এই আসরেই লক্ষ্য পূরণ হতে হবে এমন ভাবছেন না রশিদ। তিলে তিলে নিজেদের গড়ে তুলে একদিন শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরার জন্য তৈরি হচ্ছেন।
আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্ট আফগানিস্তানের অভিষেক হয় ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আর রশিদের প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট ভারতে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সেবার সুপার টেনে খেলে আফগানিস্তান। প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে দলকে সেখানে নেওয়ায় বড় অবদান ছিল রশিদের। ১৬.৬৩ গড়ে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি ছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
সেই আসরে আফগানিস্তানই একমাত্র দল যারা হারিয়েছিল শেষ পর্যন্ত শিরোপা জেতা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ক্যারিয়ানদের বিপক্ষে ওই ম্যাচে দুই উইকেট নিয়েছিলেন রশিদ।
এর পরের পাঁচ বছরে আফগানিস্তান ক্রিকেট পৌঁছে গেছে আরও উচ্চতায়। অর্জন করেছে অনেক সাফল্য। ২০১৭ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দেশটি সাদা পোশাকে প্রথম ম্যাচ খেলে পরের বছর, ভারতের বিপক্ষে। এই সংস্করণে জয়ের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়নি খুব বেশি। ২০১৯ সালে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই তারা হারিয়ে দেয় আয়ারল্যান্ডকে। ওই বছরই বাংলাদেশের মাটিতে তুলে নেয় দারুণ এক জয়। জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও।
আফগানিস্তান ক্রিকেট প্রতিনিয়ত উঠছে ওপরের দিকে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে সুপার টুয়েলভে। যেখানে প্রাথমিক পর্ব খেলে যেতে হবে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো দলকে।
লম্বা সময় ধরে অর্জনের এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে চায় আফগানরা, আইসিসির একটি আয়োজনে বললেন রশিদ।
“দল হিসেবে গত ১০ বছরে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। আমরা এমন এক জায়গা থেকে এসেছি, যেখানে ছিল না কোনো সুযোগ-সুবিধা। ওই পর্যায় থেকে উঠে এসে আমরা অনেকগুলো বিশ্বকাপ খেলেছি। টেস্ট দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া যেকোনো দেশের জন্যই স্বপ্ন। আমরা সেটাও পেয়েছি এবং ম্যাচও খেলেছি। আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।”
“আমরা ভবিষ্যতের লক্ষ্য স্থির করেছি যে, একদিন বিশ্বকাপ জেতার সামর্থ্য হবে আমাদের, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দেশে থাকা সবার মনোযোগ সেখানেই।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে রশিদের এতটা আত্মবিশ্বাসের কারণ, দলের ক্রিকেটারদের এই সংস্করণে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। যা প্রমাণ মেলে র্যাঙ্কিংয়ে তাকালেই।
আইসিসির টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের তালিকায় দশ নম্বরে হজরতউল্লাহ জাজাই। বোলারদের মধ্যে রশিদ আছেন তিনে, মুজিব-উর রহমান পাঁচে। আর অলরাউন্ডারদের মধ্যে শীর্ষে মোহাম্মদ নবি।
রশিদ জানালেন, তাদের প্রতিটা ক্রিকেটারেরই এখন লক্ষ্য বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলা।
“এটাই সবার স্বপ্ন, প্রতিটা ক্রিকেটারের লক্ষ্য। আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে সমর্থ। দক্ষতা ও নিজেদের ওপর বিশ্বাস আছে আমাদের। আমি নিশ্চিত, আমরা ভবিষ্যতে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে যাচ্ছি।”