চেহেলকে ছাড়িয়ে ভারত দলে জায়গা পেয়েছেন রাহুল চাহার। যার টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ৬৯ ম্যাচের, উইকেট ৮৩টি। দেশের হয়ে খেলেছেন কেবল ৫ ম্যাচ, নিয়েছেন ৭ উইকেট।
অভিজ্ঞতা, পারফরম্যান্স সব মিলিয়েই চাহার থেকে বেশ এগিয়ে চেহেল। এই সংস্করণে ২১০ ম্যাচ খেলে তার উইকেট ২৩২টি। ভারতের হয়ে ৪৯ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৬৩টি।
ভারতের সবশেষ সিরিজে দুইজনেই ছিলেন দলে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের কেবল একটিতে খেলে চেহেল ১৯ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। আর দুই ম্যাচ খেলা চাহারের প্রাপ্তি ৪টি।
শেবাগের মতে, লঙ্কানদের বিপক্ষে খুব একটা আহামরি পারফরম্যান্স ছিল না চাহারের। তবুও তাকে বিশ্বকাপ দলে দেখে অবাকই হয়েছেন তিনি।
আইপিএলে রোববার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ৫৪ রানের জয়ে বড় অবদান রাখেন চেহেল। ১১ রান দিয়ে নেন কুইন্টন ডি কক, ইশান কিষানের উইকেটসহ মোট ৩ উইকেট। আর মুম্বাইয়ের হয়ে খেলা চাহার এদিন ৩৩ রান দিয়ে উইকেট নেন কেবল একটি।
ম্যাচ জেতানো এমন পারফরম্যান্সের পর চেহেলকে স্তুতিতে ভাসালেন শেবাগ। ক্রিকবাজের একটি অনুষ্ঠানে বলেন, এমন স্পিনার যেকোনো দলের সম্পদ হতে পারে।
“চেহেল আগেও ভালো বোলিং করেছে। তাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে কেন বাদ দেওয়া হলো আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। নির্বাচকদের এর ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত।”
“এমন নয় যে, শ্রীলঙ্কায় রাহুল চাহার অসাধারণ বোলিং করেছিল। চেহেল যেভাবে বোলিং করে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেকোনো দলের বড় সম্পদ হতে পারে।”
২২ বছর বয়সী চাহারকে নেওয়ার ছোট্ট একটি ব্যাখ্যা অবশ্য দিয়েছিলেন ভারতীয় নির্বাচকরা। জোরে বল করতে পারেন, এমন একজন রিস্ট স্পিনার খুঁজছিলেন তারা। তবে এই ব্যাখ্যা পছন্দ হয়নি শেবাগের।