সরফরাজ কেন বিশ্বকাপ দলে, প্রশ্ন ইনজামামের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে পাকিস্তানের নির্বাচকদের কড়া সমালোচনা করেছেন ইনজামাম-উল-হক। দেশটির সাবেক এই অধিনায়ক প্রশ্ন তুলেছেন সরফরাজ আহমেদকে দলে ফেরানো নিয়ে। ইনজামাম মনে করছেন, খেলানোর জন্য নয়, শুধু শুধু দলের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2021, 02:09 PM
Updated : 9 Oct 2021, 02:17 PM

আসছে বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের প্রথম ধাপের ঘোষিত দলে ছিলেন না সরফরাজ। গত শুক্রবার দলে তিনটি পরিবর্তন আনে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে ফেরানো হয় সাবেক অধিনায়ক সরফরাজকে। তার সঙ্গে ডাক পান তরুণ হায়দার আলি ও ফখর জামান।

মূলত আরেক কিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাকআপ হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী সরফরাজ। যেখানে প্রথম দফায় সুযোগ পেয়েছিলেন সাবেক ক্রিকেটার মইন খানের ছেলে আজম খান।

গত দুই বছর ধরেই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের প্রথম পছন্দের কিপার রিজওয়ান। ২০১৯ সালের অক্টোবরের পর থেকে জাতীয় দলের হয়ে এই সংস্করণে সরফরাজ খেলেছেন কেবল দুটি ম্যাচ। রিজওয়ান সুস্থ থাকলে বিশ্বকাপে তাই সরফরাজের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আলাপচারিতায় শুক্রবার ইনজামাম বলেন, না খেলালে সরফরাজকে দলে নেওয়ার কোনো মানে নেই।

“নির্বাচক কমিটি যদি পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দল নির্বাচন করতে চায়, তাহলে খেলোয়াড়দের বয়স এবং অন্যান্য বিষয় ভুলে যেতে হবে।”

“সরফরাজকে যখন খেলানোই হবে না, তাহলে কেন তাকে (বিশ্বকাপে) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? গত দুই বছরে সে (জাতীয় দলের হয়ে) কয়টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে? সে একজন সম্মানিত সাবেক অধিনায়ক- তাকে দলে নেওয়া এবং না খেলানোর কোনো মানেই হয় না।”

ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে-এমন সামর্থ্যের খেলোয়াড়দের টি-টোয়েন্টি দলে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ইনজামাম। সেক্ষেত্রে ওপেনার শারজিল খানকে দলে না রাখা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সাবেক এই প্রধান নির্বাচকের মতে, পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করা উচিত।

“শারজিল খান অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে (ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে)। যদি তারা ব্যাটিং অর্ডার বদলাতে না চায়, তাহলে শোয়েব মালিককে কেন বিবেচনা করা হয়নি? তার অভিজ্ঞতা আছে। দুই জনই বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারত।”

শারজিলের জায়গা না হলেও মালিক অবশ্য অনেক নাটকীয়তার পর বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়েছেন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে প্রথম দুই দফায় দলে রাখা হয়নি। সোহেব মাকসুদ চোট নিয়ে ছিটকে যাওয়ায় শনিবার তার বদলি হিসেবে নেওয়া হয় ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া মালিককে।