জাতীয় লিগে বুধবার খুলনা বিভাগের বিপক্ষে প্রথম স্তরের ম্যাচের শেষ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান করে রংপুর। পরে ড্র মেনে নেয় দুই দল।
প্রথম ইনিংসে ৪০ রান করা জাভেদ খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। অপরাজিত ৫২ রান করেন তানভির হায়দার।
প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর ব্যাট হাতে ২৩ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের এই ক্রিকেটার।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে ৩২ রান নিয়ে দিন শুরু করে রংপুর। দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার। মাইশুকুর রহমান ও জাভেদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮০ রান।
জমে ওঠা এই জুটি ভাঙেন আব্দুল হালিম। ৫ চারে ৪৪ রান করা মাইশুকুর হন কট বিহাইন্ড। পেসার হালিমকেই পরে চার মেরে ১০২ বলে ফিফটি তুলে নেন জাভেদ।
তাকে দারুণ সঙ্গ দেন মাহমুদুল হাসান। এই দুইজনের ব্যাটে শতরানের জুটি পায় রংপুর। দারুণ খেলতে থাকা মাহমুদুল পাননি ফিফটির দেখা। হালিমের বলে ৪১ রানে হন বোল্ড।
সেঞ্চুরিতে চোখ রেখে এগিয়ে যেতে থাকেন জাভেদ। নাহিদুল ইসলামকে চার মেরে কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় শতক। এক বল পরই এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন ১০১ রানে। ইনিংসে তার ২ ছক্কার পাশে ১০টি চার।
নাঈম ইসলাম ও নাসির হোসেনকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন মিরাজ। তবে এক প্রান্ত ধরে রাখেন তানভির। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তিনি ফিফটি তুলে নেন ৫৪ বলে। ৩ ছক্কা ও ২ চারে অপরাজিত থাকেন ৫২ রানে।
দিনের শেষ দিকে ড্র মেনে নেয় দুই দল।
একই ফল দেখে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হওয়া ঢাকা মেট্রো ও বরিশালের বিভাগের ম্যাচও। দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও তৃতীয় দিনে হয় ব্যাট-বলের দারুণ লড়াই। কিন্তু বৃষ্টির দাপটে চতুর্থ ও শেষ দিনে কোনো বল মাঠে না গড়ালে দেখা হয়নি শেষের রোমাঞ্চ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর বিভাগ ১ম ইনিংস: ২৫৭
খুলনা বিভাগ ১ম ইনিংস: ২৬০
রংপুর বিভাগ ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৪২/০) ৮০ ওভারে ২৬৬/৮ (মাইশুকুর ৪৪, জাভেদ ১০১, মাহমুদুল ৪১, নাঈম ১০, নাসির ০, তানভির ৫২*, ধীমান ০, সোহরাওয়ার্দী ৫, আলাউদ্দিন ২, রবিউল ৫*; মিরাজ ৩১-৪-৮৩-৩, আল আমিন ৯-১-৪৬-০, জিয়াউর ৬-০-১৯-০, হালিম ১০-০-৩৫-২, মইনুল ৬-১-১৯-০, নাহিদুল ১৭-৩-৫৬-৩, মিঠুন ১-০-৫-০)।
ফল: রংপুর-খুলনা ও ঢাকা মেট্রো-বরিশাল ম্যাচ ড্র।