পোলার্ডের ‘গতি নেই, সুইং নেই, বুদ্ধি আছে’

বলে নেই গতি। নেই সুইং কিংবা মুভমেন্ট। নেই ব্যাটসম্যানকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলার মতো ভয়ঙ্কর কিছুও। স্রেফ জেন্টল মিডিয়াম পেস বোলিং। এই বোলিং দিয়েই হয়ে গেল ৩০০ টি-টোয়েন্টি উইকেট! কাইরন পোলার্ড বললেন, মাথা খাটিয়ে বোলিং করেই তার এই সাফল্য।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2021, 06:54 AM
Updated : 29 Sept 2021, 06:54 AM

আইপিএলে মঙ্গলবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ৩০০ টি-টোয়েন্টি উইকেট পূর্ণ হয় পোলার্ডের।

যদিও বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান আর দুর্দান্ত ফিল্ডার হিসেবেই বেশি পরিচিতি তার, বোলিং করেন কেবল দলের প্রয়োজন পড়লেই। তবু বোলিংয়ের দারুণ এই মাইলফলক তার ধরা দিল। টি-টোয়েন্টিতে তার আগে ৩০০ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন আর কেবল ১০ জন বোলার।

ব্যাট হাতেও তার আছে ১১ হাজার রান। ব্যাট-বলের এই ‘ডাবল’ অর্জনে তিনিই প্রথম। এই সংস্করণে ৩০০ উইকেটের পাশে ৭ হাজার রানও নেই কার কারও।

মূলত গতি বৈচিত্র, লাইন-লেংথের বদল আর ব্যাটসম্যানকে ঠিকঠাক পড়ে বল করতে পারা পোলার্ডের বোলিংয়ের মূল শক্তি। ৩০০ উইকেট নেওয়ার পর তিনি নিজেও বললেন এই কথা।

“সত্যি বলতে, আমার বলে গতি নেই। স্পিন নেই। সুইং-সিম নেই। তবে আমার মনে হয়, আমার খানিকটা বুদ্ধি আছে। আমি সেটুকুই সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।”

ব্যক্তিগত এই অর্জন বা রেকর্ডগুলো অবশ্য তাকে খুব বেশি আন্দোলিত করে না বলেই দাবি করলেন পোলার্ড।

“ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক উত্থান-পতন এসেছে। শেষ পর্যন্ত যা পেয়েছি, তাতে আমি কৃতজ্ঞ ও বাধিত। স্রেফ চাই, এভাবেই চালিয়ে যেতে এবং দলের ভালোর জন্য অবদান রাখতে।”

“আমার কয়েকজন ভালো বন্ধুর অসাধারণ রেকর্ড আছে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। ওদের সবারই এই ধারা চলতে থাকুক। তবে ব্যক্তিগত রেকর্ড যেখানে থাকার থাকবেই, আমার কাছে ওসব অর্জনের চেয়ে এগিয়ে ভালো ক্রিকেটার ও ভালো মানুষ হওয়া।”

এই ম্যাচে এক ওভার বোলিংয়ে ক্রিস গেইল ও লোকেশ রাহুলের উইকেট নেওয়ার পর শেষ দিকে দলের প্রয়োজনের সময় ৭ বলে ১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন পোলার্ড।