সাইক্লোন শাহিনের প্রভাবে রোববার বাংলাদেশের যাত্রা নিয়ে শঙ্কা জাগে। দুপুরে মাসকাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়।
এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই নির্ধারিত সময়ের পৌনে তিন ঘণ্টা পর রাত দেড়টায় ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ দল। সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিসিবির গণমাধ্যম ও যোগাযোগ কমিটির ম্যানেজার রাবীদ ইমাম জানান, স্থানীয় সময় ভোর চারটার দিকে নেমেছেন তারা। এই মুহূর্তে সবাই ঘুমাচ্ছেন।
ক্লান্তিকর এক যাত্রা দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় বাংলাদেশ দল। মাঝপথে শুনেন, সাইক্লোনের জন্য পিছিয়ে গেছে ফ্লাইট। ফিরতি পথ ধরার কিছুক্ষণ পর আবার খবর আসে, নির্ধারিত সময়েই ছাড়বে বিমান।
সবার ফিরে যান বিমানবন্দরে। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানান বিশ্বকাপে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার প্রত্যয়।
“যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলে ‘বাছাই পর্বের’ ম্যাচগুলো জিতে মূল পর্বে যাই, তাহলে আমরা চেষ্টা করব যত বেশি ম্যাচ জেতা যায়। যেহেতু পূর্ববর্তী বিশ্বকাপগুলো আমাদের খুব একটা সুখকর স্মৃতি নেই আমরা চেষ্টা করব যেন সেই দেয়াল (ভালো করতে না পারা) ভাঙতে পারি। আপনি বলতে পারবেন না, এই ফরম্যাটে কখন কি আসবে।”
এখন এক দিনের রুম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে দলকে। কোয়ারেন্টিনের পর কোভিড নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে মঙ্গলবার থেকে অনুশীলন শুরু করবেন মাহমুদউল্লাহরা।
তিন দিন অনুশীলনের পর ওমানে হওয়ার কথা নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে এক দিন কোয়ারেন্টিন শেষে এক দিন হবে অনুশীলন।
১২ ও ১৪ অক্টোবর আবু ধাবিতে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে দল আবার ওমানে ফিরবে ১৫ অক্টোবর।
এবার এক দিন অনুশীলনের পরই শুরু বিশ্বকাপের লড়াই। ১৭ অক্টোবর প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। এরপর ১৯ অক্টোবর খেলা স্বাগতিক ওমানের সঙ্গে, ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে।
প্রথম পর্ব উতরাতে পারলে সুপার টুয়েলভ খেলতে ২২ অক্টোবর আবার আমিরাতে যাবে দল।
জৈব-সুরক্ষা বলয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হলেও পাঁচদিন পরপরই কোভিড পরীক্ষা করানো হবে বলয়ে থাকা সবার।