বিশ্বকাপে কিষানকে ওপেনিংয়ে চান কোহলি

রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের মতো নিয়মিত দুই ওপেনার আছেন দলে। টি-টোয়েন্টিতে বিরাট কোহলিও ইনিংস ওপেন করে থাকেন। সঙ্গে ইশান কিষানকেও নাকি ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে ওপেনার হিসেবেই! অধিনায়কের কাছ থেকে এমন বার্তা পাওয়ার কথা জানালেন তরুণ এই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান নিজেই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2021, 07:18 AM
Updated : 9 Oct 2021, 07:18 AM

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলের সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্বে খুব একটা ভালো করতে পারছিলেন না কিষান। তিন ও চার নস্বরে ব্যাট করে ব্যর্থ হওয়ার পর একাদশে জায়গাও হারান। পরে আবার একাদশে ফেরেন ভিন্ন ভূমিকায়। আসরে মুম্বাইয়ের শেষ দুই ম্যাচ খেলেন তিনি ওপেনিংয়ে।

এখানে তিনি দারুণ সফল। গত মঙ্গলবার রাজস্থান র‌য়্যালসের বিপক্ষে করেন ২৫ বলে অপরাজিত ৫০। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে শুক্রবার ফিফটি করেন ১৬ বলেই। এবারের আইপিএলে যা দ্রুততম ফিফটি, সব আইপিএল মিলিয়ে তৃতীয় দ্রুততম। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৩২ বলে ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে।

আইপিএলের শেষ ভাগে ওপেনিংয়ে যেভাবে আলো ছড়ালেন তিনি, বিশ্বকাপেও যদি এই পজিশন সুযোগ মেলে? ম্যাচের পর এই প্রশ্ন শুনে কিষান খোলাসা করলেন, এই ভূমিকার কথা অধিনায়ক তাকে আগেই বলেছেন।

“আমার খুবই ভালো লাগবে (ওপেন করতে পারলে) এবং বিরাট ভাই আমাকে এটাই বলেছেন যে ‘তোমাকে দলে নেওয়া হয়েছ ওপেনার হিসেবে, সেটার জন্য তোমাকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’ আমার মনে হয়, বড় মঞ্চে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।”

২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান জানালেন, ফর্মহীনতার সময়টায় তিনি পাশে পেয়েছেন কোহলিসহ মুম্বাইয়ের সিনিয়র ক্রিকেটারদের। বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ফিরে পেয়েও খুশি ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

“বিরাট (কোহলি) ভাইয়ের সঙ্গে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে আমার, জাসপ্রিত (বুমরাহ) ভাইও সাহায্য করেছেন। এমনকি এইচপি (হার্দিক পান্ডিয়া), কেপি (ক্রুনাল পান্ডিয়া) পাশে ছিল আমার। তারা বলেছেন, আমার জন্য এটা শেখার সময়। ভুল থেকে যেন শিখতে পারি এবং সামনের বিশ্বকাপে যেন একই ভুল আর না করি।”

“বিশ্বকাপের আগে রান করতে পেরে ও ছন্দে ফিরতে পারাটা খুব ভালো হলো। খুব ভালো মানসিক অবস্থায় ছিলাম, দারুণ ইতিবাচক ছিলাম (এই ম্যাচে)। এই ধরনের টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ) যে কোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকা ও সেরা ফর্ম নিয়ে যাওয়া জরুরি।”