মাত্র ৩১ বছর বয়সে জাতীয় দলকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত বুধবার এক বিবৃতি দিয়ে জানান প্যাটিনসন। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলবেন তিনি। ইংলিশ কাউন্টিতেও খেলার ইচ্ছা আছে তার।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ দলে জায়গা করে নেওয়ার আশা নিয়ে প্রাক-মৌসুম শুরু করেছিলেন প্যাটিনসন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দেওয়া লকডাউনে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে তার দল ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যাচ পিছিয়ে গেছে। নতুন সূচিতে পরপর দুই ম্যাচে মুখোমুখি হবে তারা। আগামী সপ্তাহে শুরু হবে যার একটি।
ফলে প্যাটিনসনের যথাযথ প্রস্তুতির ভাবনা বাধাগ্রস্ত হয়। চোটের কারণে ভিক্টোরিয়ার প্রথম ম্যাচে যদিও খেলা হবে না তার। সব মিলিয়েই, নিজেকে আর টেস্ট ক্রিকেটের জন্য উপযুক্ত মনে করছেন না বলে জানালেন এই পেসার।
“প্রাক-মৌসুমকে সামনে রেখে আমি খুব করে অ্যাশেজের দলে জায়গা পাওয়ার একটা চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আসছে মৌসুমে যে প্রস্তুতি নিয়ে নামতে চেয়েছি, সেটা হলো না। আমি যদি অ্যাশেজের অংশ হতে চাই তবে আমার নিজের ও সতীর্থদের প্রতি ন্যায়বিচার করতে হবে। শতভাগ ফিট হতে হবে এবং যেকোনো সময় খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, চাওয়াটা যখন এমন তখন আমি আমার শরীরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করার অবস্থানে থাকতে চাইনি। আমার বা দলের জন্য সেটা ঠিক হতো না।”
“তাই মনে হলো, যেহেতু আর মাত্র তিন কিংবা চার বছর বাকি আমার ক্যারিয়ারের, তাই সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার চেষ্টার বদলে ভিক্টোরিয়ার হয়ে আরও মনোযোগ দেই। তরুণদের উন্নতিতে সাহায্য করি। ইংল্যান্ডেও কিছু ক্রিকেট খেলা যায়। আর পরিবারের সঙ্গে আরও সময় কাটাই।”
প্যাটিনসন সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন গত বছরের জানুয়ারিতে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। গত অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল তার। কিন্তু পাঁজরের চোটের কারণে ছিটকে পড়েন তিনি সিরিজ থেকে।
অ্যাশেজের আগ মুহূর্তে প্যাটিনসনের সিদ্ধান্ত কিছুটা অবাক করেছে অস্ট্রেলিয়া দলকে। তবে এই পেসার মনে করছেন, সঠিক সময়ই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
“এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি (অবসরের), আশা করছি শেষ তিন-চার বছরের ক্রিকেট সত্যিই উপভোগ করব। বছরের পর বছর ধরে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, তারা আমার প্রতি যে বিশ্বাস রেখেছে তার জন্য এবং অবশ্যই এই পথচলায় পাওয়া আমার সব সতীর্থকে ধন্যবাদ।”
২০১১ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন প্যাটিনসন। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়ে যায় ওই বছরই।
তার ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার থেমে যায় পরের বছরই। ১৫ ওয়ানডের সবশেষটি খেলেন ২০১৫ সালে। লাল বলের ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে গেলেও চোটের থাবায় বেশিরভাগ সময়ই থাকতে হয়েছে বাইরে।
ফলে ১০ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি প্যাটিনসন। খেলেছেন কেবল ২১ টেস্ট। তবে যখনই সুযোগ পেয়েছেন দুর্দান্ত বোলিংয়ে রেখেছেন ভূমিকা। ৮১ উইকেট নিয়েছেন ২৬.৩৩ গড়ে। যেখানে ৪টি করে আছে ইনিংসে পাঁচ ও চার উইকেট।