অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে চট্টগ্রামের ইনিংস ব্যবধানে জয়

প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও চট্টগ্রাম বিভাগের বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারল না বরিশাল বিভাগ। সুরটা বেঁধে দিলেন পেসার মেহেদি হাসান। পরে তা সঙ্গত করলেন বাকিরা। একদিন আগেই ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নিল মুমিনুল হকের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2021, 12:35 PM
Updated : 9 Nov 2021, 01:34 PM

জাতীয় লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে মঙ্গলবার ইনিংস ও ৭৩ রানে জিতেছে চট্টগ্রাম। আগের দেখায় বরিশালের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। এই নিয়ে দুই ম্যাচ জিতল চট্টগ্রাম।

প্রথম ইনিংসে বরিশালকে ২৩৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটসম্যানদের সৌজন্যে তারা করেছে ৪৪৩ রান। ২০৭ রানে এগিয়ে থাকা দলটি পরে দুর্দান্ত বোলিংয়ে বরিশালকে থামিয়ে দেয় স্রেফ ১৩৪ রানে।

দলকে দারুণ এই জয় এনে দেওয়ার মূল কারিগরদের একজন নাঈম হাসান। ৫ ওভার বোলিং করে ১০ রান দিয়ে এই অফ স্পিনার নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন মেহেদি।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ৪ উইকেটে ৩৬৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুর দলকে টানতে পারেননি বেশিক্ষণ। তাকে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচে পরিণত করেন রুয়েল মিয়া।

৭ চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করা শাহাদাত হোসেনকে এলবিডব্লিউ করে দেন মনির হোসেন। শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল ১৫ রান পার করেন নাঈম। ২ চারে ৩১ রান করে মনিরের বলে হন স্টাম্পড।

বরিশালের হয়ে ১২৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার মনির।

দুইশর বেশি রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামা বরিশাল দ্বিতীয় ওভারেই হারায় উইকেট। রানের খাতা খোলার আগে মোহাম্মদ আশরাফুলকে ফিরিয়ে দেন মেহেদি। এই পেসারের পরের শিকার রাফসান আল মাহমুদ।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। দলটির হয়ে ৩০ রান পার করতে পারেননি একজনও। সর্বোচ্চ ২৫ রানের ইনিংস খেলেন সোহাগ গাজী।

সালমান হোসেনের পর সোহাগকে ফেরান মেহেদি হাসান রানা। এই পেসারের বলে দুজনই ধরা পড়েন শর্ট থার্ডম্যানে। দুই ওভার পর হাসান মুরাদ এলবিডব্লিউ করে দেন নুরুজ্জামানকে।

নাঈম এক ওভারে ধরেন জোড়া শিকার। ফজলে মাহমুদ ক্যাচ দেন লং-অফে। মইন খান হয়ে যান এলবিডব্লিউ। শেষ দুই ব্যাটসম্যানই এই স্পিনারের শিকার। বরিশাল শেষ ৫ উইকেট হারায় ২৮ রান তুলতেই।

সেঞ্চুরি করে চট্টগ্রামের জয়ের ভিত গড়ে দেওয়া মাহমুদুল হাসান জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বরিশাল বিভাগ ১ম ইনিংস: ২৩৬

চট্টগ্রাম বিভাগ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩৬৪/৪) ১২৬.১ ওভারে ৪৪৩ (শাহাদাত ৭৫, ইরফান ৩১, নাঈম ৩১, মেহেদি রানা ১২, মেহেদি ৩, মুরাদ ১৩, নোমান ০*; রুয়েল ২৮-১-১১২-২, সোহাগ ২৪-২-৯৩-০, নুরুজ্জামান ৭-১-১৪-০, মনির ৪১.১-৭-১২৯-৪, আশরাফুল ১০-১-৩৯-০, মইন ১৫-০-৪৩-১, রাফসান ১-০-৭-০)।

বরিশাল বিভাগ ২য় ইনিংস: ৩৫ ওভারে ১৩৪ (রাফসান ১৩, আশরাফুল ০, ফজলে মাহমুদ ২১, সালমান ১৪, নুরুজ্জামান ৬, সোহাগ ২৫, মোসাদ্দেক ২৪, মইন ০, শামসুল ১৪*, মনির ৩, রুয়েল ০; মেহেদি হাসান রানা ১০.৩-৪-৪৪-২, মেহেদি হাসান ৮.৩-২-২১-৩, নোমান ৫-১-২২-০, মুরাদ ৬-০-২৯-১, নাঈম ৫-২-১০-৪)।

ফল: চট্টগ্রাম ইনিংস ও ৭৩ রানে জয়ী।

ম্যান অব দা ম্যাচ: মাহমুদুল হাসান।