এক সপ্তাহ আগে উমরানকে ভারতীয় ক্রিকেটেও খুব বেশি লোকে চিনত না। স্রেফ একটি লিস্ট ‘এ’ ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের অভিজ্ঞতায় এবারের আইপিএলে তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের সঙ্গী হয়েছিলেন নেট বোলার হিসেবে। সেই সুযোগ পাওয়াতেও বড় ভূমিকা ছিল গতির।
২১ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার নেটে নজর কাড়েন টিম ম্যানেজমেন্টের। থাঙ্গারাসু নাটরাজন কোভিড আক্রান্ত হলে তার সাময়িক বদলি হিসেবে মূল দলে নেওয়া হয় উমরানকে। স্বল্পকালিন সেই সুযোগকে দীর্ঘমেয়াদি করার ব্যবস্থা করে ফেলেন তিনি প্রথম সুযোগেই।
আইপিএলে তার প্রথম বলটি ছিল ১৪৫ কিলোমিটার গতির, পরেরটিই স্পর্শ করে ১৫০! তৃতীয় ডেলিভারি ছিল ১৪৭ কিলোমিটার গতির।
অভিষেক ম্যাচে ৪ ওভারে ২৭ রান দেন উমরান, ১৫০ কিলোমিটার পেরিয়ে যায় তার আরও কয়েকটি ডেলিভারি।
দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। তবে আলোচনার জন্ম দেন আবারও গতি দিয়ে। এ দিন তার একটি ডেলিভারি ছাড়িয়ে যায় ১৫৩ কিলোমিটার, এবারের আইপিএলের যা দ্রুততম ডেলিভারি। গতির সঙ্গে তার নিশানাও ছিল দারুণ।
তৃতীয় ম্যাচে উইকেটের দেখা পান আরেকটি। যদিও ইশান কিষান ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং তাণ্ডবে পড়ে এ দিন ৪ ওভারে খরচ হয় তার ৪৮ রান। তবে সব মিলিয়ে গতি দিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটকে নাড়া দেওয়া হয়ে যায় তার।
প্রতিপক্ষে গতিময় পেসারদের জন্য প্রস্তুত হতেই উমরানকে এখন রাখা হচ্ছে ভারতীয় দলের নেটে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত প্রথম ম্যাচ খেলবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২৪ অক্টোবর।