প্রিতম-ফরহাদের সেঞ্চুরি, সানজামুলের ১০ উইকেট

আগের দিনের ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করেছেন প্রিতম কুমার ও ফরহাদ রেজা। তাদের দারুণ জুটিতে চট্টগ্রাম বিভাগকে বড় লক্ষ্য দেওয়ার পর বোলারদের নৈপুণ্যে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে রাজশাহী বিভাগ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2021, 03:30 PM
Updated : 16 Nov 2021, 03:30 PM

জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরে ৪১৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় দিন শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২২৬ রান। ৩ উইকেট হাতে রেখে এখনও তাদের প্রয়োজন ১৮৮ রান।

চট্টগ্রামের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন পিনাক ঘোষ। রাজশাহীর হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। 

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ২৩২ রান নিয়ে দিন শুরু করে রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রানে। প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানের লিডসহ তাদের পুঁজি দাঁড়ায় ৪১৩ রানের।

আগের দিন সেঞ্চুরি থেকে ১৫ রান দূরে ছিলেন প্রিতম। মাইলফলক ছুঁয়ে তিনি থামেন ১১৭ রানে। তার ১৬৩ বলের ইনিংসটি গড়া ১১ চার ও একটি ছক্কায়। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি।

৫১ রান নিয়ে দিন শুরু করা ফরহাদ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রথম শ্রেণিতে সপ্তম সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ১০৪ বলে। নাঈম হাসানকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ১১১ করে তিনি আউট হওয়ার পরই ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। এই অলরাউন্ডারের ১১৩ বলের ইনিংসটি সাজানো ৭ চার ও ৫ ছক্কায়।

ষষ্ঠ উইকেটে ১৯৮ রানের বড় জুটি গড়েন প্রিতম ও ফরহাদ। চট্টগ্রামের হয়ে ৯৬ রানে ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ।  

বড় লক্ষ্য তাড়ায় ২১ রানের মধ্যে জসিমউদ্দিন ও মাহমুদুল হাসানকে হারায় চট্টগ্রাম। তৃতীয় উইকেটে ১৫১ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন পিনাক ও শাহাদাত হোসেন।

১১৭ বলে ৬১ রান করা শাহাদাতকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিব। দ্রুতই বিদায় নেন তাসামুল হক। সেঞ্চুরির পরপরই থামেন পিনাক। ১৮৯ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় তিনি করেন ১০২ রান।

এরপর সাজ্জাদুল হক ও নাঈমকে দ্রুত বিদায় করে ম্যাচে ১০ উইকেট পূর্ণ করেন সানজামুল। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৮০ রানে তার শিকার ৪টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই নিয়ে ছয়বার ম্যাচে ১০ উইকেট পেলেন তিনি।

দিন শেষে ইরফান শুক্কুর ২৩ ও মেহেদি হাসান রানা ৪ রানে অপরাজিত আছেন। শেষ দিনে তাদের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রাজশাহী ১ম ইনিংস: ১৯৪

চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ১১৯

রাজশাহী ২য় ইনিংস: ৭৭.১ ওভারে ৩৩৮/৮ ডিক্লে. (আগের দিন ২৩২/৫) (প্রিতম ১১৭, ফরহাদ রেজা ১১১, সানজামুল ৬, সাকলাইন ০*; নাঈম ২৪.১-৪-৮৩-৩, মেহেদি রানা ১০-০-৭১-০, শাহিন ১০-০-৫৬-০, মুরাদ ২৭-৩-৯৬-৫, তাসামুল ৩-০-১৭০, সাজ্জাদুল ৩-০-১৪-০)

চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৪১৪) ৬৮ ওভারে ২২৬/৭ (পিনাক ১০২, জসিমউদ্দিন ১৬, মাহমুদুল ০, শাহাদাত ৬১, তাসামুল ২, ইরফান ২৩*, সাজ্জাদুল ১, নাঈম ১২, মেহেদি রানা ৪*; শফিকুল ৭-১-১৪-০, সানজামুল ২৬-৪-৮০-৪, সাকলাইন ২৩-৩-৬৫-৩, মোহাইমিনুল ৭-১-৩১-০, ফরহাদ রেজা ৫-০-৩২-০)

ঢাকা মেট্রোর লড়াই

দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে প্রথম ইনিংসে অল্পতে গুটিয়ে ঢাকা মেট্রো দ্বিতীয় ইনিংসে মুনিম শাহরিয়ার ও আল আমিনের ফিফটিতে লড়াই করছে। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখনও বরিশাল বিভাগের হাতেই আছে।   

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে তৃতীয় দিন শেষে মেট্রোর রান ৭ উইকেটে ৩০৩ রান। ৩ উইকেট হাতে রেখে তাদের লিড কেবল ৪২ রানের।

এ দিন ৮৬ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা যোগ করে ২৬৯ রান। ১১৮ বলে ৫০ রান করেন মুনিম। শামসুর রহমান ইনিংস বড় করতে পারেননি (৩৭)। আল আমিন ৫৪ বলে ৮ চারে করেন ৭০ রান।

দিন শেষে শরিফুল্লাহ ৪৪ ও আবু হায়দার ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। শেষ দিনে প্রতিপক্ষকে তারা কত রানের লক্ষ্য দিতে পারে, সেটিই এখন দেখার। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৮৭

বরিশাল বিভাগ ১ম ইনিংস: ৩৪৮/৯ ডিক্লে.

ঢাকা মেট্রো ২য় ইনিংস: ৯৭ ওভারে ৩০৩/৭ (আগের দিন ৩৪/১) (জাহিদুজ্জামান ৩২, আসিফ ১, মুনিম ৫০, শামসুর ৩৭, আল আমিন ৭০, রায়ান ১৩, শরিফুল্লাহ ৪৪*, আবু হায়দার ১৭*; রুয়েল ২২-৬-৯৪-১, ইসলামুল ১৫-১-৩৩-১, মনির ২৮-৪-৬৭-২, নুরুজ্জামান ৬-০-২২-০, সোহাগ ১৮-৫-৪২-২, মইন ৪-১-১৭-১, ফজলে মাহমুদ ৪-১-৮-০)।