চাপের মুখে মিরাজের ব্যাটে রান

প্রথম দুই রাউন্ডে বোলিং ভালো করলেও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে ছিল না রান। এবার চাপের মুখে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি করলেন ফিফটি। নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার দারুণ জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগোচ্ছে খুলনা বিভাগ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2021, 01:12 PM
Updated : 31 Oct 2021, 01:12 PM

জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম স্তরে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে খুলনার রান ৬ উইকেটে ২৩১।

আট নম্বরে নেমে ৭৯ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত আছেন মিরাজ। ১২২ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৭৭ রানে খেলছেন নাহিদুল। সপ্তম উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ১১২।

প্রথম দুই রাউন্ডে বল হাতে ১৪ উইকেট নেওয়া অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মিরাজ ব্যাটিংয়ে তিন ইনিংস মিলিয়ে করেন কেবল ২৪ রান। এবার করলেন ফিফটি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে তার এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশের জন্যও ভালো খবর।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে প্রথম দিনের উইকেটে স্পিনারদের জন্য ছিল সহায়তা। অসমান বাউন্স থাকায় ব্যাটসম্যানদের জন্য শট খেলা ছিল কিছুটা কঠিন। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার শুরুটা ভালো হয়নি। ২২ রানের মধ্যে হারায় ২ উইকেট।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা এনামুল হকের বলে এনামুল হক বিজয় এলবিডব্লিউ হন শূন্য রানে। এই পেসার পরে বিদায় করেন তিনে নামা রবিউল ইসলাম রবিকে।

অনেকটা সময় উইকেটে কাটিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি অমিত মজুমদার। সাইফ হাসানের অফ স্পিনে এলবিডব্লিউ হন খুলনা ওপেনার (১১৫ বলে ২৪)।

একই অবস্থা ইমরুল কায়েস (১৩০ বলে ২৮) ও মোহাম্মদ মিঠুনের (৬৫ বলে ৩০) ক্ষেত্রেও। ইমরুলকে এলবিডব্লিউ করেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকা মিঠুন ক্যাচ দেন তাইবুর রহমানের বলে।

টিকতে পারেননি জিয়াউর রহমান। তখন ১১৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় খুলনা। এরপরই মিরাজ ও নাহিদুলের জুটি। দিনের শেষ ২১ ওভার কাটিয়ে দেন তারা।

নাহিদুল ফিফটি পূর্ণ করেন ৯৪ বলে। পঞ্চাশে যেতে মিরাজের লাগে ৭৬ বল। ১৬৩ বলে স্পর্শ করে দুজনের জুটির শতরান।

ঢাকার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন নাজমুল ও এনামুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

খুলনা বিভাগ ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৩১/৬ (অমিত ২৪, এনামুল ০, রবি ১৫, ইমরুল ২৮, মিঠুন ৩০, নাহিদুল ৭৭*, জিয়াউর ০, মিরাজ ৫১*; সালাউদ্দিন ১০-১-৩৩-০, এনামুল ১৫-২-৬১-২, শুভাগত ১৮-৮-২৬-০, নাজমুল ৩৬-৯-৭৮-২, সাইফ ৩-০-১০-১, তাইবুর ৮-৩-১৯-১)।

১১৩ রানেই শেষ সিলেট

প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে মুকিদুল ইসলাম ও রবিউল হকের তোপে অল্প রানেই গুটিয়ে গেছে সিলেট বিভাগ। মাইশুকুর রহমান ও জাহিদ জাবেদের দৃঢ়তায় লিড নেওয়ার পথে আছে রংপুর বিভাগ।

প্রথম ইনিংসে সিলেট অলআউট হয়েছে ১১৩ রানে। দিন শেষে রংপুরের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৮২ রান। মাইশুকুর ১০৯ বলে ৪৬ ও জাহিদ ৮৫ বলে ২৯ রানে অপরাজিত আছেন।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই শানাজ আহমেদকে হারায় সিলেট। পেসার রবিউলের বলে তিনি হন বোল্ড।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন সিয়াম আলম ও অমিত হাসান। ৪২ রানের এ জুটিও ভাঙেন রবিউল। স্লিপে ক্যাচ দেন অমিত (৪৩ বলে ২০)।

জাকিরকে (৩৮ বলে ১৪) কট বিহাইন্ড করে ফেরান মুকিদুল। তরুণ এই পেসার একটু পর টানা দুই বলে বোল্ড করে দেন জাকের আলি ও শাহানুর রহমানকে। মাঝে সিয়ামের (১২১ বলে ৩৬) লড়াই থামান অভিজ্ঞ স্পিনার সোহরাওয়ার্দী শুভ।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫১ ওভারে গুটিয়ে যায় সিলেট। ৩৮ রানের মধ্যে তারা হারায় শেষ ৭ উইকেট।

২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রংপুরের সফলতম বোলার রবিউল। মুকিদুল ও সোহরাওয়ার্দী নেন ৩টি করে উইকেট।

পরে এক সেশনের বেশি সময়ে ৩২ ওভারে রংপুরের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারেননি সিলেটের বোলাররা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট বিভাগ ১ম ইনিংস: ৫১ ওভারে ১১৩ (সিয়াম ৩৬, শানাজ ৪, অমিত ২০, জাকির ১৪, জাকের ১, গালিব ১০, শাহানুর ০, তানজিম ৪, এনামুল জুনিয়র ১৬, রেজাউর ১*; খালেদ ০; মুকিদুল ১২-১-৪১-৩, রবিউল ১৩-৪-২৬-৪, আরিফুল ৭-০-১৬-০, মাহমুদুল ৪-০-৮-০, নাঈম ৫-২-৪-০, সোহরাওয়ার্দী ১০-৪-১৩-৩)

রংপুর বিভাগ ১ম ইনিংস: ৩২ ওভারে ৮২/০ (মাইশুকুর ৪৬*, জাহিদ ২৯*; খালেদ ৭-১-১৭-০, তানজিম ৫-২-৭-০, রেজাউর ৬-১-১১-০, এনামুল জুনিয়র ৮-৩-২৬-০, শাহানুর ৬-০-১৮-০)