রুট আসুক বা না আসুক, অ্যাশেজ হবেই: পেইন

অস্ট্রেলিয়ার কঠোর কোয়ারেন্টিন নিয়মের কারণে আগামী অ্যাশেজ সিরিজ নিয়ে ধোঁয়াশা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। ইংল্যান্ডের শীর্ষ সারির ক্রিকেটারদের সিরিজটিতে খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, নির্দিষ্ট কেউ আসুক বা না আসুক, অ্যাশেজ হবেই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2021, 11:54 AM
Updated : 1 Oct 2021, 11:54 AM

আগামী ডিসেম্বরের অ্যাশেজ সফরে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা পরিবার সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ের ক্লান্তির কারণে কিছু ইংলিশ ক্রিকেটার তাই অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

কদিন আগে ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট বলেছিলেন, পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব করার জন্য তিনি ‘উদগ্রীব’। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় নিয়মকানুন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে সফরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না তিনি। শুক্রবার এসইএন রেডিওতে পেইন বলেন, কোন ইংলিশ ক্রিকেটার সফরে আসবে কি আসবে না, সেটা নিয়ে মোটেও ভাবছেন না তারা।

“অ্যাশেজ হবেই। জো (রুট) থাকুক বা না থাকুক, প্রথম টেস্ট ৮ ডিসেম্বরই শুরু হবে। সবকিছু নিয়ে কাজ চলছে। তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেবে প্লেনে উঠবে কি উঠবে না।”

“ইংল্যান্ডের কোনো খেলোয়াড়কে আসতে কেউ জোর করছে না। এটাই আমাদের এই পৃথিবীর সৌন্দর্য...আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে। যদি আসতে না চান, আসবেন না।”

ভ্রমণের শর্ত এবং খেলোয়াড়রা পরিবার সঙ্গে নিতে পারবে কি না, এসব নিয়ে কর্তৃপক্ষ ও ইংল্যান্ড বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, পুরোপুরি টিকা নেওয়াদেরও দেশটিতে গিয়ে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়।

কদিন আগে সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ও ক্রিকেট বিশ্লেষক কেভিন পিটারসেন টুইট করে বলেন, কোনো ধরনের কড়াকড়ি থাকলে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের সফরে যাওয়া উচিত হবে না।

“কোনোভাবেই আমি এই অ্যাশেজ সফরে যেতাম না। কখনোই না। যতক্ষণ না অদ্ভুত কোয়ারেন্টিন নিয়ম শিথিল হতো এবং কোনো কড়াকড়ি ছাড়াই আমার পরিবার যেতে পারত।”

পিটারসেনের ওই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন পেইন। তার মতে, পিটারসেন খেলোয়াড়দের জন্য কথাটা বলেননি, তার উচিত সিদ্ধান্তটা খেলোয়াড়দের ওপরই ছেড়ে দেওয়া।

“বিশ্বের যে কোনো কিছু নিয়ে জানতে হলে শুধু কেভিনকে জিজ্ঞাসা করলেই চলবে। সে যেন সবকিছুরই বিশেষজ্ঞ।”

“ইংল্যান্ডের কোনো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে আমরা শুনিনি যে তারা বলছে, তারা আসবে না। আমার মনে হয়, কেভিনের মতো লোকেরা মিডিয়ায় প্রচার পেতে একটু বেশিই পছন্দ করে।”