তার নজর ছিল কেবল ফাইনালে খেলা।

তিন দিন পর এসে বৃহস্পতিবার ওয়েড খোলাসা করলেন ফাইনালের আগে তার সেই কঠিন সময়ের কথা।

“ম্যাচের (ফাইনাল) আগের দিন, সেশন শেষ হওয়ার আগের দ্বিতীয় বলে আমি চোট পাই। স্ক্যান করাতে চাইনি। কিন্তু তারা আমাকে সেটার জন্য পাঠিয়েছিল। ফিজিও ও চিকিৎসকদের কৃতিত্ব দিতে হবে, তারা তথ্যটি গোপন করেছিল এবং কেবল বলেছিল, আগামীকাল তোমার অবস্থা দেখা যাক। আমরা এরপর সিদ্ধান্ত নেব।”

“আগের রাতে যেমন অনুভব করেছিলাম, তেমনই ছিল। তাই আমি ম্যাচের আগে কিছু বল মারার অনুশীলন করি। কিছুই হয়নি নিজেকে এমনটা বোঝানোর চেষ্টা করি, যা আমাকে আরও কিছু বল মারতে সাহায্য করেছিল। এরপর আমি ভালো অনুভব করি।”

ওয়েডের চোটের তীব্রতা সম্পর্কে জানলেও ফিঞ্চের বিশ্বাস ছিল, এই কিপার-ব্যাটসম্যান ঠিকই লড়াই করে জয়ী হবেন।

“সবসময় একটা ভয় তো ছিলই। আমি জানতাম, (স্ক্যানের) ফল ছিল গ্রেড টু। আমি ভেবেছিলাম, কাজটা খুব কঠিন হবে। তবে কেউ যদি এটা নিয়ে খেলতে পারে, তাহলে ওই ব্যক্তি সে…”

নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ ভেবে সেমি-ফাইনাল খেলতে নেমেছিলেন, নায়ক হয়ে ফেরার পর বলেছিলেন ওয়েড। বিশ্বকাপ জয়ের পর ভাবনায় বদল এসেছে আগামী মাসে ৩৪ বছর পূর্ণ হতে যাওয়া এই ক্রিকেটারের। ঘরের মাঠে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা ধরে রাখার লড়াই করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার ইচ্ছা তার।

“আশা করি, এখন আমি আরও কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব। সত্যি বলতে, গত কয়েক বছর ধরে আমরা মনে হয়, এমন কিছুর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। আমি কখনও ভাবিনি, আমি খেলার সুযোগ আবারও পাব।”

“সম্ভবত আন্তর্জাতিকভাবে, আমার মনে হয় এটাই (ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ) শেষ হতে যাচ্ছে। হোবার্ট হারিকেন্স ও তাসমানিয়ার সঙ্গে আমার চুক্তি আছে এবং আমি শেফিল্ড শিল্ডে খেলতে এখনও পছন্দ করি। তাসমানিয়ার হয়ে খেলতে এখনও ভালো লাগে।”