২১ উইকেট পতনের দিনে উজ্জ্বল নাজমুল-শুভাগত

ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট! সেই ধারায় দিনজুড়ে রাজত্ব করলেন বোলাররা। শুরুর দিনেই শেষ হয়ে গেল সিলেট ও ঢাকা বিভাগের প্রথম ইনিংস। ২১ উইকেট পতনের দিনে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আলো ছড়ালেন নাজমুল ইসলাম অপু। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উজ্জ্বল শুভাগত হোম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2021, 01:24 PM
Updated : 17 Oct 2021, 02:14 PM

জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয়েছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠের। প্রথম দিনে উইকেটে স্পিনারদের জন্য বেশ সহায়তা ছিল। অসমান বাউন্স থাকায় ব্যাটসম্যানদের জন্য শট খেলা ছিল কঠিন।

রোববার প্রথম সেশনে সিলেটকে ৬৭ রানে গুটিয়ে দেওয়া ঢাকা অল আউট হয় ১৭৬ রানে। দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৫ রান। এখনও ৭৪ রানে পিছিয়ে আছে তারা।

ঢাকার হয়ে প্রথম ইনিংসে আট ওভারের স্পেলে ২৩ রানে ৬ উইকেট নেন নাজমুল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাঁহাতি এই স্পিনারের আগের সেরা বোলিং ছিল ৬৪ রানে ৬ উইকেট।

অফ স্পিনে দুই ইনিংস মিলিয়ে শুভাগতর প্রাপ্তি ৪ উইকেট। মাঝে ব্যাট হাতে তিনি খেলেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটের ইনিংসে প্রথম আঘাত হানেন ঢাকার পেসার সুমন খান। তাকে লেগ সাইডে খেলে ক্যাচ দেন ইমতিয়াজ হোসেন।

থিতু হয়ে ফেরেন সায়েম আলম ও অমিত হাসান। টেকেননি অধিনায়ক অলক কাপালিও। তিন জনই শুভাগতর শিকার।

এরপরই শুরু নাজমুলের ঝলক। বাকি ছয় উইকেটের সবগুলোই নেন তিনি। একে একে ফেরান যথাক্রমে জাকের আলি, জাকির হাসান, এনামুল হক জুনিয়র, আবু জায়েদ চৌধুরি, খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেনকে। এর মধ্যে এক ওভারেই তার শিকার তিন জন।

সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন রাহাতুল ফেরদৌস। জাতীয় লিগে দলটির এই ৬৭ রানের নিচে দলীয় স্কোর আছে ৬টি। এর দুটিও আবার তাদেরই, ৬৫ ও ৬৬।

ব্যাটিংয়ে ঢাকার শুরুটাও ভালো হয়নি। তৃতীয় ওভারেই ইবাদতের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রনি তালুকদার। এনামুলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল আব্দুল মজিদ (৩৫)।

একটা পর্যায়ে ৭২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ঢাকাও অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল। সেখান থেকে তারা দেড়শ পার করতে পারে মূলত শুভাগত ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাটে।

ইবাদতের বলে বোল্ড হওয়া শুভাগত ৬৯ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় করেন ৫০ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়া অঙ্কনের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। তার ৮৩ বলের ইনিংসে চার ও ছক্কা সমান ৩টি করে।

সিলেটের হয়ে অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার এনামুল নেন ৪ উইকেট। ইবাদতের প্রাপ্তি ৩টি।

দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ সায়েম। তাকে বোল্ড করে দেন শুভাগত। দিন শেষে ইমতিয়াজ ২২ ও অমিত ১১ রানে অপরাজিত আছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট ১ম ইনিংস: ২২ ওভারে ৬৭ (ইমতিয়াজ ০, সায়েম ১৭, অমিত ১৪, জাকির ১০, কাপালি ০, জাকের ১, রাহাতুল ১৮*, এনামুল জুনিয়র ১, আবু জায়েদ ০, খালেদ ০, ইবাদত ০; সুমন ৩-০-১০-১, সালাউদ্দিন ৩-১-১১-০, শুভাগত ৮-২-১৮-৩, নাজমুল ৮-১-২৩-৬)

ঢাকা ১ম ইনিংস: ৪১ ওভারে ১৭৬ (মজিদ ৩৫, রনি ৩, সাইফ ৪, তাইবুর ০, শুভাগত ৫০, নাদিফ ১, মাহিদুল ৪৭, সুমন ১৫, নাজমুল ০, সালাউদ্দিন ০*; ইবাদত ১৩-১-৩৪-৩, এনামুল জুনিয়র ১৩-১-৬৬-৪, রাহাতুল ৪-০-১৬-০, খালেদ ৩.৫-০-৭-১, আবু জায়েদ ৫-০-২৭-১, কাপালি ২.১-১-১৩-০)

সিলেট ২য় ইনিংস: ৫ ওভারে ১৩/১ (ইমতিয়াজ ১১, সায়েম ১, আমিত ১*; সুমন ২-০-৯-০, শুভাগত ২-১-৪-১, নাজমুল ১-১-০-০)।