স্থগিত আইপিএল আবার শুরু হওয়ার পর প্রথম তিন ম্যাচে একাদশে বিদেশি ক্রিকেটারে কোনো পরিবর্তন আনেনি কলকাতা। অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানের সঙ্গে খেলেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল, স্পিনিং অলরাউন্ডার সুনিল নারাইন ও ফাস্ট বোলার লকি ফার্গুসন।
মর্গ্যান যদিও ফর্মে নেই একদমই, তবে অধিনায়ক হিসেবেই একাদশে জায়গা নিশ্চিত। বাকি তিনজন খেলছেন পারফর্ম করেই। সাকিবকে তাই থাকতে হচ্ছে অপেক্ষায়।
সেই অপেক্ষা শেষ হতে পারত মঙ্গলবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। আগের ম্যাচে পাওয়া চোট রাসেলকে এই ম্যাচের বাইরে ঠেলে দেয়। ম্যাচ শারজাহতে, যেখানে উইকেট এবার খুবই মন্থর। এই ধরনের চটচটে উইকেট ব্যাটিং-বোলিং, দুটিতেই বেশ কার্যকর সাকিব।
তবে কলকাতা রাসেলের জায়গায় বেছে নেয় নিউ জিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদিকে। ম্যাচ চলার ফাঁকে টিভি সাক্ষাৎকারে কলকাতার সহকারী কোচ অভিষেক জানালেন মন্থর উইকেটেও পেসার নেওয়ার কারণ।
“কথা হয়েছে এটা নিয়ে (সাকিবকে নেওয়া যেত কিনা)। তবে শারজাহর মাঠ ছোট, অধিনায়কের মনে হয়েছে, তিনজন স্পিনার খেলানো আমাদের জন্য কঠিন। আর রাসেল যেহেতু নেই, আমাদের মনে হয়েছে, পেস বোলিংয়ে একজন দরকার। এজন্যই সাউদিকে নিয়েছি আমরা।”
নারাইনের সঙ্গে কলকাতার একাদশে বিশেষজ্ঞ স্পিনার আছেন বরুন চক্রবর্তি। বেশ ভালো ফর্মে আছেন দুজনই। তবে অলরাউন্ডারের বদলে আরেকজন অলরাউন্ডারই বেশি উপযুক্ত হতো কিনা, এই প্রশ্ন উঠল। সাকিবের বোলিংয়ের সঙ্গে যেহেতু ব্যাটিও আছে। অভিষেক জানালেন, তাদের ভাবনায় বোলিংই ছিল বেশি।
“সে (সাকিব) তো পরীক্ষিত ক্রিকেটার। এই ধরনের কন্ডিশনে সবসময় ভালোও করেছে। তবে সানির ওপর আমাদের ব্যাটিংয়েও ভরসা আছে। দিল্লির সঙ্গে তার আগে ভালো পারফরম্যান্স আছে। সব মিলিয়ে আমরা চেয়েছি বাড়তি একজন পেস বোলার নিতে, যে পাওয়ার প্লেতে ভালো করতে পারবে। সাউদিকে নেওয়ার পেছনে এসবই ছিল ভাবনায়।”
গত এপ্রিলে আইপিএলে প্রথম ভাগে অবশ্য সাকিবই আগে সুযোগ পেয়েছিলেন কলকাতার একাদশে। তবে তিনটি ম্যাচ খেলে ভালো করতে না পারায় জায়গা হারান তিনি। এখন সেই জায়গা আর ফিরেই পাচ্ছেন না।