দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচের প্রথম দিন শেষে বরিশাল বিভাগের রান ১ উইকেটে ৬। শূন্য রানে ফিরেছেন মইনুল ইসলাম। ৬ রানে খেলছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৩৯ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা মেট্রো।
নিজের মতো করে খেলে ১৪৫ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করেন সাদমান।
মেট্রোর ১০ উইকেট ভাগ করে নেন তানভির ও কামরুল ইসলাম রাব্বি। তানভির ৭৮ রানে নেন ৬ উইকেট। রাব্বি ৪ উইকেট নেন ৪৩ রানে। ৮২.৫ ওভার বোলিং করতে ৮ বোলার ব্যবহার করেন বরিশাল অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ।
কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতেই রাকিন আহমেদকে হারায় মেট্রো। তরুণ ওপেনারকে কট বিহাইন্ড করে শিকার শুরু করেন তানভির। সাদমান ইসলামের সঙ্গে শামসুর রহমানের জমে যাওয়া জুটি ভাঙেন রাব্বি। শামসুরের পর এই পেসার শূন্য রানে বিদায় করেন মার্শাল আইয়ুবকে।
আল আমিনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন সাদমান। তিন বলের মধ্যে এই দুই জনকে ফিরিয়ে বরিশালকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান তানভির। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ১৪৫ বলে ৭৫ রান করেন সাদমান। ৫২ বলে ১৫ রান করেন আল আমিন।
রাব্বির বলে জাহিদউজ্জামান ও শহিদুল ইসলাম দ্রুত ফিরলে মেট্রোর বিপদ আরও বাড়ে। ১৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো দলটি এরপরই পায় ইনিংসে নিজেদের সেরা জুটি। অষ্টম উইকেটে আবু হায়দারের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়েন শরিফউল্লাহ।
৩৮ রান করা আবু হায়দারকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন তানভির। এক বল পর মানিক খানকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট নেন তিনি।
এরপর বেশিদূর এগোয়নি মেট্রোর ইনিংস। ৭ চারে ১০১ বলে ৫৯ রান করা শরিফউল্লাহ ফিরিয়ে তাদের ইনিংস গুটিয়ে দেন তানভির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৯/ (সাদমান ৭৫, রাকিন ৯, শামসুর ২৬, মার্শাল ০, আল আমিন ১৫, জাহিদ ৪, শরিফউল্লাহ ৫৯, শহিদুল ২, আবু হায়দার ৩৮, মানিক ৬, রকিবুল ২*; রাব্বি ১৮-৫-৪৩-৪, রুয়েল ১১-২-৩৩-০, তানভির ২৯.৫-৮-৭৮-৬, সোহাগ ৮-০-২৬-০, মনির ৯-০-১৫-০, আশরাফুল ৩-০-১৭-০, মইন ২-০-১১-০, সালমান ২-০-১৪-০)
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৩ ওভারে ৬/১ (মইনুল ০, আশরাফুল ৬*; শরিফউল্লাহ ২-২-০-১, রকিবুল ১-০-৬-০)