বড় শট নিয়ে কাজ করছেন সৌম্য

সৌম্য সরকারের সামর্থ্য নিয়ে কোনো সংশয় নেই। নিজের দিনে একাই গুঁড়িয়ে দিতে পারেন প্রতিপক্ষকে। কিন্ত ধারাবাহিকতার বড্ড অভাব। সবশেষ দুই সিরিজে যেমন রানের দেখা পাননি। উইকেট যদিও ব্যাটিংয়ের জন্য ছিল কঠিন। আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা হবে হয়তো স্পোর্টিং উইকেটে। নিজেকে তাই সেভাবেই প্রস্তুত করছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। জানালেন, কাজ করছেন বড় শট খেলা নিয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2021, 05:50 PM
Updated : 1 Oct 2021, 08:51 PM

বাংলাদেশের টেস্ট ও ওয়ানডে দলে জায়গা হারিয়ে সৌম্য এখন শুধু খেলছেন টি-টোয়েন্টি। গত জিম্বাবুয়ে সফরে ৫০ ও ৬৮ রানের দারুণ দুটি ইনিংস খেলে তিনিই জিতেছিলেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। এরপরই তার ব্যাটে ভাটার টান। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে খেলে কেবল ২৮ রান করতে পারেন ৫.৬০ গড়ে। স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ৫৬।

পরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সুযোগ পান কেবল একটি ম্যাচে। সেখানেও হাসেনি তার ব্যাট, ৯ বলে করেন ৪ রান। দুটি সিরিজেই অবশ্য মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেট ছিল মন্থর ও টার্নিং। অন্য ব্যাটসম্যানদেরও ভুগতে দেখা গেছে সেখানে।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুক্রবার সৌম্য বললেন, বিশ্বকাপ সামনে রেখে স্পোর্টিং উইকেটে খেলার জন্য প্রস্তত করছেন নিজেকে।

“স্কিল নিয়ে কিছু কাজ করা তো হয়েছেই। ব্যালেন্স করা, উইকেটে মানিয়ে নেওয়া নিয়ে কাজ করেছি। আমরা গত যে দুই সিরিজে খেলেছি সেখানে উইকেট অনেক কঠিন ছিল। স্পোর্টিং উইকেটে খেলার জন্য আবার নিজেকে প্রস্তুত করতে হচ্ছে। গত অনুশীলন সেশনগুলোতে উইকেট ভালো ছিল। বড় শট খেলতে গেলে ভারসাম্য জরুরি। ওটা নিয়েই বেশি কাজ করেছি।”

এখানকার প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট সৌম্য। বাকিটা ঝালিয়ে নিতে চান ওমানের ক্যাম্পে। বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারেও আশাবাদী তিনি।

“এতদিন অনুশীলন করছিলাম। আশা করি প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমরা তাড়াতাড়ি যাচ্ছি। ওখানে প্রস্তুতি ম্যাচও আছে। ওখানে প্রস্তুত হওয়ার আরও সুযোগ পাব। ভালো কিছুর আশা নিয়েই যাব। আশা করি, সবাই ওখানে মানিয়ে নিতে পারবে। আমরা জয়ের ধারায় আছি। একটা আত্মবিশ্বাস আছে।”

বিশ্বকাপ অভিযানে আগামী রোববার ঢাকা ছাড়বে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মূল লড়াইয়ে উঠতে প্রথম রাউন্ডে খেলতে হবে দলকে। ম্যাচগুলো হবে ওমানে। এর আগে দুটি অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা আরব আমিরাতে।