ঝড়ের মধ্যেই ওমান যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফ্লাইট পিছিয়ে গেছে শুনে মাঝপথ থেকে ফিরে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু মিনিট পাঁচেক পরেই খবর আসে, নির্ধারিত সময়েই ছাড়বে তাদের বিমান। দিনভর নানা নাটকীয়তার পর রোববার রাতেই বিশ্বকাপে খেলতে দেশ ছাড়ছে মাহমুদউল্লাহর দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2021, 02:42 PM
Updated : 3 Oct 2021, 05:08 PM

বিসিবির গণমাধ্যম ও যোগাযোগ কমিটির ম্যানেজার রাবীদ ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত পৌনে ১১টার সময় ওমানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তারা। তবে সেই সময়ে যাওয়া হচ্ছে না তাদের। এক ঘণ্টা পিছিয়ে পৌনে ১২টায় নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।    

যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা জেগেছিল সাইক্লোন শাহিনের জন্য রোববার দুপুরে মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সব ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণায়।

এর মধ্যেই মিরপুরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি থেকে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় বাংলাদেশ দল। রাবীদ ইমাম জানান, ফ্লাইট পিছিয়ে গেছে শুনে ফিরে যাচ্ছিলেন তারা।

“এর মিনিট পাঁচেক পরেই খবর আসে, নির্ধারিত সময়েই ছাড়বে বিমান। আমরা আবার বিমানবন্দরে যাচ্ছি।” 

বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানান বিশ্বকাপে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার প্রত্যয়।

“আমরা সবাই আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী। যদি ভালো খেলতে পারি, ধারাবাহিক থাকি তাহলে এই বিশ্বকাপ আমাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ। আমরা সর্বশেষ কয়েকটা সিরিজে যেরকম ক্রিকেট খেলেছি, ওই রকম আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা যদি খেলতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমাদের জন্য ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।”

“প্রত্যাশা তো থাকবেই। সবমিলিয়ে দলের প্রত্যাশা, খেলোয়াড়দের, দেশবাসীর। কিন্তু এই প্রত্যাশাগুলো আমরা তখনই পূরণ করতে পারব, যখন আমরা নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী নিজেদের নামের প্রতি ‍সুবিচার করতে পারব। সেটার জন্য গ্রুপ পর্বের যে ম্যাচগুলো (বাছাই পর্ব) আছে, ধাপে ধাপে আমাদের এগোতে হবে।”

প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই মূল পর্বে যাওয়া। সেটা পূরণ করার পর ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে চান মাহমুদউল্লাহ।

“যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলে ‘বাছাই পর্বের’ ম্যাচগুলো জিতে মূল পর্বে যাই, তাহলে আমরা চেষ্টা করব যত বেশি ম্যাচ জেতা যায়। যেহেতু পূর্ববর্তী বিশ্বকাপগুলোয় আমাদের খুব একটা সুখকর স্মৃতি নেই। চেষ্টা করব সেই দেয়াল (ভালো করতে না পারা) ভাঙতে। এই ফরম্যাটে কখন কি হয়, বলা যায় না।”

“বিশ্বকাপে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিতবোধ করছি। একই সঙ্গে এটা আমার জন্য অনেক বড় দায়িত্ব। সবাই মিলে চেষ্টা করব এবং সবাই যেন নিজেদের দায়িত্বটা ভাগ করে নিতে পারি এবং দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারি।”

ওমানে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের কোচদের। সাইক্লোন শাহিনের জন্য ফ্লাইট এলোমেলো হয়ে যাওয়ায় দুবাইয়ে আটকা পড়েছেন তারা।

ওমান পৌঁছে এক দিনের রুম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে দলকে। কোয়ারেন্টিনের পর কোভিড নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে মঙ্গলবার থেকে অনুশীলন শুরু করবেন মাহমুদউল্লাহরা।

তিন দিন অনুশীলনের পর ওমানে হওয়ার কথা নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ৯ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে এক দিন কোয়ারেন্টিন শেষে এক দিন হবে অনুশীলন।

১২ ও ১৪ অক্টোবর আবু ধাবিতে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ড। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে দল আবার ওমানে ফিরবে ১৫ অক্টোবর।

এবার এক দিন অনুশীলনের পরই শুরু বিশ্বকাপের লড়াই। ১৭ অক্টোবর প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। এরপর ১৯ অক্টোবর খেলা স্বাগতিক ওমানের সঙ্গে, ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে।

প্রথম পর্ব উতরাতে পারলে সুপার টুয়েলভ খেলতে ২২ অক্টোবর আবার আমিরাতে যাবে দল।

জৈব-সুরক্ষা বলয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হলেও পাঁচদিন পরপরই কোভিড পরীক্ষা করানো হবে বলয়ে থাকা সবার।