সেপ্টেম্বর মাসের সেরার লড়াইয়ে নাসুমের সঙ্গে আছেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দিপ লামিছানে ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যান জাসকারান মালহোত্রা।
বাংলাদেশ থেকে এর আগে দুই জন ছিলেন মাস সেরার লড়াইয়ে। দুই জনই শেষ পর্যন্ত পান সেরার স্বীকৃতি। মে মাসে সেরা হন মুশফিক, জুলাইয়ে সাকিব।
তাদের পাশে নাম তোলার সম্ভাবনা এবার নাসুমের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে দলের সঙ্গে এখন ওমানে আছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। বিসিবির ভিডিও বার্তায় তিনি বললেন, মুশফিকসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছেন এই স্বীকৃতি নিয়ে।
“আসলে বিষয়টা আমিও জানতাম না। কাল অনুশীলনের পর হোটেলে গিয়ে জেনেছি। আমি বিষয়টা বুঝিও নাই যে জিনিসটা কী। অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি, মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে বেশি কথা বলেছি যে, ভাই এটা কী বা এটা-ওটা।”
“উনি বললেন যে, ‘তোকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, এখন সবাই ভোট দিবে। এরপর তুই বেশি ভোট পেলে প্লেয়ার অব দ্য মান্থ হিসেবে ঘোষণা করবে।’ তবে আমি এখনও বুঝে উঠতে পারছি না জিনিসটা আসলে কী। হয়তো এটা অনেক সম্মানের বিষয়। শেষ সিরিজগুলো ভালো খেলছি, হয়তো তার পুরস্কার।”
গত মাসে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের ৩-২ ব্যবধানে জয়ে বড় অবদান ছিল নাসুমের। বাঁহাতি স্পিনে ওভারপ্রতি ৪.৭৮ রান দিয়ে উইকেট নেন তিনি ৮টি, যা সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
চতুর্থ ম্যাচে ১০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে গড়েন ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের কীর্তি। দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে এবার জায়গা পেলেন সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায়।
এই বছর থেকেই আইসিসি মাস সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছে। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।
সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।