ব্যর্থ লিটন, মজিদ-রনির ফিফটি

ব্যর্থতার বৃত্তে এখনও বন্দি লিটন কুমার দাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিষ্প্রভ থাকা এই ব্যাটসম্যান চলতি মৌসুমে প্রথমবার জাতীয় লিগে খেলতে নেমে ভালো করতে পারেননি। ফিফটি করেছেন আব্দুল মজিদ ও রনি তালুকদার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2021, 02:31 PM
Updated : 17 Nov 2021, 02:31 PM

প্রথম দিন ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। পরের দুই দিনও খেলা হয়নি পুরোটা। প্রথম স্তরের ঢাকা ও রংপুরের ম্যাচটির ফলাফল তাই অনুমতিই ছিল। ড্র দিয়েই শেষ হলো ম্যাচটি।

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে প্রথম ইনিংসে ঢাকার ৩৭১ রানের জবাবে বিস্ময়করভাবে ৬ উইকেটে ২২২ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে দেয় রংপুর। এরপর দ্বিতীয় ইনিংস ঢাকা তোলে ৩ উইকেটে ১৫৬ রান।

বোলিংয়ে ঢাকার বোনাস পয়েন্ট কমিয়ে রাখতেই ১৪৯ রানে পিছিয়ে থেকেও ইনিংস ঘোষণার পথ নিয়েছে রংপুর। সর্বোচ্চ দেড় পয়েন্ট পেতে পারত ঢাকা, ৬ উইকেট নিয়ে পেয়েছে .৫ পয়েন্ট।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রংপুরের ম্যানেজার মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, বোনাস পয়েন্ট নিয়ে আগে থেকেই একটা ভাবনা ছিল তাদের।

“আমরা ৪ উইকেটে যত সম্ভব বেশি রান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি দ্রুত কিছু উইকেট পড়ে যাওয়ায়। ষষ্ঠ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইনিংস ঘোষণা করে দেওয়া হয়। আরেকটা উইকেট গেলে ওরা আরও আধা পয়েন্ট পেয়ে যেত।”

বুধবার এক উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে চতুর্থ ও শেষ দিন শুরু করে রংপুর। দিনের দ্বিতীয় বলেই সুমন খানের বলে বোল্ড হয়ে যান লিটন। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে বাদ পড়া এই ব্যাটসম্যান করেন ৩ চারে ২৪ রান।

দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটির দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন তানবীর হায়দার। কিন্তু তাকে ৪৫ রানে থামিয়ে দেন পেসার সুমনই। কিছুক্ষণ দলকে টানা নাঈম ইসলাম রান আউটে কাটা পড়েন ২২ রানে। 

নাসির ও আরিফুলের ব্যাটে রান বাড়াতে থাকে রংপুর। তাদের ৯৬ রানের জুটি ভাঙে নাসিরের বিদায়ে। রানের খোঁজে থাকা নাসির করতে পারেননি মৌসুমে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। এক ছক্কা ও ৬ চারে ৪৯ রানে বোল্ড হন তিনি সালাউদ্দিন সাকিলের বলে।

নাজমুল হোসেন অপুর বলে ৪৭ রান করা আরিফুল হক এলবিডব্লিউ হলেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দেয় রংপুর।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দেন মজিদ ও রনি। দুই ওপেনারের জুটিতে ৯৭ রান তুলে ফেলে দল। দুইজনই করেন ফিফটি।

তাদের প্রতিরোধ ভাঙে এক ছক্কা ও ৩ চারে ৫০ রান করা রনির বিদায়। ফিফটির পর বেশিক্ষণ টিকেননি মজিদও। ৪ চারে ৬১ রান করে তানবীরের বলে তিনি ক্যাচ দেন মুকিদুলের হাতে। মাহিদুল ইসলামও শিকার তানবীরের লেগ স্পিনে।

দুই ইনিংসে দুটি করে উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৪৫ রান করা এই ক্রিকেটার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা ১ম ইনিংস: ৩৭১

রংপুর ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৬৮/১) ৫৫.৩ ওভারে ২২২/৬ ডিক্লে. (লিটন ২৪, তানবীর ৪৫, নাঈম ২২, নাসির ৪৯, আরিফুল ৪৭, আকবর ৪*; সুমন ১২-২-৩৩-২, সালাউদ্দিন ১৯-৪-৮৯-২, এনামুল ৯-০-৩৯-০, নাজমুল ১১.৩-২-৩০-১, শুভাগত ৪-০-২৫-০)

ঢাকা ২য় ইনিংস: ৪৪ ওভারে ১৫৬/৩ (মজিদ ৬১, রনি ৫০, মাহিদুল ৩৬, রকিবুল ৩*, তাইবুর ১*; মুকিদুল ৪-১-১৮-০, রবিউল ৪-১-৪-০, আলাউদ্দিন ৫-১-১৯-০, সোহরাওয়ার্দী ১২-০-৩৯-১, আরিফুল ৩-০-৫-০, তানবীর ৭-০-৩২-২, নাঈম ৫-০-১৬-০, লিটন ৩-০-১৪-০, মাইশুকুর ১-০-৪-০)।

ফল: ম্যাচ ড্র

ম্যান অব দা ম্যাচ: তানবীর হায়দার।