পাকিস্তানের এই কিপার-ব্যাটসম্যান প্রিমিয়ার সি লিগের চলমান মৌসুমে ক্যালিফোর্নিয়া জালমির প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কদিন আগেই পাকিস্তান ক্রিকেটে ফেরেন আকমল। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিনএনক্রিকইনফো তাদের সোমবারের প্রতিবেদনে জানায়, ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের ফেরাটা সেখানে ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি। পিসিবির পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলেও ঘরোয়া শীর্ষ দলে তার জায়গা পাওয়া এখনও অনিশ্চিত।
প্রথম একাদশের বদলে আকমলকে খেলতে বলা হয়েছে দ্বিতীয় একাদশে। এমনকি চলমান ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপেও রাখা হয়নি তাকে। পাকিস্তানের হয়ে ১৬ টেস্ট, ১২১ ওয়ানডে ও ৮৪ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটারের প্রত্যাশায় যা চরমভাবে আঘাত করেছে।
পিসিবির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সেন্ট্রাল পাঞ্জাবের দ্বিতীয় একাদশের হয়ে পাঁচ ম্যাচে আকমল রান করেন যথাক্রমে ০, ১৪, ৭, ১৬ ও ২৯। এরপরই আপাতত ঘরোয়া ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আকমলের পরিবারই নিশ্চিত করেছে তার যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার কথা। পরিবারের একজনের মতে, পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের শিকার হয়েছেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার।
“আরও কয়েকজন আছেন যাদেরকে বড় অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু প্রত্যাবর্তনের জন্য তাদের অভূতপূর্ব সমর্থন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উমরের ক্ষেত্রে কখনও ন্যায্যটা করা হয়নি। বাজে ফিটনেসের কয়েকজনকে নেওয়ার জন্য দৃষ্টিকটুভাবে সমঝোতা করা হয়েছে। কিন্তু উমরকে বাইরে রাখতেই মূলত তার বেলায় সীমারেখাটা আরও কঠোর করা হয়।”
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েও তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় গত বছরের এপ্রিলে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় আকমলকে। পরে তার আপিলে দুই দফায় শাস্তি কমে নেমে আসে এক বছরে। সঙ্গে তাকে ৪২ লাখ ৫০ হাজার পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত।
পেশাদার ক্রিকেটে ফিরে অবহেলার মাঝে এবার নতুনভাবে শুরুর পথ খুঁজছেন আকমল। এর আগে পাকিস্তান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন সাবেক ওপেনার সামি আসলাম। প্রস্তাব পেলে দেশটির আরও অনেক ক্রিকেটারও সেখানে নতুন ঠিকানা গড়তে প্রস্তুত।
উমর আকমল এখনও তেমন কোনো প্রস্তাব যে পাননি, তা নিশ্চিত। তবে এই ক্যালিফোর্নিয়া যাত্রা তার ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ পথরেখা গড়ে দিতে পারে।