আইপিএলে রোববার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে দুবাইয়ে ৩৭ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে পথে ম্যাক্সওয়েল মেলে ধরেন তার সুইচ হিটের পসরা। বল প্রথম সীমানা ছাড়া করেন এই শটেই। বাঁহাতি স্পিনার ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে স্টান্স বদলে ত্বরিত বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হয়ে উঠে বল ছক্কায় ওড়ান মিড উইকেট (আসলে যা ডিপ পয়েন্ট) দিয়ে।
পরে লেগ স্পিনার রাহুল চাহারকেও সুইচ হিটে উড়িয়ে মারেন ম্যাক্সওয়েল, এবার বল গিয়ে পড়ে গ্যালারিতে।
শুধু স্পিনেই নয়, ম্যাক্সওয়েলের সুইচ হিটের তুলাধুনা হন এদিন অ্যাডাম মিল্নও। নিউ জিল্যান্ডের ফাস্ট বোলারের ১২৬ কিলোমিটার গতির স্লোয়ার সুইট হিটে গ্যালারিতে বল পাঠান তিনি, প্রায় ১৪০ কিলোমিটার গতির বলে সুইচ হিটে এবং ১৪২ কিলোমিটার গতির বলে রিভার্স ফ্লিকে বাউন্ডারি মারেন।
সুইচ হিটকে বিখ্যাত করেছিলেন যিনি, সেই কেভিন পিটারসেন ধারাভাষ্যকক্ষে এক পর্যায়ে বলে ওঠেন, ‘ম্যাক্সওয়েল আজ বাঁহাতি হয়েই সব করছেন!’
পরে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে ম্যাক্সওয়েল শোনালেন এই স্কিল আয়ত্ত করা এবং এই ম্যাচে বেশি খেলার কারণ।
“বছরের পর বছর ধরে এসব নিয়ে কাজ করেছি আমি এবং আমার সত্যিকারের শক্তির জায়গা হয়ে উঠেছে তা।”
“আজকে একটা পাশ একটু ছোট ছিল। চেষ্টা করেছি, যতটা সম্ভব ওই জায়গাটা টার্গেট করতে। উইকেট আজ একটু ধীরগতির ছিল। আমি চিন্তা করেছি, বলের জন্য অপেক্ষা করে একটু দেরিতে খেলে বলের নিচে গিয়ে মারা যায়। বাতাসও ওই দিকে ছিল, যা পক্ষে এসেছে।”
ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলার পর বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে রোহিত শর্মা ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার উইকেট নেন ম্যাক্সওয়েল। ক্যাচ নিয়ে বিদায় করেন কুইন্টন ডি কককে। দল জেতে ৫৪ রানে। সব মিলিয়ে প্রায় নিখুঁত ম্যাচ। তার কণ্ঠেও উঠে এলো সেই তৃপ্তি।
“অনেকটাই নিখুঁতের কাছাকাছি পারফরম্যান্স। দারুণ দিন ছিল। আজকে প্রায় সবকিছুই আমরা ঠিকঠাক করেছি।”