মঙ্গলবার শেষ হওয়া বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইমরান খাওয়াজাকে। তার সঙ্গে আছেন রস ম্যাককলাম, লসন নাইডু ও রমিজ রাজা। আফগানিস্তান ক্রিকেট নিয়ে আগামী মাসে তারা প্রতিবেদন জমা দিবেন। এর ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে আফগানদের ক্রিকেট ভাগ্য।
জটিলতার শুরু তালেবানরা নতুন করে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর থেকে। আগের মেয়াদে দেশে ছেলে-মেয়ে সবার জন্যই ক্রিকেট নিষিদ্ধ করে রেখেছিল তারা। এবার ছেলেদের ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় তারা। তবে মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে অটল থাকে আগের অবস্থানেই।
এতেই বাধে বিপত্তি। ‘সবার জন্য খেলা’ নীতিতে বিশ্বাসী ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া স্থগিত করে দেয় আফগানিস্তান ছেলে দলের বিপক্ষে তাদের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি। হোবার্টে আগামী ২৭ হওয়ার কথা ছিল ওই ম্যাচ।
আফগানিস্তানের নারী ক্রিকেট নিয়ে এমন পদক্ষেপে সমালোচনা করেছেন সাবেক-বর্তমান অনেক ক্রিকেটারই। অস্ট্রেলিয়া টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন সরাসরি খোঁচা দেন আইসিসিকে। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানকে আগামী বিশ্বকাপে দেখতে চান না বলেও জানান তিনি।
এবার আইসিসি নিল পদক্ষেপ। বুধবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে জানান, আফগানিস্তানে নারী ও পুরুষ ক্রিকেটের উন্নতিতে কাজ করতে চান তারা।
“সামনেও আফগানিস্তানের নারী ও পুরুষ ক্রিকেটের উন্নতি অব্যাহত রাখতে আইসিসি বোর্ড সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি, তা করতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে লক্ষ্য অর্জনের প্রচেষ্টায় আমাদের সদস্য বোর্ডকে সহায়তা করা।”
তালেবানরা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আফগান বোর্ডের শীর্ষ পদগুলোতে এসেছে পরিবর্তন। গত সপ্তাহে ৩৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার মিরওয়াইস আশরাফকে তারা অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।