আইপিএলের চলতি আসরের প্রাথমিক পর্বের শেষ দিনের ম্যাচটি বিরাট কোহলির দল জেতে ৭ উইকেটে।
১৬৪ রান তাড়ায় শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। সেই সমীকরণ মিলিয়ে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ভারত।
২০তম ওভারে আভেশের প্রথম বলে ম্যাক্সওয়েল মারেন চার। পরের বলে নেন দুই। তৃতীয় বলে লেগ বাই থেকে প্রান্ত বদল করেন দুই ব্যাটসম্যান।
তিন বলে ৮ রান প্রয়োজন, এমন সময়ে একটি বল ডট খেলেন ভারত। পরের বলে আকসার প্যাটেলের মিস ফিল্ডিংয়ে আসে ২ রান। পরের বলটি ছিল ওয়াইড। তাতে শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে ৫ রান।
ম্যাচের শেষ বলটি ছিল বেশ বাজে। মিডল স্টাম্পে ফুলটস করেন আভেশ। উপহার কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি ভারত। বোলারের মাথার ওপর দিয়ে হাঁকান ছক্কা। ৫২ বলে তিন চার ও চার ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৮ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটসম্যানের টি-টোয়েন্টিতে এটি সর্বোচ্চ।
তার সঙ্গে শতরানের জুটি গড়া ম্যাক্সওয়েল ৩৩ বলে ৮ চারে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন।
পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানের দিক থেকে এই ম্যাচে খুব বেশি কিছু চাওয়া-পাওয়ার ছিল না দুই দলের। শীর্ষ স্থানে থাকা নিশ্চিত ছিল দিল্লির, হার-জিত যাই হোক তিনে বেঙ্গালুরু। দুই নম্বরে থাকা চেন্নাই সুপার কিংস রান রেটে তাদের চেয়ে এত এগিয়ে যে তাদের পেছনে ফেলার বাস্তব সম্ভাবনা ছিল না কোহলিদের।
ম্যাচ শেষে ভারত জানান, ম্যাচের কোনো পর্যায়েই স্নায়ু চাপ তাকে পেয়ে বসেনি। অন্য প্রান্তে থাকা ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে কথা বলে বলেই এগোচ্ছিলেন তিনি।
“শেষ বলে জেতা অসাধারণ একটা ব্যাপার। ম্যাচ শেষ করে আসার অনুভূতি অবিশ্বাস্য। আগের বলটা ওয়াইড হওয়ায় পরের বলে সুযোগ খুঁজছিলাম।”
তিনি যতটা সহজে বলছেন কাজ ততটা সহজ ছিল না। মাঠের বাইরে তার সতীর্থদের প্রতিক্রিয়াই তা বলে দেয়। জয় উদাযাপন করতে মাঠে ছুটে আসেন মোহাম্মদ সিরাজ, যুজবেন্দ্র চেহেল। কোহলি যেন ভেবে পাচ্ছিলেন না ঠিক কি করবেন। উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা দল।
প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৮ থেকে কেবল ১৬৪ পর্যন্ত যেতে পারে দিল্লি। পরে বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করলেও ধরে রাখতে পারেনি ধারা। অধিনায়ক রিশাভ পান্ত দুষলেন নিজেদের বাজে ফিল্ডিংকে।
“আমরা জানি, টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিং কত গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা যেমন করেছি তেমন ফিল্ডিং কোনো দল করলে তাদের হারই প্রাপ্য।”