তবে তার দল ঢাকা মেট্রো ঠিকই পেয়েছে লিড। কক্সবাজারে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে সোমবার ৭ উইকেটে ২৮৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে মেট্রো। প্রথম ইনিংসে ২৫২ রান করা রাজশাহী থেকে এগিয়ে আছে তারা ৩১ রানে।
বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ৭৫ রান করা সাদমান এবার আউট হলেন ৭৯ রান করে। সাতে নেমে ৫৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন শরিফুল্লাহ। শেষ দিকে দলকে টানছেন আমিনুল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। দুজনে খেলছেন যথাক্রমে ৪৭ ও ৩৪ রানে।
বিনা উইকেটে ৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে মেট্রো। সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন সাদমান ও রাকিন আহমেদ। কঠিন সময় পার করে দিয়েও টিকতে পারেননি রাকিন। ২০ রানে এলবিডব্লিউ হন সানজামুল ইসলামের বলে।
শামসুর রহমানও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন মার্শাল আইয়ুব ও আল আমিন জুনিয়র।
সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে সাদমান ফিফটি তুলে নেন ৯০ বলে। সেঞ্চুরিতে চোখ রেখে এগিয়ে যেতে থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ভাঙে তারা আশা। ফেরেন ৯ চারে ৭৯ রান করে।
১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন বিপদে মেট্রো। সেখান থেকে আমিনুলকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন শরিফুল্লাহ। বল হাতে অবদান রাখা এই স্পিনার এবার ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল।
৮২ বলে তুলে নেন ফিফটি। আমিনুলের সঙ্গে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। তাদের প্রতিরোধ ভাঙে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৫৯ রান করে শরিফুল্লাহর বিদায়ে।
দারুণ ব্যাটিংয়ে লিড বাড়াচ্ছেন আমিনুল ও আবু হায়দার। এরই মধ্যে তারা গড়েছেন ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৫২
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩/০) ৯১ ওভারে ২৮৩/৭ (শাদমান ৭৯, রাকিন ২০, শামসুর ১৮, আইয়ুব ০, আল আমিন জুনি ০, জাহিদুজ্জামান ১৪, শরিফুল্লাহ ৫৯, আমিনুল ৪৭*, আবু হায়দার ৩৪*; সানজামুল ৩০-২-১১৪-৩, তাইজুল ৩০-৫-৮৭-২, আসাদুজ্জামান ১৭-২-২৬-২, শফিকুল ১৩-৪-২৬-০, হৃদয় ১-০-৫-০)।