জাতীয় ক্রিকেট লিগে রংপুর বিভাগকে ২৫৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিং করছে খুলনা বিভাগ। বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের রান ৪ উইকেটে ১৭১। তারা এখনও পিছিয়ে ৮৬ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এনামুলের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা। ইনিংস শুরু করতে নেমে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান খেলছেন ৭২ রানে। ৬ উইকেট নেওয়া মিরাজ অপরাজিত ১৭ রান নিয়ে।
৮ উইকেটে ২২৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা রংপুরের ধীমান ঘোষ ও রবিউল হক কাটিয়ে দেন দিনের প্রথম ১০ ওভার। খুলনার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো ৪৩ রানের এই জুটি ভেঙে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পঞ্চদশ বারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নেন মিরাজ। তার অফ স্পিনে বোল্ড হয়ে যান ৩১ রান করা ধীমান।
অফ স্পিনার মিরাজ পরে ফিরিয়ে দেন রবিউলকেও। ৬ উইকেট নিতে তিনি খরচ করেন ৯০ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা। চতুর্থ ওভারেই ইমরানউজ্জামানকে এলবিডব্লিউ করে দেন মুকিদুল ইসলাম। এরপর দলকে এগিয়ে নেন এনামুল ও ইমরুল কায়েস। তাদের জমে ওঠা জুটি ভাঙ্গেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে লং-অনে ক্যাচ দেন ২৫ করা ইমরুল।
এনামুলকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ অভিজ্ঞ তুষার ইমরান। মিড উইকেটে নাসির হোসেনের হাতে সোহরাওয়ার্দীর বলে ধরা পড়েন তিনি। এই স্পিনারকেই লং-অফ দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে রানের খাতা খোলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
তার ও এনামুলের জুটিতে রান বাড়াতে থাকে খুলনা। এর মাঝে ৭৭ বলে ফিফটি তুলে নেন এনামুল। কিন্তু থিতু মিঠুন পারেননি ইনিংস বড় করতে। সোহরাওয়ার্দীর বলে তিনি লং অনে ধরা পড়লে ভাঙে ৬৩ রানের জুটি।
সেঞ্চুরিতে চোখ রেখে এগোতে থাকা এনামুল দিনের বাকি সময় কাটিয়ে দেন মিরাজকে নিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর বিভাগ ১ম ইনিংস: ১০৩.১ ওভারে ২৫৭ (ধীমান ৩১, রবিউল ২৮, মুকিদুল ৪*; আল আমিন ২২-৪-৫৬-৩, হালিম ১৪-৩-৫৭-০, মিরাজ ৪১.১-১৩-৯০-৬, নাহিদুল ৬-১-৭-০, মইনুল ১০-৫-২৫-০, জিয়াউর ৬-১-১২-১)।
খুলনা বিভাগ ১ম ইনিংস: ৫৪.৩ ওভারে ১৭১/৪ (ইমরানউজ্জামান ৪, এনামুল ৭২*, ইমরুল ২৫, তুষার ১৩, মিঠুন ৩৩, মিরাজ ১৭*; রবিউল ৮-২-২১-০, মুকিদুল ৯.৩-১-৩০-১, আলাউদ্দিন বাবু ৭-০-৩৪-০, মাহমুদুল ১০-২-২৫-০, নাসির ১-০-৪-০, সোহরাওয়ার্দী ১৮-৩-৫১-৩, জাভেদ ১-১-০-০)।