সাইফ ও মজিদের দারুণ সেঞ্চুরি

প্রথম রাউন্ডে দুই ইনিংসেই ছিলেন ব্যর্থ। এবার হাসল সাইফ হাসানের ব্যাট। করলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। তার আগে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন আব্দুল মজিদও। তাদের ব্যাটে ঢাকা বিভাগ পেল শক্ত ভিত। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2021, 12:35 PM
Updated : 24 Oct 2021, 12:35 PM

জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রথম দিন শেষে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ঢাকার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯৩ রান। সাইফ অপরাজিত ১৮৫ বলে ১০২ রান করে। ৮টি চারের পাশে ছক্কা ২টি।

আগামী মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে সাইফের রানে ফেরাটা তার জন্য নিশ্চিতভাবে বড় স্বস্তির।

ইনিংস শুরু করে মজিদ থামেন ১১০ রানে। তার ১৮৮ বলের ইনিংসটি গড়া ১০ চার ও ৩ ছক্কায়। দ্বিতীয় উইকেটে তিনি সাইফের সঙ্গে গড়েন ১১৮ রানের জুটি।  

প্রথম স্তরের এই ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মজিদ ও রনি তালুকদারের ব্যাটে ভালো শুরু করে ঢাকা। প্রথম ঘণ্টায় তারা তোলে বিনা উইকেটে ৫৮ রান।

থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি রনি। মাহমুদুল হাসানের বলে বোল্ড হন তিনি ৩৯ রানে। ৭০ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি ৪টি।

লাঞ্চ বিরতির আগে মজিদ ফিফটি তুলে নেন ১০৭ বলে। ১৮২ বলে পা রাখেন তিনি সেঞ্চুরিতে। তাকে থামিয়ে বড় জুটি ভাঙেন তানবীর হায়দার।  

প্রথম রাউন্ডে ৪ ও ১২ রান করা সাইফ এবার ফিফটি করেন ৭৯ বলে। রকিবুল হাসান ফেরেন ৫২ বলে ১৯ রান করে। তাকে বোল্ড করেন নাসির হোসেন।

দিনের শেষ দিকে সাইফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৮১ বলে। ৯৮ থেকে মুকিদুল ইসলামের বল ডিপ এক্সট্রা কাভারে পাঠিয়ে ৩ রান নিয়ে স্পর্শ করেন কাঙ্ক্ষিত মাইলফলক। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পর তার উদযাপনটাও ছিল বাঁধনহারা।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি।

দিন শেষে সাইফের সঙ্গে ১৪ রানে অপরাজিত আছেন তাইবুর রহমান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা বিভাগ: ৯০ ওভারে ২৯৩ (মজিদ ১১০, রনি ৩৯, সাইফ ১০২*, রকিবুল ১৯, তাইবুর ১৪; মুকিদুল ১৩-১-৫৭-০, রবিউল ১৩-৩-৩৬-০, আরিফুল ৪-০-১২-০, সোহরাওয়ার্দী ২০-২-৭০-০, মাহমুদুল ৭-১-৩৩-১, জাবেদ ৩-০-৩-০, তানবীর ১৫-২-৪৮-১, নাসির ১৫-৩-২৬-১)।  

আবারও এনামুলের সুযোগ হাতছাড়া, ব্যর্থ মিঠুন

আগের রাউন্ডে ফিফটি পেরিয়ে তিন অঙ্কে যেতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। জাতীয় লিগে আবারও বড় ইনিংস খেলার সুযোগ হাতছাড়া করলেন অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটসম্যান। ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দি আছেন মোহাম্মদ মিঠুন।

খুলনা বিভাগ ও সিলেট বিভাগের প্রথম স্তরের এই ম্যাচের প্রথম দিন পড়েছে ১৩ উইকেট। খুলনা অলআউট হয়েছে ১৯৬ রানে। দিন শেষে সিলেটের রান ৩ উইকেটে ৩০।

খুলনার ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন এনামুল। তার ১৪৩ বলের ইনিংসে চার ৭টি। প্রথম রাউন্ডে এক ইনিংস ব্যাটিং পেয়ে তিনি করেছিলেন ৮৪ রান।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ইমরানউজ্জামানের উইকেট হারায় খুলনা। দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল ও ইমরুল কায়েস যোগ করেন ৭০ রান। এরপরই তারা খায় জোড়া ধাক্কা। ১০ বলের মধ্যে ফিরে যান ইমরুল (৫৬ বলে ৩১) ও তুষার ইমরান (১)।

মিঠুন ও মেহেদি হাসান মিরাজও যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। এনামুল হক জুনিয়রের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন মিঠুন (২৬ বলে ৬)। প্রথম রাউন্ডে এক ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৩৩ রান।

মিরাজ এলবিডব্লিউ হন ১ রানে। ফিফটির পরপরই এনামুলকে বোল্ড করে দেন রেজাউর রহমান। দ্রুত রবিউল ইসলাম রবির বিদায়ে ১২৮ রানে ৭ উইকেট হারানো দলটি দুইশর কাছাকাছি যেতে পারে লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায়।

সাতে নেমে ৪৪ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩৯ রান করেন জিয়াউর রহমান। ৯ নম্বরে নাহিদুল ইসলাম ২৮ ও দশে নেমে রায়হান উদ্দিন করেন ১৯ রান। 

৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটের সফলতম বোলার রেজাউর। ইবাদত হোসেন, তানজিম হাসান ও এনামুল জুনিয়র নেন ২টি করে উইকেট।

ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেট প্রথম ওভারেই হারায় উইকেট। আল আমিন হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমতিয়াজ হোসেন। তিনে নেমে টেকেননি অমিত হাসানও। তাকে বোল্ড করে দেন মিরাজ। এই অফ স্পিনার পরে বিদায় করেন আসাদুল্লা গালিবকেও।

২৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দিনের বাকি সময়ে আর বিপদ হতে দেননি জাকির হাসান (১২*) ও তানজিম (০)।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

খুলনা বিভাগ: ৬৫ ওভারে ১৯৬ (ইমরানউজ্জামান ০, এনামুল ৫৫, ইমরুল ৩১, তুষার ১, মিঠুন ৬, মিরাজ ১, জিয়াউর ৩৯, রবিউল ৫, নাহিদুল ২৮, রায়হান ১৯*, আল আমিন ০; ইবাদত ১৫-৩-৩২-২, তানজিম ১৩-২-২৭-২, রেজাউর ১৩-২-৩১-৩, শাহানুর ৬-১-২৪-১, এনামুল জুনিয়র ১৮-১৭৪-২)

সিলেট বিভাগ: ১৮ ওভারে ৩০/৩ (ইমতিয়াজ ২, গালিব ১২, অমিত ৪, জাকির ১২*, তানজিম ০*; আল আমিন ৪-২-৭-১, মিরাজ ৯-৪-১৩-২, জিয়াউর ৩-০-৫-০, রবি ২-১-৫-০)