ওমানের শিশিরে চট্টগ্রামের ছোঁয়া পাচ্ছেন সাইফ

উইকেট এমনিতেই ব্যাটিং সহায়ক। শিশির পড়ায় ব্যাটসম্যানদের কাজ হয়ে গেল আরও সহজ। ভেজা বল দিয়ে বোলিংয়ের পরীক্ষা দিতে হলো বোলারদের। বাংলাদেশ দলের জন্য একটু চমক হয়েই এলো তা। মানিয়ে নিতে অবশ্য সমস্যা হলো না খুব একটা। ওমানের এই কন্ডিশনের সঙ্গে বেশ মিল আছে যে বাংলাদেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু চট্টগ্রামের!  

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2021, 04:15 PM
Updated : 9 Oct 2021, 04:15 PM

ওমান যাওয়ার পর থেকে দিনের বেলায় অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল। কৃত্রিম আলোয় খেলার অনুশীলন হয়ে যায় শুক্রবার ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে। ব্যাটসম্যানরা ২০ ওভারে ২০৭ রান তোলার পর রাতের শিশিরে বোলিং করার চ্যালেঞ্জ মোটামুটি সামলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ৪ ওভারে ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট, ৪ ওভারে ১৭ রানে ২টি নেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

বোলিং ভালো করলেও কাজটা সহজ ছিল না, ম্যাচের পরদিন জানালেন সাইফ। বিসিবির ভিডিও বার্তায় এই অলরাউন্ডার বললেন, ভেজা বল সামলানোয় কাজে লেগেছে চট্টগ্রামের অভিজ্ঞতা।  

“যেহেতু প্রথমবারের মতো ওমান এসেছি, কন্ডিশন কিছুটা অচেনা ছিল। তিন-চার দিন অনুশীলন করে কিছুটা মানিয়ে নিতে পেরেছি। যদিও আমরা দিনের বেলায় অনুশীলন করেছি, রাতে অনুশীলনের সুযোগ ছিল না।”

“(ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ম্যাচে) দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ-ছয় ওভার পর মাঠ অনেক ভেজা ছিল। যেটা আমরা চট্টগ্রামে বিপিএলে খেলার সময় পেতাম। এমনটা আশা করিনি। তবুও মানিয়ে নিয়েছি। যেহেতু এর আগে চট্টগ্রামে বিপিএল খেলেছি, শিশিরের মধ্যে সেখানে শেষ দিকে তিন-চার ওভারে বোলিং করেছি। সেই অভিজ্ঞতা এখানে শেষ দুই ওভারে কাজে লাগিয়েছি।”

বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ১৭ অক্টোবর স্কটল্যান্ড ও এক দিন পর ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম দুই ম্যাচ শুরু হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায়। এই দুই ম্যাচে শিশিরের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করছেন সাইফ।

“উইকেট বেশ ব্যাটিং সহায়ক ছিল। প্রথম সাত-আট ওভার যাওয়ার পর আরও বেশি ব্যাটিং সহায়ক হয়ে যায়। কারণ, বল শিশিরের জন্য ভিজে যায়। এই ম্যাচ খেলে আমাদের জন্য উপকার হয়েছে বলে মনে করি। কারণ, প্রথম পর্বে আমাদের দুটি ম্যাচ আছে রাতে। আমরা এখন থেকে সেভাবেই প্রস্তুতি নেব।”

শিশিরের মধ্যে পরে বোলিং করতে হলে বোলারদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। সাইফ বললেন, তিনি একাই নন দলের সবাই সেই সময়ে নিজেকে মেলে ধরতে প্রস্তুত হচ্ছেন।

“আমি যদি পাওয়ার প্লেতে বোলিং করি চেষ্টা থাকবে, রান কম দেওয়ার। যদি ডেথে বোলিংয়ে আসি তাহলে লক্ষ্য থাকবে ৮-৯ রানের কমে ওভার শেষ করার। এটা বাড়তি কোনো দায়িত্ব বা চাপ নয়। অধিনায়ক যখন যার হাতে বল দিবে তারই লক্ষ্য থাকবে, দায়িত্বটা পালন করা।”

ওমানে প্রস্তুতি পর্ব শেষে রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ দল। আবু ধাবিতে আগামী মঙ্গলবার প্রথম অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, বৃহস্পতিবারের ম্যাচে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি খেলে আগামী শুক্রবার আবার ওমানে ফিরবে দল।