বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৩২ রানে গুটিয়ে যাওয়া সিলেট প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দিয়েছিল ১৮৩ রানে। পরে চতুর্থ ও শেষ দিন তাদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৯৪ রানে। শেষ বেলায় ব্যাটিং নেমে এক উইকেট হারিয়ে ১৩ রান করে খুলনা।
সিলেটের হয়ে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন অমিত। জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। ৫৩ রান করেন এনামুল। অল্পের জন্য ফিফটির দেখা পাননি জাকির হাসান। ৪৯ রান করেন তিনি।
এক উইকেট হারিয়ে ৮০ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে সিলেট। অমিত ও শানাজ আহমেদের ১০৪ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় তারা। অমিতকে কট বিহাইন্ড করে এই জুটি ভাঙ্গেন আল আমিন।
কিছুক্ষণ পর ফিরে যান শানাজ। ৬ চারে ৪৯ রান করা জাকিরকে বোল্ড করে দেন জিয়াউর রহমান। সায়েম আলম ও শাহানুর রহমানকে টিকতে দেয়নি খুলনা। জাকেরের ৩ চারে ৫০ রানের প্রতিরোধও ভাঙ্গেন আল আমিন।
সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন এনামুল জুনিয়র। তার ৯ চারে ৫৩ রানের ইনিংস থামে মোহাম্মদ মিঠুনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।
খুলনার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া আল আমিন এবার নিলেন চারটি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন এই পেসারই।
পরে ব্যাটিংয়ে নামে প্রথম বলেই উইকেট হারায় খুলনা। রায়হান উদ্দিনকে ফিরিয়ে দেন শাহানুর। এরপর আর এক ওভার খেলা হয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট ১ম ইনিংস: ১৩২
খুলনা ১ম ইনিংস: ১৮৩
সিলেট ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৮০/১) ১০১.৫ ওভারে ২৯৪ (শানাজ ১৬, অমিত ৬৩, জাকির ৪৯, জাকের ৫০, সায়েম ৪, শাহানুর ২৫, এনামুল ৫৩, আবু জায়েদ ১, খালেদ ২, ইবাদত ৬*; আল আমিন ২৭-৪-৮২-৪, মাসুম ৩.২-০-৯-০, সৌম্য ১২.৪-১-৪৪-১, হালিম ১১-১-৪৪-০, টিপু ২৬-২-৫৪-২, নাহিদুল ১-০-৭-০, জিয়াউর ১১-৪-১৫-২, রায়হান ৯-২-১৯-০, মিঠুন ০.৫-০-৫-১)।
খুলনা ১ম ইনিংস: ২ ওভারে ১৩/১ (রায়হান ০, হালিম ১১*, এনামুল ২*; শাহানুর ১-০-১০-১, গালিব ১-০-৩-০)।
ফল: ম্যাচ ড্র।
ম্যান অব দা ম্যাচ: আল আমিন হোসেন